ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বয়লার-চাতাল শ্রমিক-কর্মচারী বেকার

৮০ ভাগ মিল বন্ধ নওগাঁয় ৫০ হাজার

প্রকাশিত: ০৭:০৫, ২৮ মার্চ ২০১৫

৮০ ভাগ মিল বন্ধ নওগাঁয় ৫০ হাজার

বিশ্বজিৎ মনি, নওগাঁ ॥ দেশের ধান-চাল উৎপাদনে প্রসিদ্ধ উত্তরের নওগাঁ জেলার চালকল ও বয়লার-চাতালের মালিকরা দেউলিয়া হতে বসেছে। আয়ের চেয়ে অধিক ব্যয়ভার বহন করতে না পেরে তাদের অনেকেরই মিল বন্ধ হয়ে গেছে। উৎপাদিত চাল পাইকারের অভাবে অবিক্রিত থাকায় ও দিনের পর দিন ব্যাংক ঋনের সুদে জর্জড়িত হয়ে জেলার শতকরা ৮০ ভাগ অটোসহ চালকল ও বয়লার- চাতাল ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। বেকার হয়ে পড়েছে নারী-পুরুষ চাতাল শ্রমিক প্রায় ৫০ হাজার। খেলাপি ঋণের দায়ে জড়িয়ে পড়েছেন প্রায় ৭শ’ মিল মালিক। ব্যাংকের লেন-দেনেও চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক মিল মালিক জানিয়েছেন, চলতি রোপা ও আসন্ন বোরো মৌসুমেও বিদেশ থেকে শুল্কমুক্ত চাল অবাধ আমদানি, ব্যাংকের উচ্চ সুদের ঋণ আর দেশে উৎপাদিত চালের সরকার নির্ধারিত মূল্যের সঙ্গে আমদানিকৃত চালের মূল্যের সমন্বয় না থাকায় আজ কৃষক, শ্রমিকসহ ব্যবসায়ীদের ভরাডুবির মূল কারণ। শুক্রবার নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি আলহাজ্ব তৌফিকুল ইসলাম বাবু জানান, নওগাঁ জেলায় হাস্কিং, অটো ও মেজর মিলসহ প্রায় ১২শ’ চালকল রয়েছে। এতে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার নারী-পুরুষ শ্রমিক জড়িত। ইতোমধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ চালকল, বয়লার-চাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক। তিনি বলেন, প্রতিবছরের জনসংখ্যা ও উৎপাদনের হিসেব করে যদি চাহিদার তুলনায় খাদ্যের ঘাটতি থাকে, তাহলে সেই ঘাটতির চালটুকু সরকার আমদানি করলে কৃষক বা ব্যবসায়ীদের কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আর এই আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক প্রযোজ্য করা প্রয়োজন। এছাড়া দেশে উৎপাদিত সুগন্ধি আতব, মিনিকেটসহ সকল উন্নত জাতের চাল একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ রফতানি করে এবং চাহিদামতো নির্দিষ্ট পরিমাণ মোটা চাল আমদানি করা হয়, তাহলে সরকারেরও কিছু বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতে পারে।
×