ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যত্রতত্র নোংরা, মশার দাপট- ক্ষুব্ধ নগরবাসী

কর বাড়লেও রাসিকের নাগরিক সুবিধা বাড়েনি

প্রকাশিত: ০৪:২২, ২৬ মার্চ ২০১৫

কর বাড়লেও রাসিকের নাগরিক সুবিধা বাড়েনি

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী নগরবাসীর ওপর সিটি কর্পোরেশন হোল্ডিং কর দ্বিগুণ করলেও বাড়ানো হয়নি সেবার মান। বরং যে সেবাগুলো সিটি কর্পোরেশন থেকে দেয়া হয়, সেগুলো থেকে বঞ্চিত রয়েছেন নগরবাসী। মশার দাপটে অস্থির হলেও নিধনে কোন কার্যক্রম নেই রাসিকের। এ নিয়ে প্রতিদিন ক্ষোভ বাড়ছে নগরবাসীর মধ্যে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমান মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল নির্বাচিত হওয়ার পর হোল্ডিং দ্বিগুণ করা হয়। এখন পাকাবাড়ির জন্য হোল্ডিং খুলতে ২ হাজার টাকা, আধাপাকা ১ হাজার, কাঁচাবাড়ি ১ হাজার ও বাউন্ডারি বিশিষ্ট ফাঁকা জায়গার জন্য ১ হাজার টাকা। এছাড়া নগরীর ৫১ হাজার বাসার হোল্ডিং থেকে বিপুল পরিমাণ কর পাওয়া যায়। তবে ন্যূনতম বাড়েনি নাগরিক সেবার মান। বরং নগর উন্নয়ন কার্যক্রমও এখন মুখথুবড়ে পড়েছে। সিটি কর্পোরেশনের টাক্সেশন কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করা হয়েছে সাড়ে ৯ কোটি টাকা। এছাড়া অন্যান্য সব কর মিলিয়ে পৌরকর থেকে প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে। একটা খাত থেকেই এত টাকা আয় করার পরও দেখা গেছে, অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছে সিটি কর্পোরেশন। অর্থের অভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পর্যন্ত দিতে পারেননি। এছাড়া অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণেই মশক নিধন কার্যক্রমও ঝিমিয়ে পড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জ্বালানির মূল্য পরিশোধ করা হয়নি এখনও। গত বছরের সেপ্টেম্বরের আগের অর্থই এখনও পরিশোধ করা হয়নি এ খাতের। এছাড়া গ্যাস সংযোজনের জন্য রাস্তা কাটা হলেও মেরামত করা হয়নি। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আজাহার আলীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে রাসিকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রাসিক নিজেই এখন অসহায়। মেয়র পলাতক রয়েছে। বেশির ভাগ কাউন্সিলর আত্মগোপনে। তাই কোন পরিকল্পনা নেই দীর্ঘদিন। তিনি জানান, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সব কার্যক্রম এখন চলছে কোন পরিকল্পনা ছাড়াই।
×