ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বোকো হারাম বিদায় হয়েছে, কোথায় নাইজিরীয় সৈন্য?

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২৪ মার্চ ২০১৫

বোকো হারাম বিদায় হয়েছে, কোথায় নাইজিরীয় সৈন্য?

নাইজিরিয়ায় ক্ষমতার দৃশ্যপট থেকে বোকো হারাম বিদায় হয়েছে ঠিকই কিন্তু নাইজিরীয় বাহিনী দেশটির নিরাপত্তার দায়িত্ব বুঝে নেয়নি। জঙ্গীরা যে কোন সময় ফিরে আসতে পারে এই আশঙ্কায় আঞ্চলিক সৈন্যবাহিনী দেশটি ছাড়তেও পারছে না। নিউইয়র্ক টাইমস। নাইজিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর ডামাসাক। সম্প্রতি শহরটি বোকো হারামের নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছিল। শহরের এখানে সেখানে এখনও বোকো হারামের কালো পতাকা উড়ছে। সাবেক প্রশাসনিক ভবন ও স্কুলের দেয়ালগুলোতে আঁকা রয়েছে এই পতাকা। শহরটিতে একসময় দুই লাখ মানুষের বসবাস থাকলেও এখন সেখানে রয়েছে মুষ্ঠিমেয় কিছু লোক। অনেকে পালিয়ে গেছে প্রাদেশিক রাজধানী মাইদুগুরিতে। অনেকে মারা গেছে। শহরের পথেঘাটে যুদ্ধের ধ্বংসলীলা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। পার্শ্ববর্তী শাদ ও নাইজারের সৈন্যবাহিনী লড়াই করে ইসলামপন্থী জঙ্গী গ্রুপ বোকো হারামকে হটিয়ে দিয়েছে। বোকো হারামের শহরটি পাঁচ মাস নিজেদের দখলে রেখেছিল। জঙ্গীদের বিদায়ের পর শাদের সেনাবাহিনী এখনও বিজয় উদযাপন করে চলেছে। বোকো হারামকে হটানোর যুদ্ধে আফ্রিকান চারটি দেশের সৈন্যরা অংশগ্রহণ করে। শহরটির সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানাতে শাদের সৈন্যরা গত সপ্তাহে অল্পসংখ্যক বিদেশী-সাংবাদিককে সেখানে নিয়ে গিয়েছিল। শহরে ঢুকে সাংবাদিকরা লক্ষ্য করলেন বিদেশী বাহিনী যাদের সহায়তায় নাইজিরিয়া জঙ্গী মুক্ত হলো তারা ছাড়া আর কোন নাইজিরীয় সৈন্য শহরটিতে নেই। যুদ্ধ চলাকালীনও নাইজিরীয় বাহিনীকে পাওয়া যায়নি। যুদ্ধের পর এখনও তাদের দেখা যাচ্ছে না। বিষয়টিতে বিদেশী সাংবাদিকরা কিছুটা বিস্মিত করে। যদিও দেশটিতে একটি সরকার আছে এবং একটি সাধারণ নির্বাচনের সময়ও ঘনিয়ে এসেছে। কিন্তু দেশের নাইজিরীয় সৈন্য চোখে পড়ছে না। দেশটির সরকার অবশ্য দাবি করছে, তাদের সৈন্যবাহিনী লড়াই করে বোকো হারামকে বিতাড়িত করেছে। কিন্তু শহর ঘুরে এসে তার কোন নমুনাই সাংবাদিকরা দেখতে পাননি। শহরে অবস্থানরত বিদেশী সৈন্যরা বলছে, তারা কোন বিদেশী ভূখ- নিজেদের দখলে রাখতে আগ্রহী নয়। তারা সবাই চলে গেলে বোকো পুনরায় শহরটি দখলে নিতে পারে এই আশঙ্কায় তারা ওই স্থান ত্যাগ করতে পারছে না। এত গুরুত্বপূর্ণ একটি আঞ্চলিক লড়াইতে নাইজিরীয় বাহিনীর অনুপস্থিতিতে ক্ষুব্ধ শাদের কর্মকর্তারাও। শাদের সেনাবাহিনীর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হাসান বলেছেন, নাইজিরীয় বাহিনীকে দায়িত্ব বুঝে নিতে বলেছি।
×