ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধু পরিষদের আলোচনা

বাংলাদেশের জন্মই হয়েছে ষড়যন্ত্র মোকাবেলার মধ্য দিয়ে

প্রকাশিত: ০৭:৫০, ২৬ মার্চ ২০১৫

বাংলাদেশের জন্মই হয়েছে ষড়যন্ত্র মোকাবেলার মধ্য দিয়ে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের জন্মই হয়েছে ষড়যন্ত্র মোকাবেলার মধ্য দিয়ে। বঙ্গবন্ধু শান্তিপূর্ণ উপায়ে তৎকালীন সঙ্কটের সমাধান চেয়েছিলেন। পাশাপাশি মুক্তি সংগ্রামের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়ার কথাও প্রকাশ্যে বলেছিলেন। অথচ ২৫ মার্চ রাতেই ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে যায়। আবার স্বাধীন বাংলাদেশ বিরোধী প্রথম ষড়যন্ত্রের শিকারও স্বয়ং বঙ্গবন্ধু। জাতীয় চার নেতা হত্যা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র- সবই এক সূত্রে গাঁথা। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সমুন্নত রাখতে এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। বুধবার বিকেলে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাব ভবন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদ এর আয়োজন করে। আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ এস এ মালেকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশ মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, শহীদ বুদ্ধিজীবী ডাঃ আলীম চৌধুরীর কন্যা ডাঃ নুজহাত চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন প্রমুখ। সভার প্রধান বক্তা হিসেবে অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ষড়যন্ত্র মোকাবেলার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। আর স্বাধীন বাংলাদেশ বিরোধী প্রথম ষড়যন্ত্রের শিকার স্বয়ং বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার। একাত্তরের পরাজিত শক্তি এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এ ষড়যন্ত্র নস্যাত করতে জনতার ঐক্য ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের একযোগে কাজ করা প্রয়োজন। ইব্রাহিম খালেদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ই মেজর জিয়াউর রহমানের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে সেনাপ্রধান কর্নেল ওসমানী তাকে যুদ্ধের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিভেদ সৃষ্টির আশঙ্কায় তাজউদ্দিন আহমেদ ওসমানীকে নিবৃত্ত করেন। অথচ তাজউদ্দিনসহ চার জাতীয় নেতাকে হত্যা পরবর্তী সময়ে মেজর জিয়াই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে স্বাধীনতাবিরোধীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন। ডাঃ নুজহাত চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী সময়ে পাঠ্যপুস্তকে একটি মাত্র অনুচ্ছেদে সীমাবদ্ধ ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। আমাদের প্রজন্মকে এভাবেই বিকৃত ইতিহাস শেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতা মানেই যে ধর্মহীনতা নয় তা ছোটবেলাতেই শিশুদের বুঝানোর জন্য নতুন প্রজন্মের অভিভাবকদের আহ্বান জানান। শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রই তার গৌরবের ইতিহাসকে বিতর্কিত করে না। কিন্তু বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।
×