ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অবশেষে পেট্রোল বোমার কাছে হেরে গেলেন খোরশেদ

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২৭ মার্চ ২০১৫

অবশেষে পেট্রোল বোমার কাছে হেরে গেলেন খোরশেদ

স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল ॥ যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ায় আবারও শোকের মাতম। চাঁদপুরে পেট্রোলবোমায় দগ্ধ হয়ে গরু রাখাল খোরশেদের (৩২) মৃত্যু। ৮ দিন শরীরে অসহ্য পোড়া যন্ত্রণা নিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে বুধবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যায়। বৃহস্পতিবার লাশ বাগআঁচড়ার বাড়িতে পৌঁছানোর পর স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাশ ভারী হয়ে উঠে। এ সময় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। তার অকাল মৃত্যুতে বাগআঁচড়াসহ আশপাশের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পেট্রোলবোমায় দগ্ধ খোরশেদকে এক নজর দেখার জন্য তার বাড়িতে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। তার লাশ দেখে অনেকেই কেঁদে ফেলেন এবং অপরাধীদের ধিক্কার জানাতে থাকে। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি খোরশেদ অভাব অনটনের সংসারে দিনমজুরিসহ যখন যে কাজ পেয়েছেন, সেই কাজ করেছেন। স্ত্রী সন্তানসহ সবাইকে নিয়ে অতি কষ্টে দিন এনে দিন খেয়ে কোনভাবে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ১৭ মার্চ মঙ্গলবার বাগআঁচড়া সাতমাইল পশু হাট থেকে গরুরাখাল হিসেবে ট্রাকে যাওয়ার জন্য স্ত্রী আয়শা খাতুনসহ পরিবারের সকলের কাছ থেকে বিদায় নেয়। ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস দাবিতে আলোর মিছিল নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ২৬ মার্চ ॥ ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবিতে মাদারীপুরে আলোর মিছিল করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। বুধবার রাত ৯টার দিকে শহরের লেকেরপাড় শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভের সামনে থেকে একটি আলোর মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ আঃ বারি, সদস্য সুবল বিশ্বাস, শহিদুল কবির, রতন কুমার দাস, জহিরুল ইসলাম খান প্রমুখ। নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা থেকে জানান, ’৭১-এর ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে অপারেশন সার্চ লাইটের নামে বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী ঢাকাসহ সারাদেশে বুদ্ধিজীবী এবং অসহায় মানুষদের নির্বিচারে হত্যা করে। সেই কালরাত্রি স্মরণে গাইবান্ধায় বুধবার সন্ধ্যায় জেলা বধ্যভূমি সংরক্ষণ কমিটির উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে প্রজ্বলিত মোমবাতি হাতে নিয়ে বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষের এক আলোর মিছিলে অংশ নেয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন বধ্যভূমি সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক জিএম চৌধুরী মিঠু। পরে পৌর শহীদ মিনার থেকে প্রজ্বলিত মোমবাতি হাতে আলোর মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলটি জেলা শহরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন কফিল শাহর গোডাউনের তৎকালীন কুখ্যাত টর্চারসেল ও বধ্যভূমিতে গিয়ে প্রজ্বলিত মোমবাতি রেখে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
×