ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ২৭ মার্চ ২০১৫

উবাচ

পরামর্শক ব্যানা হু স্টাফ রিপোর্টার ॥ তিনি বিএনপির প্রভাবশালী সদস্য, ছিলেন মন্ত্রীও। দল বদলে তাঁর জুরি নেই। তিনি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা (ব্যানা হু)। নানা কারণে তাঁর সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব তৈরি হয়েছে। দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু তাতে কী। বসে নেই তিনি। রাজনীতিতে আছেন। থাকবেনও। বিকল্প রাজনৈতিক প্লাটফরম তৈরি করেছেন সাবেক এই যোগাযোগমন্ত্রী। বর্তমানে কিছু নাম সর্বস্ব রাজনৈতিক দল নিয়ে দেশের রাজনীতিতে সর্ববৃহৎ ২৯ দলীয় জোট গঠন করেছেন। পুরনো দলের প্রতি এখনও তাঁর যথেষ্ট প্রীতি। তাই তো বিএনপির ভুলত্রুটি নিয়েই বিভিন্ন সময় তিনি কথা বলেন। পরোক্ষভাবে পরামর্শ দেন। হয়ত ফের দলে ভিড়তে চান। আসন্ন ঢাকা (উত্তর-দক্ষিণ) সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন জোট বাংলাদেশ ন্যাশনাল এ্যালায়েন্স (বিএনএ)। এ জোট থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবারের এই অনুষ্ঠানে ব্যানা হুদা বলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিয়ে ভুল করেছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত বিএনপির জন্য আত্মঘাতী বলেও মনে করেন। তিনি আরও বলেন, আসন্ন তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও বিএনপির অংশ নেয়া উচিত। দল টিকিয়ে রাখা ও নেতাকর্মীদের মনোবল ধরে রাখতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। বিএমপি সভাপতি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা আরও বলেন, দল পরিচালনায় খালেদা জিয়াকে আরও কঠোর হতে হবে। সিদ্ধান্তে অটল থাকা উচিত। অনেকেই তাকে ভুল পরামর্শ দেন। হয়ত এ কারণেই নির্বাচন বিমুখ বিএনপি। নাজমুল হুদার বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টিসহ (বিএমপি)সহ ২৯টি দল নিয়ে গঠন করা হয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল এ্যালায়েন্স (বিএনএ)। ব্যর্থ আন্দোলন প্রত্যাহার করুন! স্টাফ রিপোর্টার ॥ একি কথা বললেন তিনি। তাঁর তো একথা বলার কথা নয়। কি হয়েছে কে জানে। বিএনপির শুভাকাঙ্খী হিসেবে পরিচিত কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোটের চলমান সহিংস আন্দোলন নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন। পাশাপাশি কিছু পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। যদিও খোদ বিএনপির অনেকেই চলমান আন্দোলনে বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এই আন্দোলনে দেশের মানুষের যেমন সমর্থন নেই, তেমনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও ধারণা নেতিবাচক। দেশের মানুষও আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানে মতিঝিলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ফুটপাথে টানা অবস্থান কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছেন কাদের সিদ্দিকী। মাঝে মাঝে সংবাদ সম্মেলনেরও আয়োজন করেন। চলতি সপ্তাহের সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ব্যর্থ আন্দোলন প্রত্যাহার করুন। গো ধরে বসে থাকবেন না। এতে সফল হওয়ার সুযোগ নেই। আন্দোলন শিথিল করুন। আন্দোলন শিখে মাঠে নামুন। ফের আন্দোলনের ডাক দিন, যেন মানুষ সাড়া দেয়, সফল হয়। এখন যা হচ্ছে, এতে মানুষের সাড়া নেই। সফলতাও নেই। তিনি আরও বলেন, আন্দোলন এখন আপনার হাতে নেই। গোয়েন্দাদের হাতে। তাই আন্দোলন থেকে সড়ে দাঁড়ান। সুষ্ঠু নির্বাচন করব! স্টাফ রিপোর্টার ॥ যে কোন নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক আছেই! সতত্যা থাক আর না থাক, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যদিও অনেকেই এ বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখেন না। বিশেষ করে পরাজিতরাই নানা অজুহাতে নির্বাচনকে প্রশ্নের মুখে ফেলেন। জন্ম দেন বিতর্কের। আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোটের অংশগ্রহণ নিয়ে নাটকের শেষ নেই। তাদের হয়ে নেতা, বুদ্ধিজীবীসহ সুশীল সমাজের দাবি করা প্রতিনিধিরা আগে ভাগেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু করেছেন। নানা শর্তের বেড়াজালে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের দাবিও জানাচ্ছেন তারা। এর প্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি। তারা ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। বৈঠকে প্রতিনিধি দলের বক্তব্য শুনে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ। বলতে হবে, কাজের কাজই করেছেন তিনি। যা করেছেন তা সময়মতোই করেছেন। তবে মনোনয়নপত্র দাখিল নিয়ে প্রতিনিধি দলের দাবি নাকচ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। অধ্যাপক এমাজউদ্দীনের দাবি ছিল, পরপর তিন দিন (২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ) সরকারী ছুটির কারণে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় পর্যাপ্ত নয়। তবে সিইসির বক্তব্য, মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে। বৈঠকে এমাজউদ্দীন আহমদ সরকারী ছুটির কারণে মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য দুই থেকে তিন দিন সময় বাড়ানোর দাবি জানান। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে প্রচুর সাড়া পড়েছে। সাধারণত মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য ৭ থেকে ৮ দিন সময় দেয়া হয়। আমরা তফসিলের পর ১০ দিন সময় দিয়েছি। কাজেই যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী শুক্রবার এবং শনিবারও নির্বাচন কমিশন খোলা থাকবে। ব্যাংকও খোলা রাখতে বলেছি। তিনি বলেন, হঠাৎ করেই নির্বাচন দেয়া হয়নি। ১০ মার্চেই আমাদের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। রোজা, খেলা এসব বিবেচনায় এপ্রিলের শেষে ২৮ এপ্রিল নির্বাচন দেয়া হয়েছে। বিএনপির দাবি অনুযায়ী জেলে থাকা নেতারা নির্বাচনে ইচ্ছুক হলে জামিনের ব্যবস্থা নেবেন কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, যারা আত্মগোপনে রয়েছে, আমরা কীভাবে তাদের খুঁজে বের করব? যারা পলাতক আছেন তাদের আমরা কিভাবে বের করব। এটা তো নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নয়। অধ্যাপক এমাজউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা তাদের বলেছি, অতীতে যেভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করেছি এবারও সেভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন করব। কিছু সীমাবদ্ধতা ॥ লেজে মাহবুব স্টাফ রিপোর্টার ॥ দারুণ সীমাবদ্ধতায় রয়েছেন দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। হরতাল অবরোধে সারাদেশের মানুষকে জিম্মি করতে গিয়ে নিজেই এখন আর ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শহীদ দিবস এবং স্বাধীনতা দিবসেও তিনি এখন জাতীয় বীরদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনার এবং স্মৃতিসৌধে যাচ্ছেন না। শ্রদ্ধা জানানোর ক্ষেত্রে নাকি তিনি সীমাবদ্ধতায় ভুগছেন। দলের স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য লেজে (অব.) মাহাবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া ‘সীমাবদ্ধতার জন্য’ শহীদ মিনার এবং স্মৃতিসৌধে যেতে পারেননি। বিএনপি নেত্রীর ক্ষেত্রে বিষয়টি রেকর্ড, পর পর দুটি দিবসে এভাবে নিজেকে ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রাখা। যদিও বিএনপি দাবি করে থাকে তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমাই দেশের স্বাধীনতার ঘোষক। এককভাবে দেশের রাজনীতিতে ফায়দা হাসিলের জন্য স্বাধীনতার ঘোষণার শব্দটিকে নানাভাবে নিজেদের পক্ষে নিতেও তৎপর থাকে তারা। কিন্তু সেই স্বাধীনতা দিবসে কেন বেগম জিয়া নিজেই নিজেকে অন্তরীণ রাখছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
×