ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুন্সীগঞ্জে সেতুমন্ত্রী

পদ্মা সেতুর মূল পাইলিং কাজ অক্টোবরে

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ২৬ মার্চ ২০১৫

পদ্মা সেতুর মূল পাইলিং কাজ অক্টোবরে

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতুর মূল পাইলিং এবং নদী শাসনের মূল কাজ আগামী অক্টোবরে শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে সেতুর ট্রাইল পাইলের কাজ শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে নদী শাসনের প্রাথমিক কাজও চলছে। এছাড়া সেতুর অন্যান্য কাজ শিডিউল অনুযায়ী এগিয়ে চলছে। তিনি বুধবার দুপুরে দেশের বৃহত্তর প্রকল্প পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট উর্র্ধতন কর্মকর্তা ও সেতুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, মুন্সীগঞ্জের মাওয়া থেকে ঢাকার বাবুবাজার পর্যন্ত রাস্তাকে চার লেনে উন্নীত করা হবে। সিলেটে ১৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বীমা কর্মকর্তা গ্রেফতার স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ জালিয়াতির মাধ্যমে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় জীবন বীমা কর্পোরেশন সিলেটের সাবেক আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোঃ আবদুল লতিফ চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে দুদক। বুধবার দুপুর পৌনে একটার দিকে আম্বরখানার কর্পোরেশনের আঞ্চলিক অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। লতিফ চৌধুরী কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ফালগুনকরা গ্রামের মৃত আবদুর রহমান চৌধুরীর ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকা খিলক্ষেত নিকুঞ্জ-২ এর ১/এ রোডের ৩নং বাসায় বসবাস করেন। দুদক কর্মকর্তা মোজাহার আলী জানান, গত ২০০২ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত আবদুল লতিফ চৌধুরীসহ ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে ৫ হাজার ৮৫৮টি প্রিমিয়াম জালিয়াতির মাধ্যমে ১৩ কোটি ৫৮ লাখ ৪২ হাজার ৩০২ টাকা আত্মসাত করেন। এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের করুণ কথা মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ ॥ তানজর আলী মাস্টার। হানাদার বাহিনীকে পরাভূত করে দেশ স্বাধীন করেছেন কিন্তু স্বাধীন দেশে পাকি দোসরদের হাতে খুন হয়েছেন। ১৯৭৯ সালের ২৩ জুনের ঘটনা এটি। সিরাজদিখান উপজেলার পাউসার গ্রামের এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, তাঁর সম্পত্তি গ্রাস করেছে চক্রটি। অবস্থা বেগতিক দেখে স্ত্রী সাহিদা বেগম পার্শ্ববর্তী সৈয়দপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানেও চক্রটির থাবা। প্রাণভয়ে রাতের আঁধারে শিশুসন্তানদের নিয়ে ঢাকায় আশ্রয় নেন। সর্বস্ব হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে পরিবারটি। সাহিদা বেগম ঢাকায় একটি ছোট চাকরি নিয়ে সন্তানদের মানুষ করার চেষ্টা করছেন। যুদ্ধকালীন কমান্ডার মোঃ নাসির উদ্দিন খানের অধীনে শিবরামপুর ক্যাম্পে সশস্ত্র ট্রেনিং গ্রহণ করেন। ২নং সেক্টরে যুদ্ধ করে প্রিয় মাতৃভূমিকে পাক হানাদারমুক্ত করেন। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে যুদ্ধকালীন কমান্ডার মোঃ নাসির উদ্দিন খান বলেন, তানজর আলী শিক্ষকতায় যেমন মেধাবী ছিলেন, রণাঙ্গনেও তাঁর রণকৌশল ও সাহস প্রশংসার দাবিদার। তাঁর ভেতর ছিল অফুরন্ত দেশপ্রেম। যুদ্ধকালীন আরেক কমান্ডার আনসার উদ্দিন হায়দার বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে আমার সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। তাঁর যুদ্ধকৌশল আমাকে মুগ্ধ করেছে। তিনি পাক হানাদারদের সঙ্গে যুদ্ধে জয়ী হলেও দোসরদের সঙ্গে পারেননি। মুক্তিযোদ্ধা হত্যার ৩৬ বছরেও বিচার পায়নি পরিবার।
×