ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চাঁপাইয়ে ফসলি জমির ॥ উর্বর মাটি ইট ভাঁটিতে

প্রকাশিত: ০৬:৫৬, ৩১ মার্চ ২০১৫

চাঁপাইয়ে ফসলি জমির ॥ উর্বর মাটি ইট ভাঁটিতে

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ টপসয়েল অর্থাৎ চাষযোগ্য আবাদি উর্বর জমির মাটি কাটার নিধনযজ্ঞ চলছে এখন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জে। এই টপ সয়েল ব্যবহার হচ্ছে ইট ভাঁটিতে। জেলার বৃহত দুটি উপজেলার মাটির উপরিস্তরের গুণাবলীর কারণেই প্রায় প্রতিটি ফসল উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। অথচও এই মাটি ধ্বংস করে বা কেটে নিয়ে গিয়ে অতি মুনাফাখোর ইট ব্যবসায়ীরা তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করছে। পাশাপাশি কমছে আবাদি জমি। মাটিতে অধিক পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, গন্ধক ও দস্তার গড় পরিমাণ মধ্যম এবং নাইট্রোজেন গড় পরিমাণ অনেক কম বা নিম্ন। আবার যেসব এলাকা প্রতি বছর বন্যার পানিতে ডুবে থাকে সেসব জমিতে পলি পড়ার কারণে আরও অধিক উর্বর হয়ে থাকে। ভাঁটি মালিকদের নজর এসব জমির ওপর খুব বেশি। তাই নানান কৌশলের ফাঁদে আটকিয়ে এসব জমির মালিককে জিম্মি করে বাজার মূল্যের অধিক পয়সা দিয়ে লিজ নিয়ে দেদার ভাঁটির জন্য নানান ধরনের মেশিন ব্যবহার করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তৈরি করছে ইট। যা বর্তমানে খুবই চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। বৈধ অবৈধ নানানভাবে প্রভাবিত হয়ে প্রতি বছর জেলায় বাড়ছে ইট ভাঁটির সংখ্যা। বর্তমানে জেলায় শতাধিক ইট ভাঁটি রয়েছে। এর মধ্যে ষাটটির অধিক বৈধ আর বাকিগুলো অবৈধ। পরিসংখ্যানে জানা গেছে ইতোমধ্যেই ইট ভাঁটির মাটির জন্য প্রায় ২৪ একর ফসলের জমি কাটা হয়েছে। এসব জমিতে এখন ১৫-৩০ ফুটের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব জমি থেকে ট্রাক্টারের পেছনে ট্রলি লাগিয়ে কাটা মাটি মিলে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে জেলার প্রতিটি উপজেলাতে এ ধরনের ফসলের জমি কেটে ইট ভাঁটি চালাচ্ছে অধিক মুনাফাখোর একশ্রেণীর লোকজন। এ অবস্থা রুখে দিয়ে অবিলম্বে প্রশাসন কোন কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পদ্মা, পাগলা ও মহানন্দা বিধৌত এলাকার উর্বর ফসলের জমির অধিকাংশ মাটি চলে যাবে ইট ভাঁটিতে। কমবে ফসলের জমি। খুলনায় বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু বাহিনী প্রধান নিহত স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ কয়রা উপজেলায় সুন্দরবনের ঝপঝপিয়া চরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আল আমিন বাহিনীর প্রধান আল আমিন (৪৫) নিহত হয়েছেন। তিনি কয়রা উপজেলার ৪ নম্বর কয়রা গ্রামের শহীদুল ইসলাম সানার ছেলে। রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেশী-বিদেশী ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৪১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানায়, (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, সুন্দরবনের বনদস্যু আল আমিন বাহিনীর প্রধান আল আমিনকে রবিবার সকাল ৭টার দিকে কয়রার চাঁদ আলী ব্রিজ এলাকা থেকে আটক করা হয়। থানায় জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ৯টার দিকে তাকে নিয়ে সুন্দরবনে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গেলে ঝপঝপিয়া চরে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা আল আমিনের সহযোগীরা পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ চালায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ‘বন্দুকযুদ্ধ’ চলে। তিনি জানান, পরে ঘটনাস্থলে আল অমিনের মৃতদেহ পাওয়া যায় এবং সেখানে তল্লাশি করে তিনটি টুটু বোর রাইফেল, একটি বিদেশী বন্দুক, দুটি দেশী বন্দুক ও একটি এয়ারগান, ১১৯টি বন্দুকের গুলি এবং ২২টি টুটু বোর রাইফেলের গুলি উদ্ধার করা হয়।
×