ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ॥ দুই যুবক আটক

প্রকাশিত: ০৪:১২, ২৫ মার্চ ২০১৫

কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ॥ দুই যুবক আটক

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২৪ মার্চ ॥ সোমবার সন্ধ্যায় এক কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে নওগাঁয় নিয়ে আসার পথে জনতা ঝিনুক সরকার (৩৫) এবং মোঃ মুসা প্রামাণিক (২২) নামে দুই যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। অপহরণকারীদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া ছাত্রী তাকে ধর্ষণ করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ করেছে। এ ব্যাপারে রাতে নওগাঁ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যায় একটি মোটরসাইকেলের মাঝখানে পুরুষের পোশাক পরা এক যুবতীকে নিয়ে দুই যুবক জয়পুরহাট থেকে নওগাঁয় নিয়ে আসছিল। নওগাঁ সদর উপজেলার ফতেপুর বাজারের কাছে পৌঁছলে মেয়েটি চিৎকার দিতে থাকে। এ সময় বাজারের লোকজন ছুটে এসে মোটরসাইকেলটি আটক করে। মেয়েটি জানায়, সে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার এক কৃষকের মেয়ে এবং বগুড়া আযিযুল হক কলেজের ছাত্রী। আটক দুই যুবকের মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলার পার-নওগাঁ ধোপাপাড়া মহল্লার মৃত প্রভাষ চন্দ্র সরকারের ছেলে ঝিনুক প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাকে জয়পুরহাট জেলা সদরের হাজী মাদ্রাসা রোড এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে মুসার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটি বাধা দিয়ে পালিয়ে আসার চেষ্টা করলে ঝিনুক তাকে বিবস্ত্র করে আটকে রাখে। থানা পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং দুই যুবককে আটক করে। লৌহজংয়ে দুই কিশোরীকে অপহরণকালে আটক চার স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, সোমবার রাতে দুই কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী চার অপহরণকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সোমবার সন্ধ্যায় মনি আক্তার(১৪) ও শান্তা আক্তার (১৪) খালাবাড়ি সিরাজদিখানের মালখানগর থেকে নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে এই ঘটনা ঘটে। অটোরিক্সাযোগে তারা নিজ বাড়ি সিপাহীপাড়ার দালালপাড়া যাচ্ছিল। অপহরণকারীরা হলোÑ সাগর শেখ (১৯), শাহআলী শেখ (২৭), আমজাদ লস্কও (২৬) ও সাগর (২০)। তারা অটোরিক্সার গতিরোধ করে তাদের চালককে নামিয়ে দিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া গ্রামের ভেতর দিয়ে অপরিচিত নির্জন এলাকায় নিয়ে যাচ্ছিল। উত্তর খিদিরপাড়া রাস্তার মোড়ে অপহৃত দুই কিশোরী অটোরিক্সা থেকে লাফিয়ে পড়ে বাঁচাও বলে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে তাদের ধরে ফেলে। নীলফামারীতে দুই শিশু শিক্ষার্থীকে পিটুনি ॥ তোলপাড় তদন্তের নির্দেশ স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ দুই শিশু শিক্ষার্থীকে স্কুলশিক্ষক বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় পৃথক দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। আহত দুই শিশুকে স্থানীয় সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চরম উত্তেজনাসহ তোলপাড় সৃষ্টি করে। ঘটনা দুটি তদন্তপূর্বক জরুরীভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ মতে, ক্লাসে পড়তে না পারায় দক্ষিণ তিতপাড়া হাজীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শেফালি বেগম কঞ্চি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে প্রথম শ্রেণীর ছাত্র নাহিদ হাসানকে। অপরদিকে একই কারণে ডিমলা সদরের দিলরুবা মহিকুল কিন্ডারগার্টেনের প্লে গ্রুপের ছাত্রী মানসী রানীকে পিটিয়ে আহত করে প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক আবু রায়হান। এই শিক্ষার্থীর পিতা মানিক চন্দ্র রায় অভিযোগ করেন, তার মেয়ে ওই শিক্ষকের পিটুনিতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল। তার শরীরেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পর দুই অভিভাবক তাদের আহত সন্তানদের স্কুল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা চেয়ারম্যান তবিবুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল ইসলামের কাছে নিয়ে আসেন।
×