ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্তি প্রবিধানমালা সংশোধন হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:০১, ২৬ মার্চ ২০১৫

এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্তি প্রবিধানমালা সংশোধন হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদনের ক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জের গুরুত্ব বাড়ছে। আইপিও আবেদন করা কোম্পানির জন্য দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে ‘অনাপত্তিপত্র’ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এজন্য আগামী সপ্তাহে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্তি প্রবিধানমালা (লিস্টিং রেগুলেশনস) সংশোধন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মাধ্যমে আইপিও প্রক্রিয়ায় কোন কোম্পানিকে মূলধন উত্তোলনের সুযোগ দেয়া উচিত হবে কিনা, সেই বিষয়ে অভিমত দেয়ার আইনী অধিকার পেতে যাচ্ছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। বর্তমানে এ বিষয়ে অভিমত প্রদান স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য ঐচ্ছিক বিষয়। প্রবিধানমালা সংশোধন হলে স্টক এক্সচেঞ্জ সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করতে রাজি কি না, তা তাদের অধিকার ও কর্তব্যে পরিণত হবে। এর মাধ্যমে আইপিওর আবেদন করা কোম্পানির কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনও করতে পারবেন স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তারা। স্টক এক্সচেঞ্জের ‘প্রাক-আইপিও অনুমোদন’ বা তালিকাভুক্তির জন্য ‘অনাপত্তিপত্র’ (এনওসি) না পেলে কোন কোম্পানি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আইপিওর আবেদন করতে পারবে না। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, তালিকাভুক্তি প্রবিধানমালা সংশোধন করে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে প্রাক-আইপিও অনুমোদনের এ অধিকার দিতে যাচ্ছে বিএসইসি। আগামী সপ্তাহেই এ পরিকল্পনা অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে। লিস্টিং রেগুলেশনে নতুন যেসব পরিবর্তন আনা হচ্ছে, তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করে তাড়াতাড়িই আইপিও অনুমোদন-সংক্রান্ত বিধিমালা (পাবলিক ইস্যু রুলস) সংশোধন করা হবে। প্রয়োজনীয় সংশোধনের মাধ্যমে কমিশনের অনুমোদনের পর তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের পর কার্যকর হবে। নতুন নিয়মে স্টক এক্সচেঞ্জের অভিমত পাওয়ার পর বিএসইসি সংশ্লিষ্ট কোম্পানির আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। দুই স্টক এক্সচেঞ্জের উভয়টি কোন কোম্পানির আইপিও বিবেচনা না করার পক্ষে মত দিলে কমিশন তা গ্রাহ্য বা অগ্রাহ্য উভয়ই করতে পারবে। আবার দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ভিন্ন ভিন্ন মত দিলে কমিশন নিজস্ব বিবেচনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে। এছাড়া আইপিওর বিষয়ে ইতিবাচক অভিমত দেয়ার পর সংশ্লিষ্ট ওই কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করতে অসম্মতি জানাতে পারবে না স্টক এক্সচেঞ্জ। প্রসঙ্গত, নিয়ন্ত্রক সংস্থা পাবলিক ইস্যু বিধিমালার অধীনে আইপিও অনুমোদন দিয়ে থাকে। আর আইপিও অনুমোদন পাওয়ার পর মূলধন উত্তোলন করে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ার সেকেন্ডারি বাজারে কেনাবেচার সুযোগ পেতে ‘তালিকাভুক্তি প্রবিধান’ অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে তালিকাভুক্তির আবেদন করে। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, স্টক এক্সচেঞ্জ ওই আবেদন বিবেচনা করা বা না করার অধিকার রাখে। বিএসইসি ও ডিএসই সূত্র জানিয়েছে, নতুন তালিকাভুক্ত প্রবিধানমালায় ‘সরাসরি তালিকাভুক্ত’ (ডিরেক্ট লিস্টিং) বিধানটিও যুক্ত হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি সরাসরি তালিকাভুক্ত হয়ে বিদ্যমান শেয়ার বিক্রি করে। এছাড়া আইপিও আবেদনকারী কোম্পানির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য প্রয়োজনে ওই কোম্পানির কার্যালয় ও কারখানা (যদি থাকে) তা পরিদর্শনের অধিকার পাবে। চাইলে কোম্পানির কাছে প্রদত্ত তথ্য ও সরেজমিন প্রাপ্ত তথ্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইতে পারবে।
×