ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের বাস্তবতা নিয়ে সংশয় বিশেষজ্ঞদের

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৮ মার্চ ২০১৫

থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের বাস্তবতা নিয়ে সংশয় বিশেষজ্ঞদের

আজাদ সুলায়মান ॥ বহুল প্রতীক্ষিত থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের সমীক্ষা প্রতিবেদনের কাজ চূড়ান্ত হবার পথে। জুনের আগেই এ প্রতিবেদন সিভিল এ্যাভিয়েশনে দাখিল করা হবে। সিঙ্গাপুর-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ একটি কোম্পানি এ সমীক্ষা প্রতিবেদন জমা দিলেও প্রস্তাবিত স্থানে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের বাস্তবতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন এ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা। সিভিল এ্যাভিয়েশন দাবি করছে, জায়গা নিয়ে কোন সমস্যা হবে না। বর্তমান টার্মিনালের দক্ষিণাংশেই নির্মিত হবে এটি। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এক বছরের মধ্যেই থার্ড টার্মিনালের কাজ শুরু করা ও তিন বছরের মধ্যেই শেষ করা সম্ভব। ওই স্থানে বর্তমানে যেসব স্থাপনা রয়েছে তা অবশ্যই বিকল্প স্থানে প্রতিস্থাপন করা হবে। কিন্তু এ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে, ১৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করে প্র্স্তাবিত থার্ড টার্মিনাল করলেও সেটা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। তারপর নতুন একটি এয়ারপোর্ট লাগবেই। কাজেই থার্ড টামিনালের চিন্তা বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধু এয়ারপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। থার্ড টার্মিনাল যত স্বল্প সময়ে করার কথা বলা হচ্ছে সেটা অবাস্তব। সমীক্ষা প্রতিবেদন পাবার পর সেটা বাছাই করা, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের অনুমোদন, অর্থায়নের উৎস খোঁজা, তারপর উন্মুুক্ত দরপত্র আহ্বান করে কাজের চূড়ান্ত আদেশ দিতে কমপক্ষে দুই বছর লাগবে। তারপর সেটা নির্মাণ করতে লাগবে আরও কমপক্ষে তিন থেকে চার বছর। অথচ এ সময়ের সঙ্গে আর পাঁচ বছর যোগ করে নিলে তো প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু এয়ারপোর্ট করা সম্ভব। এ বিষয়ে বাস্তবে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়,সমীক্ষা প্রতিবেদনে যে কয়টা প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে, তাতে বর্তমান ভিভিআইপির দক্ষিণাংশেই প্রথম অগ্রাধিকার বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ প্রস্তাব কিছুতেই যুক্তিসম্পন্ন নয় বলে উল্লেখ করছে সেখানকার পদ্মা অয়েলের ডিপো কৃর্তৃপক্ষ। পদ্মার মতে, শাহজালালে বর্তমানে দেশী-বিদেশী প্রায় ৩০্িট এয়ারলাইন্সের শতাধিক ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে প্রতিসপ্তাহে। বিমানসহ এসব এয়ারলাইন্সের সব ফ্লাইটই এ ডিপো থেকেই জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে। পদ্মা অয়েল ছাড়াও ওই এলাকায় রয়েছে দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের পুরনো ফ্লাইং ক্লাব,কয়েকটি দেশী-বিদেশী হেলিকপ্টার সার্ভিসের হ্যাঙ্গার ও আর্মি এ্যাভিয়েশনের ইউনিট। এসব প্রতিষ্ঠান কিভাবে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে, সেটা আদৌ সম্ভব হবে কিনা, এসব বিষয় নিয়ে সিভিল এ্যাভিয়েশন কোন সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। অন্যদিকে যারা শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে, তাদের হঠাৎ কিভাবে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে, সেটা অনিশ্চিত। এসব বিনিয়োগকারীর মতে, ভিভিআইপি ও পদ্মা অয়েলকে না সরিয়ে শুধু প্রাইভেট এ্যাভিয়েশনের হ্যাঙ্গার সরালেই থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের উপযুক্ত হবে না। এটা অযৌক্তিক ও অবাস্তব। প্রশ্ন করা হলে চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল এম সানাউল হক জনকণ্ঠকে বলেছেন-সমীক্ষার কাজ চলছে। এটা এখনও খুব প্রাথমিক অবস্থায়। ওই সমীক্ষা প্রতিবেদনে কি কি সুপারিশ ও পর্যব্ক্ষেণ থাকে সেটা বাস্তবায়ন করা না করা একান্তই সিভিল এ্যাভিয়েশনের ব্যাপার। আমরা পরামর্শক কোম্পানিকে বলেছি- এই আমাদের জায়গা, এখানে এই সব স্থাপনা রয়েছে, এর মধ্যে ্থার্ড ্টার্মিনাল করতে হলে কি কি করতে হবে সেটাই ওদের কাজ। প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না-কি থাকবে কি রাখা হবে। একই সঙ্গে বঙ্গব্ন্ধু বিমানবন্দর প্রকল্পের কাজও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে শুধু সেলের ওপর নির্ভর করে বসে থাকলে চলবে না। সব কাজই চলছে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে। সিভিল এ্যাভিয়েশনের প্রধান প্রকৌশলী সুধেন্দু বিকাশ গোস্বামী জানান,ইতোমধ্যে প্রস্তাবিত থার্ড টার্মিনালের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি প্রাইভেট এয়ারলাইন্স কোম্পানির স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য নোটিস দেয়া হয়েছে। এখন দেখা যাক, কত দ্রুত সময়ে তারা সেগুলো সরিয়ে নেয়। তবে কাজ শুরু করতে করতে হয়ত সময় লাগবে। তার আগ পর্যন্ত তারা থাকতে পারবে। সূত্র জানায়-সমীক্ষা প্রতিবেদনে একাধিক প্রস্তাবনা রাখা হয়েছ। প্রত্যেকটিতেই থার্ড ্টার্মিনালের স্থান হিসেবে বর্তমান টার্মিনালের দক্ষিণাংশ থেকে সোজা দক্ষিণের পদ্মা সেতু পর্যন্ত স্থানটিকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। থার্ড টামিনাল করতে হলে এখানেই করতে হবে। সে ক্ষেত্রে সরিয়ে নিতে হবে এখান্কার সব স্থাপনা। কি কি আছে ওখানে ॥ যেস্থানে থার্ড টার্মিনাল করার জন্য প্রাথমিকভাবে বাছাই বা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে সেখানে বিপুলসংখ্যক সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। আছে বিমানের সদর দফতর বলাকা,ভিভিআইপি টার্মিনাল, পদ্মা অয়েল ডিপো, দীর্ঘ ৫০ বছরের পুরনো ফ্লাইং ক্লাব, বেসরকারী এয়ারলাইন্স আরিরাং, হেলিকপ্টার সার্ভিসেস আর এ্যান্ড আর এ্যাভিয়েশন, বাংলা এয়ার, স্কয়ার এয়ার, বিআরবি এয়ার, মেঘনা এয়ার, পিএইচপি ও আর্মি এ্যাভিয়েশন। আরও আছে সেমসু, আর্মড পুলিশের কোয়ার্টার, পুকুর, জলাশয় ও বাগান। এত প্রতিষ্ঠান রেখে কিভাবে এখানে থার্ড টামিনাল নির্মাণ করা হবে সে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে এ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা অবাস্তব ও অযৌক্তিক। যেমন পদ্মা অয়েলের ডিপো বহাল তবিয়তে রেখে কিছুতেই সমীক্ষা প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত স্থানে থার্ড টার্মিনাল তৈরি করা যাবে না। নিরাপত্তার বিষয়ে এটা খুবই জটিল। পদ্মা অয়েলের ডিপো রয়েছে সেটা বেশ সুবিস্তৃত। দক্ষিণ থেকে উত্তরের শেষ সীমায় এর ডিপো বরাবর রানওয়ে নির্মাণ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। রানওয়ের পাশেই যদি তেলের মজুদাগার থাকে সেখানে দুর্ঘটনা ঘটার সমুহ আশঙ্কা থাকে। সুপরিসর জেট বিমানগুলো ওঠানামা করার সময় রানওয়ে কম্পনজনিত কারণে, তেলের সঙ্গে ঘর্ষণজনিত কারণে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। এটা কোন যুক্তিতেই ধোপে টেকানো যাবে না। জ্বালানি বিশেষজ্ঞগণের অভিমত, বর্তমান টার্মিনাল যেখানে আছে সেটার এত কাছে ডিপো রাখাও ঠিক নয়। তার ওপর যদি থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের জন্য পদ্মা অয়েলের সীমা ঘেঁষে রানওয়ে তৈরি করা হয়, সেই কারিগরি অনুমোদন কারোর পক্ষেই দেয়া সম্ভব হবে না। এসব বিবেচনা করলে থার্ড টার্মিনালের বতর্মান প্রস্তাব পরিবর্তন করার কোন বিকল্প নেই। সিভিল এ্যাভিয়েশন সূত্র জানায়,বর্তমান পদ্মা অয়েল ডিপো ও ভিভিআইটি লাউঞ্জ বহাল তবিয়তে রেখেই চিন্তা করা হচ্ছে থার্ড টার্মিনাল তৈরির। সেভাবেই নির্দেশ দেয়া হয়েছে পরামর্শক কোম্পানিকে নক্সা চূড়ান্ত করতে। এ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের মতে,এত স্থাপনা রেখে যেমন ওখানে থার্ড টার্মিনাল তৈরি করা যাবে না তেমনি এসব প্রভাবশালীকে রাতারাতি উচ্ছেদ করাও সহজ কাজ হবে না। সিভিল্ এ্যাভিয়েশন মাত্র দু’তিন বছর আগে এসব প্রাইভ্টে এয়ারলাইন্সকে হ্যাঙ্গার তৈরির অনুমোদন দিয়েছে। এতে কোম্পানিগুলো শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে। এখন আবার তাদের রাতারাতি সরানোর উদ্যোগও অযৌক্তিক ও অন্যায্য। এদের কেউ যদি আদালতের আশ্রয় নেয়, তাহলেই পরিস্থিতি আরও জটিল হবে। আসলে এদের স্থাপনা তৈরির অনুমোদন দেয়ার আগে সিভিল এ্যাভিয়েশনের উচিত ছিল বিষয়টি ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করা। এ বিষয়ে এ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও বর্তমান ফ্লাইং ক্লাবের ক্যাপ্টেন আহমেদ ফজলুর রহমান জনকণ্ঠকে তার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, কারা-কি কারণে থার্ড টার্মিনালের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে,এখানে আদৌ থার্ড টার্মিনাল করাটা যৌক্তিক ও নির্ভরযোগ্য হবে কিনা, সেটা নিয়েই তো প্রশ্ন রয়ে গেছে। কারণ, একটি থার্ড টামির্নাল নির্মাণ করতে কত টাকা লাগবে, সেটা কতদিন ব্যবহার করা যাবে, তারপর কি হবে এগুলোই তো আগে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। মূল্যায়ন করতে হবে। তা না হলে এটা হবে হঠকারি সিদ্ধান্ত। তিনি জানান, এশীয় প্যাশিফিক দেশের মধ্যে বিমান যাত্রী বৃদ্ধির শীর্ষ দশ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। সারা বিশ্বে বতর্মানে এক বছরে যাত্রী বাড়ছে ৬ থেকে ৭ শতাংশ হারে। এশীয় প্যাসিফিক অঞ্চলে এ হার ৭ থেকে ৮ শতাংশ। তার মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সবার শীর্ষে ৮ থেকে থেকে ৯ শতাংশ। বর্তমানের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার হয় বছরে ৬০ থেকে ৬৫ লাখ। এ সব যাত্রী সামাল দিতে গিয়ে পিক আওয়ারে প্রচ- হিমশিম খেতে হয়। ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে কনভয় বেল্ট পর্যন্ত বিশাল লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বাইরের ক্যানোপি থেকে পার্কিং কাউন্টার প্রতিটি পয়েন্টে আস্বাভাবিক ভিড় দেখা দেয়। যাত্রী দর্শনার্থীদের সেবা দূরের কথা,অসহনীয় পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। এক সঙ্গে ৬ /৭ টা ফ্লাইট নামলেই পরিস্থিতি সামাল দেয়া দুরূহ হয়ে পড়ে। তখন যে চিত্র চোখে পড়ে, তাতে এটাকে সচল বিমানবন্দর বলার উপায় থাকে না। তিনি জানান,যে হারে যাত্রী বাড়ছে,তাতে ২০২০ সালে সেটা দাঁড়াবে প্রায় এক কোটি। আর র্আও এক যুগ পর অর্থাৎ ২০৩২ সালে সে যাত্রীর সংখ্যা দাঁড়াবে কমপক্ষে দেড় কোটি। তখন থার্ড টামিনাল দিয়েও এসব যাত্রীর সেবা দেয়া সম্ভব নয়। এ বিবেচনায় এখনই নতুন করে একটা এয়ারপোর্ট করতে হবে। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু এয়ারপোর্র্ট নির্মাণের কোন বিকল্প নেই । শুধু শুধু ্থার্ড ্টার্মিনালের ধুয়া তুলে পরিস্থিতি জটিল করার কোন মানে হয় না। ক্যাপ্টেন ফজলুর রহমান আরও সুস্পষ্ট করে বর্তমান শাহজালালের পাশে থার্ড টার্মিনালের পরিবেশগত প্রতিকূলতার উদাহরণ টেনে বলেন-এমনিতেই এ এয়ারপোর্টের চারপাশে আবাসিক এলাকা। উড়োজাহাজের টেক অফ ও ল্যান্ডিং করাটাও জনস্বাস্থ্যের প্রতি চরম হুমকিস্বরূপ। এসব বিবেচনায় বর্তমান শাহজালালের পরিধি ও আয়তন না বাড়িয়ে বরং অন্যত্র একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করা। আগামী এক শ’ বছরের চিন্তা মাথায় রেখে এখনই একটি অত্যাধুনিকমানের বিমানবন্দর নির্মাণ করতে হবে। এই বাস্তবতার আলোকেই এখন আমাদের উচিত সরকারকে এখনই পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করা; তা না হলে আমাদের মিলেনিয়াম গোল অর্জনও কঠিন হয়ে যাবে। এ বিষয়ে সাবেক বিমানমন্ত্রী কর্নেল ফারুক খানও জনকণ্ঠকে বলেন-থার্ড টার্মিনালের চাইতেও ব্ঙ্গবন্ধু এয়ারপোর্ট নির্মাণের ওপর বেশি মনোযোগ দেয়া উচিত। বিগত সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধু এয়ারপোর্ট প্রকল্পের কাজ অনেকটাই অগ্রসর হয়েছিল । আমি নিজে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আশ্বাস আদায় করেছিলাম, তারা পৃথিবীর সেরা ইনচেন এয়ারপোর্টের মতো ব্ঙ্গবন্ধু এয়ারপোর্ট তৈরি করে দেবে। বিওটি পদ্ধতিতে তারা অর্থায়নেও আগ্রহী ছিল। তারপর কেন সেটা হচ্ছে না তা আমার বোধগম্য নয়। তবে পদ্মা সেতুর মতোই গুরুত্ব দিয়ে এখনই উচিত বঙ্গবন্ধু এয়ারপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া। জানা যায়, বিগত মহাজোট সরকারের আমলের বিমানমন্ত্রী কর্নেল ফারুক খান এ বিষয়ে প্রাথমিক প্রস্তাবনা উপস্থাপনের পর নেয়া হয় থার্ড টার্মিনালের উদ্যোগ। গত জুলাইয়ে একটি বিদেশী কোম্পানিকে পরামর্শক নিয়োগ করা হয়। সিঙ্গাপুরের সিপিজে,কোরিয়ার উসিন ও বাংলাদেশের শীর্ষ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ডিডিসি যৌথভাবে এই পরামর্শকের কাজের কার্যাদেশ পায়। এখন চলছে সমীক্ষার কাজ। জুনের আগেই সমীক্ষার কাজ শেষ হচ্ছে বলে আশাবাদী সিভিল এ্যাভিয়েশন। সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান প্রকৌশলী সুধেন্দু বিকাশ গোস্বামী জনকণ্ঠকে বলেন, থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের স্থান হিসেবে প্রাথমিকভাবে বর্তমানের ভিভিআইপি টার্মিনাল থেকে শুরু করে দক্ষিণদিকের হেলিপ্যাড টার্মিনাল পর্যন্ত সুবিস্তৃত জায়গা বাছাই করা হয়েছে। এ জন্য হেলিকপ্টার টার্মিনাল অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে নোটিস দেয়া হয়েছে। থার্ড টামির্নাল নির্মাণ কাজ শুরুর আগেই সেসব স্থাপনা সরিয়ে নেয়া হবে। স্থানান্তর করা হবে চার দশকের পুরনো ফ্লাইং ক্লাবও। সেকেন্ড রানওয়েটাও ওই সীমানা বরাবর বর্তমান রানওয়ের দক্ষিণদিকে বিস্তৃত হবে।
×