স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষার ফরম পূরণ ও নিবন্ধন শেষ হয়েছে আগেই। যশোর শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার শাখা থেকে বিভিন্ন কলেজে ভুলে ভরা আটশ’ শিক্ষার্থীর নিবন্ধনপত্র দেয়া হয়েছে। এগুলো সংশোধন করতে দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষকদের বোর্ডে ধরনা দিতে হচ্ছে। কলেজের শিক্ষকদের অভিযোগ, শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার শাখায় রেজিস্ট্রেশন কাজ সঠিকভাবে করা হয় না। ফলে নিবন্ধন কার্ডে ছাত্রের পরিবর্তে ছাত্রীর ছবি, নামে ও বিষয়ে ভুল ছাপা হয়। আবার অনেক নিবন্ধনে শিক্ষার্থীর নাম বাদ পড়ে। এ ধরনের অভিযোগ বুধবার যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে সরাসরি দাখিল করেন ফকিরহাট ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ বৈদ্যনাথ হালদার। তিনি জানান, তার কলেজে খুলনার পাইওনিয়ার কলেজ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে সুতি রায় নামে এক ছাত্রী ভর্তি হয়। ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজ থেকে ফরম পূরণ করলেও ওই ছাত্রীর নাম নিবন্ধন তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। কিন্তু পাইওনিয়ার কলেজের তালিকায় সুতি রায় নামে ছাত্রীর নাম ছাপা হয়েছে। কুষ্টিয়ার আমেনা খাতুন কলেজের প্রধান অফিস সহকারী পিযুষ কান্তি জানান, তার কলেজের ছাত্র বিধান বিশ্বাসের নিবন্ধনে ছাপা হয় সন্ধ্যা বিশ্বাস নামে ছাত্রীর ছবি। সেটি সংশোধন করতে কষ্ট করে বোর্ডের কম্পিউটার শাখায় আসতে হয়েছে। কলেজ শিক্ষকরা বলছেন, ভুল হয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষের, কিন্তু তারা স্বীকার করতে চাই না। কলেজ অধ্যক্ষদের কাছ থেকে বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ ভুল সংশোধনের জন্য যে আবেদন গ্রহণ করছেন, সেখানে লিখতে বলা হচ্ছে, কলেজ কর্তৃপক্ষের ভুল হয়েছে। অতএব ভুলটি সংশোধন করে দেয়া হোক।
কম্পিউটার শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখান থেকে এইচএসসি পরীক্ষার আটশ’ নিবন্ধন পত্রে ভুল হয়েছে। কম্পিউটার শাখার সিনিয়র কম্পিউটার এ্যানালিস্ট জাহাঙ্গীর কবির বলেন, শিক্ষকদের কারণে এ ভুল হচ্ছে। পরে কথা পরিবর্তন করে বলেন, অনেক কাজ করতে গেলে ভুল তো হতেই পারে। শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, সচেতন হলে ভুল সংশোধন করা সম্ভব। এজন্য সম্মিলিতভাবে সকলকে কাজে আন্তরিক হতে হবে। এ বিষয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
কক্সবাজারে হঠাৎ বৃষ্টিতে গলে গেছে লাখ টাকার লবণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ দেশের একমাত্র লবণ উৎপাদনকারী জেলা কক্সবাজারে লবণ উৎপাদন মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে লাখ লাখ টাকার লবণ গলে গেছে। বুধবার রাতে হঠাৎ বৃষ্টির কারণে থমকে গেছে কক্সবাজার জেলার লবণ চাষাবাদ। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে রাত ৯টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। টানা দেড় ঘণ্টা বৃষ্টির ফলে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়া, টেকনাফ ও সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার লবণ মাঠে স্তূপকরা এবং উৎপাদিত লবণ বৃষ্টির পানিতে মিশে গেছে। বিশেষ করে পলিথিন পদ্ধতিতে উৎপাদিত সাদা লবণ গলে গিয়ে চাষীরা সীমাহীন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। চলতি বছর লবণ মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিকানি মাঠে মাত্র ১৭০-১৮০ মণ লবণ উৎপাদিত হয়েছে। বৃষ্টির কারণে আপাতত উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে বাংলাদেশ লবণ চাষী সমিতির কক্সবাজার সদর উপজেলা শাখার সভাপতি হান্নান মিয়া জানান, মাঠে আবার লবণ উঠতে কমপক্ষে ৬-৭ দিন সময় লাগবে।