ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আর্জেন্টিনার গভীর জঙ্গলে নাৎসিদের গোপন আস্তানার সন্ধান

প্রকাশিত: ০৬:২১, ২৪ মার্চ ২০১৫

আর্জেন্টিনার গভীর জঙ্গলে নাৎসিদের গোপন আস্তানার সন্ধান

একদল আর্জেন্টাইন প্রত্নতত্ত্ববিদ গভীর জঙ্গলে নাৎসিদের এক গোপন আস্থানা আবিষ্কার করেছেন বলে মনে করছেন। তারা প্যারাগুয়ের সীমান্ত সংলগ্ন ওই জঙ্গলে পাওয়া দালানকোঠার ধ্বংসাবশেষ নিয়ে গবেষণা করছেন। ঘন গুল্মলতায় ঢাকা ইট-পাথরের অবকাঠামোর মধ্যে ১৯৩০-এর দশকের শেষের দিকের জার্মান মুদ্রার মলি, মেইড ইন জার্মানি লেখা চীনামাটির বাসনের টুকরা এবং কাঠামোর দেয়ালে নাৎসি প্রতীক চিহ্ন দেখতে পাওয়া গেছে। এই দলের প্রধান ড্যানিয়েল শাভেলজন বলেছেন, স্থানীয় লোকালয় থেকে অনেক দূরে সম্পূর্ণ দুর্গম এক স্থানে কেন কেউ এত শ্রম ও অর্থ ব্যয় করে এই দালানকোঠা তৈরি করেছিল, এর অন্য কোনও ব্যাখ্যা আমরা খুঁজে পাইনি। এই কাঠামোতে ব্যবহৃত উপকরণগুলো আঞ্চলিক স্থাপত্যরীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ইউনিভার্সিটি অব বুয়েন্স আয়ার্সের অধ্যাপক শ্যাভেলজন আর্জেন্টিনার উত্তরাঞ্চলে মিসিওলস এলাকার তেয়ু কুয়ারের প্রাদেশিক পার্কের এই স্থানটি আবিষ্কারের জন্য মাসের পর মাস কাজ করেছিলেন। স্থানীয়ভাবে কথিত আছে, জঙ্গলের ভেতরের বাড়িটি জার্মান নেতা হিটলারের ডানহাত মার্টিন বোরম্যানের। বোরম্যান ১৯৪৫ সালের মে মাসে আত্মহত্যা করেছিলেন। তবে শ্যাভেলজন ভবনটিকে নিয়ে প্রচলিত ওই শহুরে গল্পের সমর্থনে কোন প্রমাণ নেই। এই ভবনগুলো নাৎসি জার্মান নেতাদের আশ্রয়ের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। আর্জেন্টাইন সংবাদপত্র ক্লারিনকে শ্যাভেলজন বলেছেন, যুদ্ধে পরাজিত হলে শীর্ষ নেতাদের আশ্রয়ের জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে নাৎসিরা কতগুলো ভবন তৈরির পরিকল্পনা করেছিল। সেগুলো দুর্গম স্থানে, মরুভূমির মাঝে, উঁচু পাহাড়ি এলাকা ও গভীর জঙ্গলে তৈরির কথা ছিল। তার আবিষ্কার সম্পর্কে তিনি এখনও নিশ্চিত নন। কিন্তু তার ধারণা যে সত্য তা তিনি বিশ্বাস করেন। হাজার হাজার নাৎসি ক্রোয়েশীয় উস্তাশা ফ্যাসিবাদী ও ইতালীয় ফ্যাসিবাদীরা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুয়ান পেরনের আশীর্বাদে আর্জেন্টিনায় পৌঁছান। পেরন ১৯৪৬ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত এবং ১৯৭০-এর দশকের কিছু সময় আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আনুমানিক পাঁচ হাজার নাৎসি আর্জেন্টিনায় আশ্রয় নেয়। নাৎসি নেতা এডলফ আইসম্যানকে ১৯৬০ সালে বুয়েন্স আয়ার্স থেকে ইসরাইলের এক কমান্ডো টিম আটক করে এবং ইসরাইলে তার মৃত্যুদ- কার্যকর করে। আইসম্যান নাৎসি নিধনযজ্ঞে সহায়তা করেছিলেন। অপর এক নাৎসি নেতা জোসেফ মেঙ্গেলও আর্জেটিনায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। -টেলিগ্রাফ সেনা অভিযানে পাক তালেবান প্রধান নিহত পাকিস্তানের খাইবার অঞ্চলের তিরা উপত্যকায় রবিবার সেনাবাহিনীর নতুন বিমান ও স্থল অভিযানে অন্তত ৩৫ জঙ্গী নিহত ও ১৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। নিরাপত্তা সূত্র এ খবর জানিয়েছে। এ হামলায় নিহতদের মধ্যে পাকিস্তান তালেবান প্রধান মোল্লা ফজলুল্লাহও রয়েছেন বলে খবর প্রকাশিত হলেও কোন সেনা কর্মকর্তা এর সত্যতা নিশ্চিত করেনি। এদিকে সোমবার সকালে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মুখপাত্র ফজলুল্লাহর নিহত হওয়ার খবর অস্বীকার করেছে। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও ডনের। টিটিপি মুখপাত্র মুহাম্মাদ খোরাসানি দাবি করেছেন, ফজলুল্লাহর মৃত্যুর বিষয়ের রিপোর্টটি ‘একেবারে ভিত্তিহীন গুজব’। তালেবান দলছুট গোষ্ঠী জামাত-উল-আহরার মুখপাত্রও এ রিপোর্টটি অস্বীকার করেছে। তবে নিরপেক্ষ ও সামরিক সূত্র থেকে তার মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করা হয়নি। গত বছর ডিসেম্বরে পেশোয়ারে আর্মি পাবলিক স্কুলে টিটিপি বন্দুকধারীর হামলায় একশ’ ৩০ স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়।
×