ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচার

শ্রীনগরে প্রতিবাদ ॥ ঢাকা-দোহার সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২৫ মার্চ ২০১৫

শ্রীনগরে প্রতিবাদ ॥ ঢাকা-দোহার সড়ক অবরোধ

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ শ্রীনগরের নতুনবাজার এলাকার সন্ত্রাসী আশ্রাফ বাহিনীর অত্যাচার থেকে মুক্তি ও গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও ঢাকা-দোহার সড়ক অবরোধ করে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ ঢাকা-দোহার সড়কের বালাশুর বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। বিক্ষোভকারীরা নতুন বাজার এলাকার মূর্তিমান ত্রাস আশ্রাফ বাহিনীর অত্যাচার বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে নানারকম স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা আশ্রাফ বাহিনীর অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরেন। বালাশুর গ্রামের আব্দুল সামাদ ব্যাপারী (৭০) জানান, আশ্রাফ বাহিনীর কাছে এ এলাকার কৃষক থেকে শুরু করে প্রবাসী সকলেই জিম্মি। গত কয়েক বছর ধরে নতুন বাজার এলাকার আশ্রাফ ব্যাপারী বাঘড়া ইউনিয়নের রৌদ্রপাড়ার তাজেল বাহিনীর সঙ্গে সখ্য গড়ে বাঘড়া, ভাগ্যাকুল ও রাঢ়িখাল ইউনিয়নে আশ্রাফ বাহিনী নামে একছত্র আধিপত্য গড়ে তোলে। প্রায় এক মাস আগে পুলিশের অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাজেল বাহিনীর শাহিন পুলিশের গুলিতে মারা গেলে আশ্রাফের অত্যাচারে অতিষ্ঠ জনগণ মুখ খুলতে শুরু করে। তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারণে গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে নতুন বাজার এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে আশরাফ তার বাহিনীর তোতা, বাবুল, মিঠু, সোহাগ, আলামিন, নাসিরসহ ১৫-২০ জনকে নিয়ে সুমন মাদবর নামে (২৪) এক যুবককে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ৭টি দাঁত ফেলে দেয়। সুমনের বোন ঝুমুর বেগম জানান, তার ভাই সুমন তিন মাস পূর্বে সৌদি আরব থেকে দেশে এলে আশ্রাফ তিন লাখ টাকা চাদা দাবি করে। শুক্রবার সকালে সুমন এ কথা বলার পর পরই আশরাফ তার ভাইয়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সুমন এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। এ ঘটনায় সুমনের ভাই ইব্রাহিম বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় মামলা দায়ের করে। চরফ্যাশনে হামলা ভাংচুর, আহত ৪ জমি নিয়ে বিরোধের জের নিজস্ব সংবাদদাতা, চরফ্যাশন, ভোলা, ২৪ মার্চ ॥ জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভোলার চরফ্যাশনের তালুকদার চৌমুহনী বাজারে দফায় দফায় হামলা, ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’গ্রপের ৪ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, মাকসুদ, সেলিম ফরাজী, রোশনা, ইয়ানুর। আহতদের মধ্যে মাকসুদকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শাহ আলম ফরাজী অভিযোগ করেন, তার ভাই নাছিরের সঙ্গে ৪০ শতাংশ জমি নিয়ে প্রায় তিন বছর যাবত বিরোধ চলছে। এ বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় ফারুক, নাছিরসহ ১০/১২ জন আমার ছেলে সেলিম ফরাজীর তালুকদার চৌমুহনী বাজারের কীটনাশকের দোকানে হামলা, ভাংচুর করে প্রায় ৪/৫ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করে। এ সময় আমার ছেলে সেলিম গুরুতর আহত হয়। চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানে তাকে আরেক দফা মারপিট করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠায়। আমার ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে আমার স্ত্রী রোশনা, পুত্রবধূ ইয়ানুরকে মারপিট করে। এরপর বেলা ১২টার সময় ১০/১২টি হোন্ডাযোগে এক দল সন্ত্রাসী আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। এদিকে নাছিরের স্ত্রী অভিযোগ করেন, তার ভাই মাকসুদ বিদেশ থেকে এসে তার বাড়িতে বেড়াতে এলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সেলিম ফরাজী পিটিয়ে মাকসুদকে আহত করে।
×