ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নদীর নামেই পদ্মা সেতু হবে, অন্য কারও নামে নয় ॥ ও. কাদের

প্রকাশিত: ০৮:০৭, ২৭ মার্চ ২০১৫

নদীর নামেই পদ্মা সেতু হবে, অন্য কারও নামে নয় ॥ ও. কাদের

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ২৬ মার্চ ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা নদীর নামেই সেতুর নামকরণ করা হবে, অন্য কারও নামে এ সেতুর নামকরণ করা হবে না। জাতীয় সংসদে ও সংসদের বাইরে অনেকে দাবি নিয়ে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু বা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে ‘পদ্মা সেতু’র নামকরণের জন্য। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বা বঙ্গবন্ধু পরিবারের কারও নামে কোন কিছু করতে হলে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট্রের অনুমোদন নিতে হয়। এ ব্যাপারে ট্রাস্টের বৈঠকেও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, পদ্মা নদীর নামেই পদ্মা সেতুর নামকরণ করা হবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাও ব্যক্তিগতভাবে একই ইচ্ছা পোষণ করেছেন। স্বাধীনতা দিবসের নানা কর্মসূচীতে যোগ দিতে এসে বৃহস্পতিবার সকালে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনি বললেন যৌক্তিক পরিণতিতে না পৌঁছা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। যে আন্দোলনে জনগণ নেই, যে আন্দোলনের অর্থই হচ্ছে নাশকতা সে আন্দোলন কখনও যৌক্তিক পরিণতিতে যাবে না। আপনার কর্মসূচীই অযৌক্তিক। যৌক্তিক কর্মসূচী ছাড়া যৌক্তিক পরিণতি আপনি কি করে বুঝবেন? তাহলে কি বোমা হামলার ভয়ে সরকার পদত্যাগ করবে? বোমাবাজির কাছে নতি স্বীকার করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা কি ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন? এটা যাঁরা ভাবছেন তাঁরা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, জাতির জনককে নিয়ে যারা কটাক্ষ বা অপমানজনক কথা বলে তাদের জাতীয় দুশমন ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। তিনি বলেন, বোমাবাজি, পেট্রোল বোমাসহ চোরাগোপ্তা হামলা, গণহত্যা করে পৃথিবীর কোন দেশে সরকারের পতন ঘটেছে এমন নজির নেই। সরকারের পতন ঘটাতে হলে হয় নির্বাচনে যেতে হবে, অন্যথায় গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে। গণঅভ্যুত্থান তো বাংলাদেশে একবারই হয়েছে স্বাধীনতার সপক্ষে। এর আগে সকাল নয়টায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে জাতির জনকের সমাধিবেদীতে ফুল দিয়ে তাঁর প্রতি ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। এরপর সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনায় সেখানে অনুষ্ঠিত হয় ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত। এ সময় জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে ফুল দিয়ে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। জোহর নামাজের পর টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু মাজার কমপ্লেক্স মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনাসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহ্ফিল। এসব কর্মসূচীতে যোগ দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক চৌধুরী এমদাদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রাজা মিয়া বাটু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আবদুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার খায়ের, পৌর মেয়র এসএম ইলিয়াস হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
×