ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইসলামী ব্যাংকের প্রীতি সম্মিলনী অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ০৬:০২, ৩১ মার্চ ২০১৫

ইসলামী ব্যাংকের প্রীতি সম্মিলনী অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ৩২তম বর্ষপূতি উপলক্ষে প্রীতি সম্মিলনী সোমবার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারের মোহাম্মদ ইউনুছ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ইসকান্দার আলী খান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ডাইরেক্টর হুমায়ুন বখতিয়ার, এফসিএ, শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য ড. হাসান মোহাম্মদ মঈন উদ্দিনসহ ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও নির্বাহীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষে ব্যাংকের সব শাখা ও জোন কার্যালয়ে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮৩ সালের ৩০ মার্চ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম ইসলামী ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করে এ ব্যাংক। ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ইসকান্দার আলী খান প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, ইসলামী ব্যাংক শিল্প ও বাণিজ্যে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছে। এ ব্যাংকের অর্থায়নে দেশের বস্ত্র ও স্পিনিং, লৌহ ও ইস্পাত, পরিবহন, কৃষি ও কৃষিভিত্তিক শিল্প, আবাসন এবং এসএমই খাতসহ উৎপাদনশীল প্রায় ৪ হাজার শিল্প-কারখানা পরিচালিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে ২৫ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান। আমদানি-রফতানিসহ বৈদেশিক বাণিজ্যেও শীর্ষ এ ব্যাংক। তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ করদাতা এ ব্যাংকের মাধ্যমে বেসরকারী খাতে অর্ধেকের বেশি সার আমদানি হয়। অনলাইনসহ প্রযুক্তিভিত্তিক উন্নত সেবার মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে অবদান রাখছে এ ব্যাংক। তিনি ব্যাংকের বর্তমান অবস্থানের জন্য উদ্যোক্তা, পরিচালক, নির্বাহী-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। হুমায়ুন বখতিয়ার, এফসিএ, বিশেষ অতিথির ভাষণে বলেন, ইসলামী ব্যাংক সাড়ে ১৮ হাজার গ্রামে ৯ লাখ পরিবারকে স্বাবলম্বী করেছে যাদের অধিকাংশই অবহেলিত নারী। ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মাধ্যমে চার লাখ নারী উদ্যোক্তাসহ ৬ লাখ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি করেছে এ ব্যাংক। বিশ্বের মোট ইসলামী ক্ষুদ্র বিনিয়োগের অর্ধেক এককভাবে এ ব্যাংকের। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোন খাতে এ ব্যাংক অর্থায়ন করে না। ৩২ বছরে তামাকসহ পরিবেশ ও জনস্বার্থ পরিপন্থী কোন খাতে বিনিয়োগ করেনি এ ব্যাংক। সততা, স্বচ্ছতা ও পরিপালনের সংস্কৃতি অনুসরণে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করছে ইসলামী ব্যাংক। পৃথিবীর সেরা এক হাজার ব্যাংকের মধ্যে বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাংকের মর্যাদা লাভ করেছে ইসলামী ব্যাংক। মোহাম্মদ আবদুল মান্নান সভাপতির ভাষণে বলেন, ইসলামী ব্যাংক এখন কোটি গ্রাহকের আস্থার প্রতীক এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার। ৩২ বছরের উৎপাদনমুখী আর্থিক সেবার মাধ্যমে বিভিন্ন প্যারামিটারে দেশের শীর্ষ ব্যাংকে পরিণত হয়েছে এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখছে। দেশের উন্নয়নের দুই স্তম্ভ তৈরি রেডিমেড গার্মেন্টস খাতে অর্থায়ন ও প্রবাসী রেমিটেন্স আহরণে এ ব্যাংক পথিকৃৎ। তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক শ্রমঘন, উৎপাদনশীল, রফতানিমুখী ও আমদানি বিকল্প খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। -বিজ্ঞপ্তি
×