ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পুণ্যস্নানে পদদলিত

মা-ছেলের মৃত্যুতে স্বজনদের আহাজারি শোকের ছায়া

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৮ মার্চ ২০১৫

মা-ছেলের মৃত্যুতে স্বজনদের  আহাজারি শোকের ছায়া

নিজস্ব সংবাদদাতা, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর ও দাউদকান্দি ॥ নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে রাজঘাটে অষ্টমী পুণ্যস্নান উৎসবে পদদলিত হয়ে শুক্রবার ভোরে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের জাবরা গ্রামের মা ও ছেলের করুণ মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে চলছে আহাজারি। বৃহস্পতিবার রাতে ঘিওরের জাবরা গ্রামের প্রায় ৫০ পুণ্যার্থী বাসযোগে নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে যান। এই বহরের মালতী রানী দাস, ছেলে নিত্য গোপাল দাস, পুত্রবধূ দিপালী দাস ও নাতনি পূজা দাস ছিলেন। পুণ্যস্নান উৎসবে তাদের সঙ্গী প্রফুল্ল ম-ল জানান, শুক্রবার ভোরে প্রচ- ভিড়ে সবাই পুণ্যস্নান করতে যাওয়ার সময় হঠাৎ মালতী দাস মাটিতে পড়ে যান। এরপর পদদলিত হয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। মাকে বাঁচাতে গিয়ে ছেলে নিত্য গোপাল দাসও পদপিষ্ট হয়ে মারা যায়। মালতী দাস জাবরা গ্রামের মৃত বলাই দাসের স্ত্রী। মালতী দাসের চার ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে নিত্য দাস ছিল সবার বড়। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে লাশবাহী গাড়ি নিহতদের বাড়ি এসে পৌঁছায়। দাউদকান্দি ॥ লাঙ্গলবন্দে পুণ্যস্নানে গিয়ে পদদলিত হয়ে নিহত দাউদকান্দি পৌর সদরের সাহাপাড়া গ্রামের কানন রানী সাহার (৫০) লাশ বিকেল তিনটায় নিজবাড়িতে পৌঁছলে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। মাতমে সাহাপাড়ার বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। কানন সাহাকে শেষ বারের মতো দেখতে ছুটে আসে শত শত নারী-পুরুষ। নিহত কানন রানী সাহার স্বামী নারায়ণ সাহা দাউদকান্দি বাজারের একজন মুদি ব্যবসায়ী। কানন সাহার শেষকৃত্য বিকেল পাঁচটায় দাউদকান্দি উত্তর সতানন্দি শ্মশানে সম্পন্ন হয়। মাদারীপুর ॥ লাঙ্গলবন্দ ট্র্যাজেডির শিকার মাদারীপুরের চরমুগরিয়া ডিগ্রী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নকুল চন্দ্র ঘোষ। তিনি বুধবার মাদারীপুর থেকে লাঙ্গলবন্দ পুণ্য¯œানের জন্য রওনা করেন। শুক্রবার সকালে নির্মম এই ঘটনার শিকার হন তিনি। দীর্ঘ ২৫ বছর সদর উপজেলার চরমুগরিয়া ডিগ্রী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা করছেন তিনি। তাঁর বাড়ি গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের ঘোষালকান্দি গ্রামে। তাঁর মৃত্যুর সংবাদে চরমুগরিয়া ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শোকে বিহ্বল হয়ে পড়ে।
×