ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইউরোজোনের কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ নয়

গ্রীকদের রক্তক্ষরণ বন্ধ করব ॥ সিপরাস

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১ এপ্রিল ২০১৫

গ্রীকদের রক্তক্ষরণ বন্ধ করব ॥ সিপরাস

গ্রীসের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপরাস দেশটির ইউরোজোন ঋণদাতাদের কাছে নতিস্বীকার না করার সংকল্প ব্যক্ত করেছেন। তার সরকারের বেইল আউটের অর্থ ছাড় করানোর জোর চেষ্টা চালানোর মধ্যে তিনি আবারও ঋণ মওকুফের বিতর্কিত আহ্বান জানালেন। খবর টেলিগ্রাফ ও ইয়াহু নিউজের। সোমবার নিজ পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে সিপরাস বলেন, তিনি গ্রীসের আর্ন্তজাতিক অর্থদাতাদের সঙ্গে আপোস করতে চাইবেন, কিন্তু তিনি তার দুর্দশাগ্রস্ত অর্থনীতির ওপর আরও কৃচ্ছ্রনীতি চাপিয়ে দেয়ার ইউরোপীয় দাবির কাছে ‘নিঃশর্তে’ আত্মসমর্পণ করবেন না বলে সতর্ক করে দেন। সিপরাস জোর দিয়ে বলেন যে, তিনি ‘গ্রীক জনগণের রক্তক্ষরণ’ বন্ধ করবেন। তিনি ভ্যাট বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়ার সম্ভাবনা বাতিল করে দেন। এর আগে তার সরকার এবং ব্রাসেলস গ্রুপ কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনায় এথেন্স হতাশ হয়। বামপন্থী প্রধানমন্ত্রী জার্মানির কাছ থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধজনিত ক্ষতিপূরণ লাভের দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি গ্রীসের ঋণদাতাদের কাছে ঋণ মওকুফও দাবি করেন। আইএসএফ ও ইইউর বিশেষজ্ঞরা এথেন্সের প্রস্তাবিত সংস্কার কর্মসূচী খতিয়ে দেখছেন। ঋণদাতারা যাতে ৭২০ কোটি ইউরোর (৭৮০কোটি ডলার) ঋণ ছাড় করতে সম্মত হয় সেই উদ্দেশে ওই কর্মসূচীর প্রস্তাব করা হয়। গ্রীস সরকার বলছে, সংস্কার কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হলে মজুরি ও পেনসন হ্রাস না করেই সরকারী কোষাগারে অতিরিক্ত ৩০০ কোটি ইউরো জমা করা যাবে। কিন্তু এখনও কোন চুক্তি হয়নি বলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সতর্ক করে দিয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র মার্গারিটিস সিনাস সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এখনও চুক্তিতে পৌঁছতে পারিনি। সেজন্যই এথেন্স থেকে আরও তথ্য সংগ্রহ করে আলোচনাতে কাজে লাগানো উচিত। ইউরোজোন কর্মকর্তারা সম্ভবত চলতি সপ্তাহে এক কনফারেন্স কলে মিলিত হবেন এবং তারপর এপ্রিলের শেষ দিকে পূর্ণ অর্থমন্ত্রীদের পূর্ণাঙ্গবৈঠক ডাকা হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেবেন। ইউরোপীয় সূত্রগুলো ঘরোয়াভাবে আলোচনার অগ্রগতিতে বাধা দেয়ার দায়ে এথেন্সকে অভিযুক্ত করে থাকে। হেলসিংকিতে জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেল সোমবার সর্তক করে দেন যে, গ্রীসের চূড়ান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো অবশ্যই যুক্তিগ্রাহ্য হতে হবে। খসড়া প্রস্তাবে ভ্যাট ফাঁকি রোধ করে ৩৫ কোটি ইউরো এবং তেল, এ্যালকোহল ও তামাক চোরাচালান দমন করে ২৫ কোটি ইউরো আদায়ের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এসব পদক্ষেপ ঋণদাতাদের দাবি মেটাতে পারবে বলে মনে হয় না। অসন্তুষ্ট ইউরোজোন কর্মকর্তারা সর্তক করে দেন যে, তারপরও সরকারকে এর ব্যয় মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় ৭২০ কোটি ইউরো পেতে হলে পেনসন ও মুজরি হ্রাস করতে হবে।
×