ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইতিহাস গড়া না ইতিহাস ছাড়িয়ে যাওয়া?

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৮ মার্চ ২০১৫

ইতিহাস গড়া না ইতিহাস  ছাড়িয়ে যাওয়া?

শাকিল আহমেদ মিরাজ ॥ উন্মাদনার পাক-ভারত লড়াই, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয়া, ক্রিস গেইল-মার্টিন গাপটিলদের অতিমানবীয় ডাবল সেঞ্চুরি, ‘ডিফেন্ডিং’ চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিদায়- দারুণ সব রোমাঞ্চের জন্ম দিয়ে শেষের পথে ক্রিকেটে বিশ্ব শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। বাকি একটিমাত্র ম্যাচ। রবিবার মেলবোর্নে স্বপ্নের ফাইনালে মুখোমুখি দুই আয়োজক অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। ইতিহাস গড়া, না ইতিহাস ছাড়িয়ে যাওয়া? সাড়ে সাত ঘণ্টার ক্রিকেটীয় দ্বৈরথে তারই ফয়সালা। ইতিহাস গড়া, না ছাড়িয়ে যাওয়া- এমন প্রশ্নের উত্তরে খোদ দুই দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাও হয়ত ধান্ধায় পড়ে যাবেন! কারণ ভিন্ন প্রেক্ষাপটে দুই দলের জন্য বিষয়টা একই রকম। ইতিহাস গড়া ও ইতিহাস ছাড়িয়ে যাওয়া। ১১তম বিশ্বকাপে সপ্তমবারের (১৯৭৫, ১৯৮৭, ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ ও ২০১৫) মতো ফাইনালে খেলছে অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে টানা তিনবারসহ শিরোপ জয় ১৯৮৭, ১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০০৭ সালে। শিরোপা ও বিশ্বকাপ ফাইনালটাকে যেন পৈত্রিক সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে অসিরা। সে অর্থে মেলবোর্নের ফাইনাল মাইকেল ক্লার্কদের ইতিহাসকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মঞ্চ। আগে ছয়বার সেমিফাইনাল (১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭ ও ২০১১) খেলে একবারও ফাইনালে উঠা হয়নি নিউজিল্যান্ডের! সুতরাং এবার ফাইনালে পা রাখাটাই কিউইদের জন্য নতুন ইতিহাস। মেলবোর্নে সেটিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পালা ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম বাহিনীর। ঘরের মাটিতে খেলা, গৌরবময় ঐতিহ্য, ফাইনালের বড় দলÑ এ বিষয়গুলো যদি অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে রাখে, তবে দুটি কারণে তাদের ছাড়িয়ে নিউজিল্যান্ড। প্রথমত, গ্রুপপর্বের ছয়, কোয়ার্টার ও সেমিফাইনাল মিলিয়ে মোট আট ম্যাচে প্রতিটি প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করে অপরাজিত হিসেবে ফাইনালে উঠে এসেছে কিউইরা। যেখানে এ অস্ট্রেলিয়াকেও হারিয়েছে। এক কথায় অবিশ্বাস্য ক্রিকেট খেলছে ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, মার্টিন গাপটিল, গ্র্যান্ট ইলিয়টরা। স্বপ্নীল পারফর্মেন্সে বিশ্ববাসীকে মুগ্ধ করে চলেছে তারা। যে মুগ্ধতার সফল সমাপ্তি হতে পারে কেবলই শিরোপা জয়ে, বিশ্ব পেতে পারে নতুন এক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। উপভোগের মন্ত্রে দারুণ আত্মবিশ্বাসী সেনাপতি ম্যাককুলাম বলেন, ‘সেমির আগেই সতীর্থদের বলেছি, আমাদের সামনে প্রতিটি ম্যাচই এখন ইতিহাস। মাঠে নামো, খেলাটা উপভোগ কর এবং ইতিহাসের সাক্ষী হও, ওরা তাই করছে। উপভোগের মন্ত্রেই এ পর্যন্ত এসেছি। কারণ আনন্দের সঙ্গে সর্বোচ্চ প্রাপ্তির একটা যোগসূত্র থাকে। অস্ট্রেলিয়াকে আমরা গ্রুপপর্বে হারিয়েছি। সুতরাং ফাইনালেও সবার প্রতি একই উপদেশ থাকবে, উপভোগ কর এবং ইতিহাসের সাক্ষী হও!’ অন্যদিকে বিশ্বকাপে নিজেদের সেরা ম্যাচটা ফাইনালেই খেলার হুঙ্কার ছুড়েছেন অসি ক্যাপ্টেন মাইকেল ক্লার্ক।
×