সংসদ রিপোর্টার ॥ বর্তমানে ইউরিয়া সারের যে পরিমাণ উৎপাদন হচ্ছে তা দিয়ে দেশের চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না। চাহিদা পূরণে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। দেশে মোট ইউরিয়া সারের চাহিদা ২৭ লাখ মেট্রিক টনের মধ্যে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় ১৯ দশমিক ১৪ লাখ মেট্রিক টন। এছাড়া বিসিআইসির নিয়ন্ত্রণাধীন ৬ ইউরিয়া সার কারখানা থেকে চাহিদার ৬ দশমিক ৯৩ মেট্রিক টন উৎপাদিত হয়।
রবিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এ তথ্য জানান। মন্ত্রী জানান, উৎপাদিত সারের বাইরে অবশিষ্ট চাহিদা মেটাতে কাফকোর মাধ্যমে কাতার, সৌদি আরব, ইউনাইটেড আরব আমিরাত (ইউএই) ও চীন থেকে আমদানি করা হয়। তিনি জানান, আমদানির বিকল্প হিসেবে দেশে সার কারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে ‘শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রকল্প (এসএফপি)’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে আমদানির পরিমাণ কমে যাবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
সরকারী দলের সুকুমার রঞ্জন ঘোষের প্রশ্নোত্তরে মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে রুগ্ণ শিল্পগুলোর তালিকা হালনাগাদের জন্য গঠিত টাক্সফোর্সের তালিকা অনুযায়ী দেশে মোট ৩৬১ রুগ্ণ শিল্প রয়েছে। এর মধ্যে কোন সরকারী প্রতিষ্ঠান নেই।
মন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে কতটি প্রতিষ্ঠানকে রুগ্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে তার প্রকৃত সংখ্যা বা পরিসংখ্যান শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই।
মূলত শিল্পের চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়নের কাজ অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ করে থাকে। তবে ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে রুগ্ণ শিল্পগুলোর তালিকা হালনাগাদ করার লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় একটি টাস্কফোর্স গঠন করে। গঠিত টাস্কফোর্স দেশের রুগ্ণ শিল্পের তালিকা প্রণয়নে বিভিন্ন চেম্বারের সহায়তায় কাজ করেছে।