ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রকল্প বাস্তবায়নে কালক্ষেপণে বছরে গচ্চা বিপুল;###;৮১৮টিতে কাজ শেষ না হতেই সমাপ্ত ঘোষণা ;###;রাজনৈতিক কারণে বেশি প্রকল্প নেয়ায়ই এমনটি হচ্ছে ;###;ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা, দুর্নীতি, অর্থ ছাড়ে বিলম্ব, তদারকির অভাব কাজ বিলম্বিত করছে ;###;জটিলতা কাটাতে প্রজেক্ট

ক্ষতি হাজার হাজার কোটি

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ৩১ মার্চ ২০১৫

ক্ষতি হাজার হাজার কোটি

হামিদ-উজ-জামান মামুন ॥ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হওয়ায় প্রতিবছর অতিরিক্ত চলে যাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। সেই সঙ্গে কাজ শেষ না করেও প্রকল্প সমাপ্ত ঘোষণার ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি গত ২০১৩Ñ১৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) মূল্যায়ন করে এমনই তথ্য পেয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। এ প্রেক্ষাপটে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ কমানো এবং বড় প্রকল্প তৈরির সময়ই বাস্তবায়ন জটিলতা কাটাতে প্রজেক্ট প্রিপারেটরি ফান্ড গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ফাস্টট্রাক প্রজেক্ট মনিটরিং কমিটির সভায় এ সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী অর্থবছরের নতুন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) তৈরির নীতিমালায়ও বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে অর্থ ও পররিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান জনকণ্ঠকে বলেন, এটি একেবারেই নতুন বিষয় তা বলা যাবে না। কেননা বিভিন্ন দেশে এটা হয়। প্রকল্প গ্রহণের সময় বোঝা যায় না পরবর্তীতে কি হবে, না হবে। এজন্য এমনটা হয়ে থাকে। তবে এটি যদি বেশি মাত্রায় হয় তাহলে উদ্বেগজনক বটে। তাছাড়া সমাপ্ত না করেই প্রকল্প সমাপ্তি ঘোষণার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। প্রকল্পের বাস্তবায়ন যাতে দ্রুত হয় সেজন্য ইতোমধ্যেই নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই উদ্যোগগুলো যাতে কার্যকর হয় আমরা সে বিষয়টি দেখব। সূত্র জানায়, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) বাস্তবায়নে কালক্ষেপণের কারণে এক বছরে সরকারের গচ্চা গেছে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সমাপ্ত হওয়া প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পেয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে কোন কোন প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় লেগেছে ৮ থেকে ১০ বছর। আর ব্যয় বেড়েছে কয়েক গুণ। ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা, অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ ছাড়ে বিলম্ব, তদারকির অভাবসহ নানা কারণে প্রকল্প সঠিক সময়ে শেষ করা যায় না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক কারণে সামর্থ ও সক্ষমতা বিবেচনা না করে মাত্রাতিরিক্ত প্রকল্প হাতে নেয়ার ফলেই এমনটি হচ্ছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এক পর্যালোচনা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২৩৩টি প্রকল্প শেষ হয়েছে। এ সব প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়ন করা হয়নি। প্রতিটি প্রকল্পে অতিরিক্ত সময় লেগেছে প্রায় সোয়া ২ বছর (২.১৫)। যা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৭৪ শতাংশ বেশি। এ দীর্ঘ সময় কালক্ষেপণের কারণে সমাপ্ত হওয়া প্রকল্পগুলোর বিপরীতে গড় ব্যয় বেড়েছে ৫১ দশমিক ১১ শতাংশ বা ৪০ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এ হিসেবে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে ৯ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা। আইএমইডি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন, অধিকতর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, অবকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থা, মানব সম্পদের সুষ্ঠু উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সরকারী খাতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ কর্মকা- পরিচালনার জন্য এডিপি গ্রহণ করা হয়। কিন্তু প্রকল্প সমাপ্তির যে প্রক্ষেপণ করা হয় তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অর্জিত হয় না। এজন্য জনগণের অর্থ উন্নয়ন কাজে ব্যয় হলেও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। ওই অর্থবছরে এডিপির আওতায় নেয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের চিত্র পর্যালোচনায় হতাশা প্রকাশ করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। কারণ, এডিপিতে বড় অঙ্কের বরাদ্দ রাখা হলেও বাস্তবায়নে রয়েছে নানারকম অনিয়মের অভিযোগ। এমনকি প্রকল্প সমাপ্তির জন্য বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো যে সময় নির্ধারণ করে তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অর্জিত হয় না। অন্যদিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কাজ শেষ না করেই প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করছে। এতে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য অর্জিত হচ্ছে না বলে মনে করছে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। সম্প্রতি প্রকাশিত আইএমইডির অগ্রগতি পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এ সব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরের এডিপির ২৯৮টি প্রকল্পে সমাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এর মধ্যে মাত্র ১৫১টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট ১৪৭ প্রকল্পের কাজ শেষ না করে মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু কিছু মন্ত্রণালয় ও বিভাগ লক্ষ্যমাত্রার বাইরে আরও ৮২টি প্রকল্প সমাপ্ত ঘোষণা করেছে। এ হিসাবে, ওই অর্থবছরে ২৩৩টি প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়। আইএমইডি বলছে, সমাপ্ত ঘোষণাকৃত এ সব প্রকল্পের মধ্যে ৮১৮টি প্রকল্পের ক্ষেত্রে বেশকিছু কাজ অসমাপ্ত রেখে কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সংশোধিত এডিপিতে ১ হাজার ৩৬৬টি প্রকল্পের বিপরীতে এ বরাদ্দ দেয়া হয়। আইএমইডির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কাজ অসম্পূর্ণ রেখে প্রকল্পের সমাপ্ত ঘোষণা করা ৫৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রায় সবগুলোই রয়েছে। এমন কিছু প্রকল্প রয়েছে যাতে শতভাগ অর্থ ব্যয় করা হলেও কাজ সম্পূর্ণ করা হয়নি। আবার কিছু কিছু প্রকল্পের অর্থ পুরোপুরি ব্যয় হয়নি, কাজও অসম্পূর্ণ রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে, প্রকল্পগুলোর মধ্যে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর নিজস্ব অর্থায়নে গৃহীত প্রকল্প এ তালিকায় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেÑ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ১৫টি, সড়ক বিভাগ ২১টি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৫টি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৯টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৪টি প্রকল্প রয়েছে। এ বিষয়ে আইএমইডি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, সমাপ্ত ঘোষিত অধিকাংশ ক্ষেত্রে কিছু কাজ বাকি রেখেই প্রকল্প সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। এতে প্রকল্পের উদ্দেশ্যাবলী সম্পূর্ণভাবে অর্জিত হয় না। অসমাপ্ত প্রকল্প সমাপ্ত ঘোষণাকৃত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হচ্ছে, সড়ক বিভাগের বগুড়া সারিয়াকান্দি সড়ককে আঞ্চলিক সড়কে উন্নয়ন, আরিচা-ঘিওর-দৌলতদিয়া-নাগরপুর-টাঙ্গাইল সড়ক উন্নয়ন, জেলা সড়ক উন্নয়ন (ঢাকাসহ ৫ জোন), মোকামতলা (বগুড়া রংপুর জাতীয় মহাসড়ক)- সোনাতলা-হরিখালী-হাটশেরপুর-সারিয়াকান্দি সড়ক উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের রংপুর জেলা শ্যামা সুন্দর খাল উন্নয়ন, ইম্পয়মেন্ট অব গার্ভেজ ডিসপোজাল সিস্টেম অব চিটাগাং সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা শহরে চারটি পাইকারী বাজার নির্মাণ, বিশ্বকাপ উপলক্ষে ঢাকা শহরের সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্প, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্য স্বাক্ষরতা উত্তর অব্যাহত শিক্ষা প্রকল্প, ক্যাপসিটি ডেভেলপমেন্ট ফর এ্যাডুকেশন ফর অল, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের রিহ্যাবিলাইটেশন ওয়ার্কার্স অব তিস্তা মেইন কেনেল এ্যান্ড রিলেটেড স্ট্রাকচার আন্ডার এরিয়া অব তিস্তা ব্যারাজ প্রজেক্ট , মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ইমারজেন্সি ২০০৭ সাইক্লোন রিকভারি এ্যান্ড রেস্টোরেশন প্রজেক্ট, যশোর জেলার ভবদহ অঞ্চলে মৎস্যচাষ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক মোস্তফা কে মুজেরী বলেন, এডিপি বাস্তবায়নে বছরের পর বছর ধরে গবেষণা হয়েছে। চিহ্নিত সমস্যা এখন পুরনো। কিন্তু এগুলো সমাধান বা উত্তরণে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বলা চলে, এডিপি বাস্তবায়নে আমরা একটা দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়েছি। কোন বছর একটু বেশি বাস্তবায়ন হয়। কোন বছর একটু কম। সূত্র জানায়, গত ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফাস্টট্রাক প্রজেক্ট মনিটরিং কমিটির তৃতীয় সভায় যে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ২৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ের প্রকল্প বাস্তবায়নের পূর্বে আবশ্যিকভাবে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে। এ বিষয়টি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় পরিকল্পনা বিভাগকে। এছাড়া অর্থবিভাগ ও পরিকল্পনা বিভাগ আলোচনা করে প্রকল্পের প্রাক সম্ভাব্যতা যাচাই, ভূমি অধিগ্রহণ ও প্রিপারেটরি কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের উৎস, ব্যবহার পদ্ধতি এবং প্রজেক্ট প্রিপারেটরি ফান্ড গঠনের কর্মপন্থা নির্ধারণ করে ফাস্টট্র্যাক টাস্ক ফোর্স কমিটিকে অবহিত করবে। এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় অর্থ ও পরিকল্পনা বিভাগকে। আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের এডিপিতে নতুন প্রকল্প অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে নীতিমালায় বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের এডিপি বা এডিপিভুক্ত স্থগিত বা শূন্য বরাদ্দ দেয়া অথবা বরাদ্দহীনভাবে সংযুক্ত অননুমোদিত প্রকল্পসমূহ আগামী অর্থবছরের এডিপিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত হবে না। তবে বিশেষ যৌক্তিকতা (যদি থাকে) সাপেক্ষে নতুন প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য তা প্রস্তাব করা যাবে। সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে একান্ত অপরিহার্য এবং উচ্চ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত না হলে সরকারী অর্থায়নে সম্পূর্ণ নতুন প্রকল্প এডিপিতে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব পরিহার করতে হবে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের আগামী অর্থবছরে সমাপ্য প্রকল্প সংখ্যা, এডিপি বাস্তবায়নের দক্ষতা ও সংশ্লিষ্ট সেক্টরের প্রবেশাধিকারের সঙ্গে নতুন প্রকল্প সংখ্যা সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে। ক্ষুদ্র প্রকল্প পৃথকভাবে প্রণয়ন না করে একটি গুচ্ছ প্রকল্পের আওতায় এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সিনিয়র সদস্য ড. শামসুল আলম জনকণ্ঠকে বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যসমূহ নতুন এডিপিতে গুরুত্ব পাবে। তাছাড়া দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিশেষ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মুদ্রানীতি, সরকারী ও বেসরকারী বিনিয়োগ চাহিদা, সম্পদের লভ্যতা, স্থানীয় সম্পদ সংগ্রহ, বৈদেশিক সাহায্যপ্রাপ্তি ও এর ব্যবহারের সক্ষমতা এবং অগ্রগতির ধারাবাহিকতা নতুন এডিপি হাতে নেয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত বিবেচনা করা হবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সূত্র জানায়, আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য নতুন এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তা বরাদ্দের ক্ষেত্রেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। নতুন এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তার আকার নির্ধারণের জন্য দুদিনের খাতভিত্তিক বৈঠক শুরু করতে যাচ্ছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। আগামী ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে দুদিনের এ সিরিজ বৈঠক। চলবে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসের ব্যয় বা বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করে তার ওপর ভিত্তি করেই আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য বরাদ্দ নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইআরডির অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আজম।
×