ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইনে দক্ষিণ চীন সাগরের অধিকাংশের ওপর চীনের মালিকানা দাবির কোন বৈধ ভিত্তি নেই। জাপানের ইয়োমিউরি পত্রিকায় একথা বলা হয়। খবর ইয়াহুনিউজের।
ঐ মন্তব্যের মধ্য দিয়েই উইদোদো অক্টোবরে দায়িত্ব গ্রহণের পর দক্ষিণ চীন সাগর সম্পর্কিত বিরোধে তাঁর অবস্থান প্রথমবারের মতো ব্যক্ত করলেন। চলতি সপ্তাহে তার জাপান ও চীন সফরের প্রাক্কালে রবিবার প্রকাশিত এক সাক্ষাতকারে ঐ মন্তব্য প্রকাশ পায়।
ইন্দোনেশিয়া নিজেই উদ্যোগী হয়ে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে এর প্রতিবেশী দেশসমূহ এবং চীনের মধ্যকার অসংখ্য ভূখ-গত বিরোধে এক মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সবচেয়ে বড় দেশ হলো ইন্দোনেশিয়া। উইদোদো বলেন, আমরা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা গুরুত্বপূর্ণ। তার সাক্ষাতকারের ইংরেজী অনুবাদ সোমবার প্রকাশিত হয়।
তিনি বলেন, কাজেই আমরা দক্ষিণ চীন সাগর সম্পর্কিত আচরণবিধি এবং চীন ও জাপান, চীন ও আসিয়ানের মধ্যে সংলাপ সমর্থন করি। উইদোদো নিশ্চিত করেন যে, তিনি ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সই করবেন। এ চুক্তিতে জাপানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা, তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান, মানবিক সহায়তা ও সাইবার প্রতিরক্ষার মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
শ্রীলঙ্কার প্রথম ফিল্ড মার্শাল সরথ ফনসেকা
শ্রীলঙ্কার প্রথম ফিল্ড মার্শাল খেতাব পেলেন সাবেক সেনাপ্রধান সরথ ফনসেকা। দেশটির নতুন সরকার রবিবার ফনসেকাকে সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ এই খেতাব দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জনের জন্য ফনসেকাকে সম্মানজনক খেতাব দেয়া হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।রাজধানী কলম্বোয় এক অনুষ্ঠানে ফনসেকাকে এই খেতাব দেন প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা। তিনি বলেন, ৬৪ বছর বয়সী সাবেক সেনাপ্রধানের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা তার সরকারের দায়িত্ব ছিল।