ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এএফসি অনুর্ধ-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্বের প্রস্তুতি ম্যাচ

আবাহনী রুখে দিল উজবেক যুবদলকে

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২৫ মার্চ ২০১৫

আবাহনী রুখে দিল উজবেক যুবদলকে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক’দিন পরেই অনুষ্ঠিত হবে ‘এএফসি অনুর্ধ-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৬ কোয়ালিফায়ার্স’-এর খেলা। এ আসরে অংশ নিতে বিদেশী দলগুলোর মধ্যে সবার আগে বাংলাদেশে এসেছে উজবেকিস্তান যুবদল। এ উপলক্ষে তারা মঙ্গলবার শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেড মাঠে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের বিরুদ্ধে। ম্যাচটির ভেন্যু প্রথমে ছিল বনানী আর্মি স্টেডিয়াম এবং পরে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড মাঠে। কিন্তু দুটি মাঠই খেলার অনুপোযোগী বলে ম্যাচের ভেন্যু ঠিক করা হয় শেখ জামালের মাঠে। তবে ম্যাচে ভাল খেলে এবং প্রাধান্য বিস্তার করেও আবাহনীকে হারাতে পারেনি উজবেক যুবদল। ম্যাচটি ড্র হয় গোলশূন্যভাবে। মনে হয়েছে তীব্র গরমের কারণে নিজেদের সেরা খেলাটি খেলতে পারেনি ‘হোয়াইট উলভস’ খ্যাত উজবেকরা। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ শুরুর আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগটি হাতছাড়া করেনি ‘আকাশী-নীল’ খ্যাত আবাহনী। ম্যাচটি দেখতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যুবদলের ডাচ্ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ, সহকারী কোচ সাইফুল বারী টিটু, জার্মান গোলরক্ষক কোচ ক্রিস্টিয়ান শোয়েচলার। এছাড়া জাতীয় বা সিনিয়র দলের একাধিক ফুটবলারও আসেন ম্যাচটি উপভোগ করতে। এদের মধ্যে ছিলেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম, জাহিদ হাসান এমিলি, মিঠুন চৌধুরী, ওয়ালী ফয়সাল, ইয়ামিন মুন্না, শহীদুল আলম সোহেল প্রমুখ। ম্যাচটি শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের ১৩ মিনিট পর (বিকেল ৩টা ৪৩ মিনিটে)। ম্যাচ ড্র হলেও প্রাধান্য বিস্তার করে খেলে সফরকারী দলই। ম্যাচে বল নিয়ন্ত্রণ তাদেরই ছিল বেশি (৭০ শতাংশ)। তাদের খেলার স্টাইলটি ছিল এমনÑ দুই উইং দিয়ে আক্রমণ, মধ্যমাঠে প্রাধান্য পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, ছোট ছোট পাসে খেলে বিপক্ষ দলের গোল অভিমুখে এসে লম্বা, উঁচু ও আড়াআড়ি পাস খেলা, কর্নার ও ফ্রি কিকে হেড দক্ষতা, গোলপোস্টে আচমকা দূরপাল্লার শট ... প্রভৃতি। তবে তাদের সব আক্রমণ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় আবাহনীর দুই বিদেশী ডিফেন্ডার সামাদ (ঘানা) এবং হেনরি (নাইজিরিয়া)। এই দীর্ঘদেহী দুই রক্ষণসৈনিক অসামান্য দৃঢ়তায় রুখে দেন উজবেক ফরোয়ার্ডদের সব গোলপ্রচেষ্টা। উজবেক দলের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য ছিলÑ তাদের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই লম্বা, প্রত্যেকেই বল পায়ে রাখে দুই-তিন সেকেন্ড, খেলে দ্রুতগতির ফুটবল, পজিশন সেন্স প্রখর। পক্ষান্তরে আবাহনী নিজেদের রক্ষণভাগ অটুট রেখে মনোযোগী ছিল কাউন্টার এ্যাটাক স্টাইলে খেলতে। দুই উইং এবং মাঝমাঠে বলতে গেলে নিষ্ক্রিয়ই ছিল তারা। প্রথমার্ধে সেভাবে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলকভাবে আক্রমণ করে খেলে তারা। তবে সফল হয়নি গোল আদায়ে। প্রথমার্ধের ৪০ মিনিটে আবাহনীর পেনাল্টি বক্সের মধ্যে জটলা থেকে উজবেক দল একটি গোল করলেও ফাউলের কারণে তা বাতিল করে দেন রেফারি। আবাহনীর হয়ে ম্যাচে নজর কাড়েন গোলরক্ষক জিয়াউর রহমানও। উজবেক দলের অন্তত চারটি আক্রমণ নিশ্চিত গোলে পরিণত হওয়া থেকে বাঁচিয়ে দেন তিনি। ম্যাচে আবাহনীর কোচ জর্জ কোটানের শিষ্যদের মূল সমস্যা ছিল প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া, বড় জায়গা নিয়ে খেলা এবং মাঝে মধ্যেই ভুল পাস দেয়া।
×