ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ওয়ানডেতেও স্মিথকে অধিনায়ক চান পন্টিং

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ৩১ মার্চ ২০১৫

ওয়ানডেতেও স্মিথকে অধিনায়ক চান পন্টিং

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে রঙিন পোশাকের ওয়ানডে থেকে রাজসিকভাবে বিদায় নিয়েছেন মাইকেল ক্লার্ক। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কুলিন অসিদের নেতৃত্বে আসছেন কে? বেশ কিছুদিন ইনজুরির জন্য ক্লার্ক অনিয়মিত হয়ে পড়ায় ওয়ানডেতে জর্জ বেইলিই অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এমনকি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেও অধিনায়ক ছিলেন তিনি, বাদ পড়েন ক্লার্ক ফেরায়! অন্যদিকে ভারত সিরিজে পাকাপাকিভাবে টেস্টের দায়িত্ব পান স্টিভেন স্মিথ। টেস্টের পাশাপাশি এবার তরুণ এই ব্যাটসম্যানকে ওয়ানডেতেও অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান অস্ট্রেলিয়াকে দু-দুটি বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দেয়া কিংবদন্তি রিকি পন্টিং। ‘আমি নিজেও জর্জ বেইলির দারুণ ভক্ত। একসঙ্গে আমরা আঞ্চলিক ক্রিকেটে অনেক খেলেছি। সন্দেহ নেই সে ভাল নেতা। কিন্তু স্টিভেন স্মিথ এখন ক্যারিয়ারের দুরন্ত সময় পার করছে, বয়সটাও অনুকূলে। সে অসাধারণ, মনে হচ্ছে টেস্টেও তিন নম্বরে ব্যাট করে সফল হতে পারবে। সুতরাং ভবিষ্যতের কথা ভেবে, টেস্টের পাশাপাশি ওয়ানডের দায়িত্বও স্মিথকে দেয়া উচিত’Ñ বলেন পন্টিং। তিনি আরও যোগ করেন, ‘ক্লার্ক ইতোমধ্যে ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছে। তাই ধরেই নেয়া যায়, টেস্টেও তার আর অল্প সময় বাকি। স্মিথের নেতৃত্বে আসার এটাই সেরা সময়, যাতে ক্লার্ক পুরোপুরি বিদায়ের আগে ও সব ফরমেটে নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে পারে। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে টি২০ ম্যাচে অভিষেকেই বেইলিকে অধিনায়ক করে ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। ব্যাট হাতে দারুণ নেপুণ্যে ওয়ানডের নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠেছিলেন। ইনজুরিপ্রবণ ক্লার্কের পরিবর্তে নেতৃত্ব দিয়েও দারুণ সফল ছিলেন। ২৯ ম্যাচের ১৬টিতে জয়। সুতরাং স্বাভাবিক নিয়মে বেইলিরই নেতৃত্ব দেয়ার কথা। কিন্তু দুরন্ত পারফর্মেন্সের পাশাপাশি বয়সে তরুণ হওয়ায় সুযোগটা পেয়ে যেতে পারেন ২৫ বছরের স্মিথ। ফাইনালে অপরাজিত ৫৬ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে বিশ্বজয়ে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখেন নিউসাউথওয়েলস প্রতিভা। এক সময় শেন ওয়াটসনকেই ভাবা হতো অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রজন্মের নেতা, বেশ কিছুদিন ক্লার্কের ডেপুটিও ছিলেন তিনি। কিন্তু মাঠের নৈপুণ্যের পাশাপাশি আচরণে সমস্যা থাকায় এখন আর নেতৃত্বের রেসে নেই ওয়াটসন। সেই ওয়াটসনও স্মিথে মুগ্ধতা গোপন করেননি। ‘আমার বিশ্বাস স্মিথ তার পথেই এগোচ্ছে। নেতৃত্বের চাপ ওর পারফর্মেন্সে প্রভাব ফেলতে পারেনি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে নেয়ার যোগ্যতা স্মিথের রয়েছে। টেস্টের পর ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপেও নিজেকে ভালমতো চিনিয়েছে সে।’ স্মিথকে একজন সহজাত নেতা হিসেবেও অভিহিত করেন ওয়াটসন। এক সেঞ্চুরি ও চার হাফ সেঞ্চুরির সাহায্যে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ ৪০২ রান স্মিথের। এর আগে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই গড়েছিলেন নতুন ইতিহাস। অস্ট্রেলিয়াকে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি জেতানোর পাশাপাশি অভিষেকে সেঞ্চুরিসহ সিরিজে সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি! বেইলির অনুপস্থিতিতে ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেও (ভারপ্রাপ্ত) সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন স্মিথ। অধিনায়ক হিসেবে দুই ভার্সনে নিজের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরির অন্যন্য নজির স্থাপন করে বুঝিয়ে দিয়েছেন চাইলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তার ওপর ভরসা করতেই পারে।
×