ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হতাশ বাবা নূরুল ইসলাম

ফেলানী হত্যার পুনর্বিচার চার মাস পর বসলেও কার্যক্রম হয়নি

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ২৬ মার্চ ২০১৫

ফেলানী হত্যার পুনর্বিচার চার মাস পর বসলেও কার্যক্রম হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ আলোচিত ফেলানী হত্যার পুনর্বিচার কার্যক্রম ৪ মাস মুলতবি থাকার পর বুধবার সকালে ভারতের বিশেষ আদালত বসে। ৫ সদস্যের বিচারকমণ্ডলী উপস্থিত থাকলেও অসুস্থতার কারণে উপস্থিত হতে পারেননি ভারতের সরকারী আইনজীবী। এ কারণে আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে পুনরায় বৃহস্পতিবার আদালত বসার দিন ধার্য করা হয়। কুড়িগ্রাম-৪৫ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল জাকির হোসেনকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে ভারতের ৪২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট ভিপি বাদলা। সকাল ১০টায় ভারতের কোচবিহারে বিএসএফ সেক্টর সদর দফতরে স্থাপিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টে ফেলানী হত্যার পুনর্বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু সরকারী আইনজীবী অসুস্থতার কারণে উপস্থিত হতে না পারায় আদালত বুধবারের কার্যক্রম স্থগিত করে বৃহস্পতিবার শুরুর নির্দেশ দেয়। এ খবর জানার পর ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ভারত সরকার ফেলানী হত্যার বিচার নিয়ে তামাশা শুরু করেছে। খুনী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ নিজের দোষ স্বীকার করার পরও প্রথম দফা বিচারে তাকে খালাস দেয়া হয়। অনেক আবেদন নিবেদন করার পর পুনর্বিচার শুরু হলেও সাক্ষ্য নিয়েও তালবাহানা করে। কিছু দিন আদালত মুলতবি রাখার পর সাক্ষ্যগ্রহণ করেও তুচ্ছ কারণ দেখিয়ে দ্বিতীয় দফায় দীর্ঘদিনের জন্য আদালত মুলতবি করে। কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর (্ভারতের বিশেষ আদালতে বাংলাদেশের নিযুক্ত আইনজীবী) এ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন ফেলানী হত্যার বিচার পেছানোর কথা স্বীকার করে বলেন, এটা হতাশাব্যঞ্জক। মিরসরাইয়ে যুবলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ১০ চট্টগ্রাম অফিস/সংবাদদাতা, মিরসরাই ॥ চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরবাজারে মঙ্গলবার রাতে দফায় দফায় যুবলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কয়েক ব্যবসায়ী, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। রাত ১০টা পর্যন্ত সংঘর্ষ তুমুল আকারে রূপ নিলে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ করে নিরাপদে সরে যান। আহতদের মধ্যে ২ ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানা যায়, বারইয়ারহাট পৌরসভার আসন্ন মেয়র প্রার্থিতায় আওয়ামী লীগের বর্তমান মেয়র তাহের ভূঁঞা ও প্রতিপক্ষ রেজাউল করিম খোকনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জের ধরে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বারইয়ারহাট বাজারে দু’গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় দা, ছুরি, লাঠি, কিরিচসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পরস্পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষই বন্দুকসহ বিভিন্ন অস্ত্রের মহড়া দিতে থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। পৌরসভার মেয়র তাহের ভূঁঞার পক্ষের আহতদের স্থানীয় বারইয়ারহাট মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি করা হলে সেখানেও হামলা করে অপরপক্ষ। এছাড়া এসময় হামলাকারীরা ২টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় এবং পুলিশের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি ভাংচুর করে। রাত ১টার পর জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে ১টি এলজি, ৬টি রাম দা, ১ টি কিরিচসহ ৮ জনকে আটক করে।
×