ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিভাগীয় প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নিজেই প্রতিবন্ধী

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২৫ মার্চ ২০১৫

বিভাগীয় প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নিজেই প্রতিবন্ধী

সমুদ্র হক ॥ শুরুতে বলা হয়েছিল বিভাগীয় প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হবে দেশের সবচয়ে বড়, যেখানে প্রতিবন্ধীরা হাতে-কলমে কাজ শিখে স্বাবলম্বী হবে। কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হলো বগুড়া জেলা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে শিবগঞ্জ উপজেলার আলিয়ারহাটে। বিএনপি সরকারের শাসনামলে সরকারী কর্মকর্তা ও পরিকল্পনাবিদদের অনেকেই তখন বাদ সেধেছিলেন এত বড় প্রকল্পটি কম যোগাযোগ সুবিধার নিভৃত গ্রামে না করতে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এ্যাসাইনমেন্ট অফিসার ডাঃ ফিরোজ মাহমুদ ইকবালের বাড়ি ওই গ্রামে হওয়ায় সেখানেই বাস্তবায়ন করতে হবে এই প্রকল্প। হলোও তাই। আলিয়ারহাটে দ্রুত গড়ে উঠলো উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলা তথা বিভাগীয় প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের চারতলা করে তিনটি আবাসিক ভবন। চারতলা একটি হোস্টেল। একটি অফিস ভবন। একটি ট্রেনিং সেন্টার। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বাসভবন। একটি পাম্প হাউস। এতগুলো ভবনের নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ধরা হয়েছিল ৭ কোটি টাকা। পরে তা দফায় দফায় বাড়িয়ে ৩০ কোটি টাকায় ঠেকানো হয়। এ অবকাঠামো স্থাপনার কাজগুলো করে বিএনপির পছন্দের খাস লোকজন। বাইরে থেকে দেখানো হয় কাজ করছে ঠিকাদার। সর্বশেষ অবস্থা হলো, বছর সাতেক আগে এ কেন্দ্রের কাজ শেষ হযেছে। গণপূর্ত বিভাগ কেন্দ্রটি সমাজসেবা অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করেছে। তবে কার্যক্রম শুরু হয়নি। এক সূত্র জানায়, ওই কেন্দ্রটি দেখাশোনার জন্য একজন লোক নিয়োগ করা হয়েছে। সরকারীভাবে কর্মকর্তা পর্যায়ের একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি এখনও যোগদান করেননি। এতবড় একটি কেন্দ্র চালাতে যে লোকবল এবং সরকারী অর্গানোগ্রাম দরকার তাও ঠিক করা হয়নি। আরেক সূত্র জানায় প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা সমৃদ্ধ আধুনিক প্রযুক্তির সদ্ব্যবহারের যে পরিবেশ থাকা দরকার তা এই নিভৃত গ্রামে নেই। সবচেয়ে বড় কথা প্রতিবন্ধীদের চলাচলের জন্য যে ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার তা নেই। বলা যায়, সুদূরপ্রসারী ভাবনা না করে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। বর্তমান সরকার বহু কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ প্রকল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে আধুনিকায়ন করার এক পরিকল্পনা হাতে নিযেছে, এমনটি জানিয়েছে এক সূত্র। ঝিনাইদহে ছিনতাই হওয়া কীটনাশক কুষ্টিয়ায় উদ্ধার ॥ আটক ২ নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ, ২৪ মার্চ ॥ ঝিনাইদহ থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে ছিনতাইকৃত ১৪ লাখ টাকা মূল্যের কীটনাশক উদ্ধার করেছে পুলিশ। গোপন খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোররাতে কুষ্টিয়ার কদমতলা থেকে ঝিনাইদহ পুলিশ এসব মালামাল উদ্ধার করে। সে সময় ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত শফিকুল ইসলাম ও জাহিদুল ইসলাম নামে দু’জনকে আটক করা হয়। আটককৃত শফিকুল ইসলাম কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে ও জাহিদুল ইসলাম দৌলতপুর উপজেলার বৈরাগীরচর গ্রামে ছামু প্রামাণিকের ছেলে। পুলিশ জানায়, গত বছরের ৬ নবেম্বর ঝিনাইদহ বিসিক শিল্প নগরী থেকে ময়মনসিংহ ডিপোতে যাওয়ার পথে কীটনাশক ভর্তি ট্রাকটি ছিনতাই হয়।
×