আজ ত্রয়োদশ অধ্যায় থেকে একটি সৃজনশীলমূলক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করব।
খাদ্য ও পুষ্টি
শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখার জন্য বিভিন্ন সুষম খাদ্য উপাদানের পাশাপাশি প্রয়োজনমতো ভিটামিনও গ্রহণ করা উচিত। তাহলে সহজেই নানা ধরনের রোগ থেকে দেহকে রক্ষা করা যায়।
উপরের অনুচ্ছেদটি পড়ে নিম্নের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখ।
১. ভিটামিন কী?
২. উপাদান অনুযায়ী খাদ্যবস্তুকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে? কি কি? কাজ লিখ।
৩. ৪টি ভিটামিনের নাম, উৎস, অভাবজনিত রোগের ছক করে নাম লিখ।
৪. কি কি নিয়ম মেনে সুষম খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে? উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে লিখ।
১. উত্তর : ভিটামিন হলো এক ধরনের খাদ্যদ্রব্য যা এমন সব জৈব রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা গঠিত যা খাদ্যে খুব অল্প পরিমাণে উপস্থিত থাকে এবং এসব উপাদানের অভাব থাকলে নানা রকম রোগ হয়।
২. উত্তর : উপাদান অনুযায়ী খাদ্যবস্তুকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা :
ক. আমিষ বা প্রোটিনÑক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধিসাধন ও দেহ গঠন করে।
খ. শর্করা বা শ্বেতসারÑ শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে।
গ. স্নেহ বা চর্বিÑ তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে।
৩. উত্তর : ভিটামিনের নাম, উৎস, অভাবজনিত রোগের নাম নিম্নে ছক আকারে দেয়া হল :
ভিটামিনের নাম উৎস অভাবজনিত রোগের নাম
‘এ’ কারোটিন সমৃদ্ধ শাকসবজি, মলা-টেলা মাছ রাতকানা, জেরেপথালসিয়া, সর্দি, কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা
‘বি’ কমপ্লেক্স ঢেঁকি ছাঁটা চাল, ডাল, মুড়ি ক্ষুধামন্দা, স্নায়ুবিক দুর্বলতা অকারণে মন খারাপ
ভিটামিন ‘সি’ লেবু, টমেটো, সবুজ শাকসবজি চর্মরোগ, ত্বক খসখসে হয়
‘ডি’ বিভিন্ন মাছের তৈল, ডিমের কুসুম, ঘি লোহার বিশোষণ, সঞ্চয় ও হিমোগ্লোবিন তৈরিতে বিঘœ ঘটে
৪. উত্তর : সুস্থ, সবল দেহের জন্য সুষম খাদ্য অতিব প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। কিন্তু শুধু সুষম খাদ্য গ্রহণ করলেই চলে না। কিছু নিয়মকানুন এবং প্রয়োজন অনুসারে সুষম খাদ্যের একটি তালিকা তৈরি করে এরপর গ্রহণ করতে হবে। যেমন :
* প্রথমত খাদ্যের বিভিন্ন উপাদানগুলো ব্যক্তি বিশেষের বয়স, কার্য এবং শারীরিক অবস্থাভেদে যে বিভিন্ন হয় তা লক্ষ্য রেখে খাদ্য তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
* দৈহিক প্রয়োজন অনুযায়ী তাপমূল্য বা ক্যালরি তাপ শক্তির পরিমাণ নিশ্চিতকরণ।
* খাদ্যে দেহ গঠনের ও ক্ষয়পূরণের উপযোগী আমিষ সরবরাহ করা।
* খাদ্যে যথোপযুক্ত ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানির উপস্থিতি।
* বিভিন্ন খাদ্যের পুষ্টিমান ও খাদ্যের শ্রেণিবিভাগ সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন। প্রথমে খাদ্যের মূল বিভাগগুলো থেকে খাদ্য বাছাই করা। খাদ্য বাছাইয়ে বৈচিত্র্য থাকা।
* খাদ্য তালিকা প্রস্তুতির সময় খাদ্যাভাস সম্পর্কে সচেতন থাকা।
* ব্যক্তি ও পরিবারের আর্থিক সঙ্গতির দিক ভেবে খাদ্য তালিকা তৈরি করা।
* ঋতু ও আবহাওয়ার কথা চিন্তা করে খাদ্য তালিকা প্রস্তুত করা।