ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাসুদা ভাট্টি

আন্দোলন ও চূড়ান্ত বিজয়ের ধরন-কারণ

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২৪ মার্চ ২০১৫

আন্দোলন ও চূড়ান্ত বিজয়ের ধরন-কারণ

‘চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে’- সর্বশেষ সাংবাদিক সম্মেলনে বেগম জিয়ার ঘোষণা। আসুন আমরা প্রশ্ন করে দেখি, ‘চূড়ান্ত বিজয়’ কী জিনিস আর ‘আন্দোলন’ কী ব্যাপার। প্রথমে আন্দোলনের কথায় আসি। কারণ, আন্দোলনের ভেতর দিয়েই বেগম জিয়ার চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হবে। রাজনীতির সঙ্গে যাদের একেবারে কোনই যোগসূত্র নেই তারাও জানেন আসলে আন্দোলন কী জিনিস। ইংরেজীতে যাকে ‘মুভমেন্ট’ বলে, বাংলায় তাকেই আন্দোলন বলা হয়ে থাকে। ভারতবর্ষে ইংরেজদের দখলদারিত্বের আমল থেকে আন্দোলন কম হয়নি। কিন্তু গান্ধীজির অসহযোগ আন্দোলন ব্রিটিশবিরোধী সকল আন্দোলনের মাত্রাকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল যে কোন বিবেচনায়। এরপরেই হয়ত যুক্ত হবে ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলন। গোটা ব্রিটিশ আমলে বিশেষ করে মহাত্মা গান্ধীর রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর থেকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে একের পর এক আন্দোলন সূচিত হয়েছে এবং একটির কার্যকারিতা ফুরিয়ে যাওয়ার পর আরেকটি শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ-বিরোধিতার ধারাবাহিকতায় এসব আন্দোলনের নির্দিষ্ট নাম রয়েছে, যেমন লবণ আন্দোলন, বিদেশী পণ্য বর্জন আন্দোলন। প্রত্যেকটি আন্দোলন তার পরেরটি শুরু হওয়ার পরে কার্যকারিতা হারিয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেগুলোর ফলাফল থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কার্যক্রম ঠিক করা হয়েছে। একই বিষয় লক্ষ্য করা গেছে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালীর বিভিন্ন আন্দোলনের মধ্যেও। পাকিস্তান আন্দোলনের সফলতার পর তার অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য সফল না হওয়ার প্রথম প্রতিবাদ ভাষা আন্দোলনের ভেতর দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে। এরপর যুক্তফ্রন্ট গঠনও ছিল এক প্রকার বৃহত্তর রাজনৈতিক আন্দোলনের ফসল। কিন্তু শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ অবধি প্রতিটি আন্দোলন ছিল মুক্তিযুদ্ধের পথে এগিয়ে যাওয়ার পথে একেকটি ধাপ, যা বাঙালী আত্মত্যাগের মাধ্যমে পেরিয়ে এসেছিল। মুক্তিযুদ্ধের অব্যবহিত আগে বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলন গান্ধীজির অসহযোগ আন্দোলনের মতোই পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতার ভিত নড়িয়ে দিয়েছিল। ব্রিটিশরা সেটা সহ্য করতে পারেনি বলে পাততাড়ি গুটিয়েছিল, কিন্তু পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী শক্তি প্রয়োগের পথ বেছে নিয়েছিল এবং বাঙালী তার সমুচিত জবাব দিতে সক্ষম হয়েছিল ’৭১-এর নয় মাস ধরে। যদি একাত্তরের মার্চের আজকের তারিখের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই যে, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু চূড়ান্ত ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন। যার যা কিছু আছে তা নিয়েই প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং এ কথাও উল্লেখ করতে ভোলেননি যে, তিনি যদি হুকুম দিতে নাও পারেন তাহলেও বাঙালী যেন সর্বাত্মক প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু চূড়ান্ত বিজয় বলতে কোন অস্পষ্ট কিছুই নির্দেশ করেননি। সরাসরি বলেছেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এরপরে আর কারও মনে কোন প্রশ্ন থাকার অবকাশ নেই যে, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আমলে যত আন্দোলন করেছেন একাত্তরের মার্চে এসে তার সর্বশেষ পরিণতি অর্থাৎ তিনি স্বাধীনতার ডাক দিচ্ছেন। চূড়ান্ত বিজয় অর্থাৎ স্বাধীনতা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত বাঙালীর ঘরে ফেরার আর পথ নেই এ কথা তিনি যেমন বুঝেছেন, তেমনই তিনি আপামর বাঙালীকে সেটা বোঝাতেও সক্ষম হয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে আন্দোলন বলতে আমরা প্রথমেই বুঝি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনকে। এখানে একটি কথা সাহস করে বলা উচিত যে, জিয়াউর রহমানের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে যে আন্দোলন ক্রমশ দানা বাঁধছিল এরশাদের আমলে সেটা পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করে। জিয়া কিংবা এরশাদ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করায় দুই শাসনামলই মূলত স্বৈরাচারী আমল। কেউ কেউ দুই আমলের মধ্যে পার্থক্য দেখে থাকেন এবং তা বাকিদেরও দেখানোর চেষ্টা করেন, এরা মূলত জ্ঞানপাপী। যাহোক, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে আওয়ামী লীগের হাল ধরার পর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যাওয়ার পক্ষে আশাবাদ তৈরি হয়। যার ফলে এরশাদ সরকারের প্রায় শুরু থেকেই আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু করে। জিয়াউর রহমানের যদি অপমৃত্যু না ঘটত তাহলে হয়ত তাকেও আন্দোলনের মাধ্যমেই ক্ষমতাচ্যুত করা হতো, যেমনটি এরশাদ হয়েছিলেন ’৯০-এ। আন্দোলন তখনও ধারাবাহিকতার বাইরে যায়নি। একেকটি ইস্যুভিত্তিক আন্দোলন দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে একটি গণআন্দোলনে রূপ নেয় এবং এরশাদকে ক্ষমতা থেকে বিদায় দেয়া হয়। একই কথা প্রযোজ্য বেগম জিয়ার গণতান্ত্রিক সরকারের ক্ষেত্রেও। মাগুরা নির্বাচনে ভয়াবহ কারচুপি যে আন্দোলনের সূচনা করেছিল। তার সফল পরিণতি ঘটেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় ছিল সেই আন্দোলনের চূড়ান্ত বিজয়। এসব আন্দোলনের উদাহরণে কয়েকটি বিষয় উল্লেখযোগ্য। যেমন, কোন যৌক্তিক ও গণমুখী আন্দোলনে এদেশের মানুষ কখনও ঘরে বসে থাকেনি, সেটা গান্ধীজির অসহযোগ আন্দোলন হোক, বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলন হোক, হাসিনা-খালেদার স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন হোক কিংবা শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধায়ক সরকার-আন্দোলন হোক। আরেকটি বিষয়ও লক্ষণীয়, তাহলো এই আন্দোলনের প্রায় প্রতিটিই ছিল সংক্ষিপ্ত এবং সুনির্দিষ্ট দাবির ভিত্তিতে। অর্থাৎ প্রতিটি আন্দোলনের ক্ষেত্রেই সময় নির্বাচন খুব মুখ্য ব্যাপার ছিল। প্রায়শই দেখা গেছে যে, আন্দোলন যদি দীর্ঘায়িত হয় তাহলে মানুষ তাতে আগ্রহ হারায় এবং সর্বশেষ আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যও সফল হয় না। উদাহরণ হিসেবে এই মুহূর্তে গণজাগরণ মঞ্চের শাহবাগ আন্দোলনের নাম করা যেতে পারে। অনেকেই এ কথা জোর দিয়ে বলে থাকেন যে, শাহবাগ আন্দোলন যদি সংক্ষিপ্ত করা যেত তাহলে আজকে তার পরিণতি এতটা প্রশ্নবিদ্ধ হতো না। এ নিয়ে বিতর্ক করা যেতে পারে, কিন্তু যারা এ রকম বলে থাকেন তাঁদের যুক্তিকেও অগ্রাহ্য করা যাবে না। আন্দোলন বিষয়ে এত কথা বলার উদ্দেশ্য আসলে বেগম জিয়ার কথিত এই ‘আন্দোলনকে’ ব্যাখ্যা করার চেষ্টায়। ওপরের কোন আন্দোলনের সঙ্গেই কি বেগম জিয়ার কথিত এই আন্দোলনের তুলনা চলে? বিএনপি আন্দোলনের দল নয় এ কথা আমরা প্রায়শই শুনে থাকি। সত্যিই, এই দলটির এককভাবে কোন রাজনৈতিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়ার বা সফলতার উদাহরণ আমাদের জানা নেই। বিগত সরকারের আমলে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি মাঠে নামে তখন তারা পুরোপুরি জামায়াতনির্ভর হয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি হয় বিএনপি-জামায়াত আসলে কী চাইছে? সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা, নাকি যুদ্ধাপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত জামায়াত-বিএনপি নেতাদের মুক্ত করা? আওয়ামী লীগ যখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন সারাদেশে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী পরিবেশ তৈরির যে নজির বিএনপি-জামায়াত জনগণকে দেখিয়েছে তাতে জনগণের মনে এ প্রশ্ন আরও সূদৃঢ় হয়েছে যে, একেই কি ‘আন্দোলন’ বলে? তাহলে গান্ধীজি থেকে শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধায়ক সরকার-আন্দোলন তাহলে কী ছিল? সাধারণ নাগরিকের ধর্মবিশ্বাসকে নিয়ে রাজনীতির নগ্ন খেলা শুরু করে বেগম জিয়া যে আন্দোলন ২০১৩ সালের মাঝামাঝি থেকে ক্রমশ দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিরুদ্ধে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়েছিলেন সে বছরের শেষ নাগাদ, তাতে সাধারণ মানুষ কোনভাবেই অংশ নেয়নি। আগেই বলেছি, যৌক্তিক গণআন্দোলনে সাধারণ নাগরিকের অংশগ্রহণে কোনদিনই খাম্তি দেখা যায়নি। তার মানে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের আন্দোলনের বদলে সরাসরি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পুনর্প্রতিষ্ঠার দাবি করায় জনগণ হয়ত বিভ্রান্ত হয়েছে, কারণ এর আগে জনগণ দেখেছে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করার পেছনে প্রধান ও মুখ্য ভূমিকাটি আসলে রেখেছিলেন বেগম জিয়া নিজেই। হয়ত তাঁকে বাধ্য হয়েই এই ব্যবস্থা মেনে নিতে হয়েছিল বলে তিনি এর ধ্বংসই চেয়েছিলেন। এখন যখন বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা বিশেষ করে নির্বাচকম-লীর সংখ্যাকে কোনভাবেই হেরফের করার সুযোগ নেই, তখন তিনি আবার সেই ব্যবস্থাটিই ফিরে পেতে চাইছেন। হয়ত তাঁর দাবি যৌক্তিক। কিন্তু সেটা তো সাধারণ্যে প্রমাণ করতে হবে এবং সাধারণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে এই যৌক্তিকতায়। কিন্তু তা তো হয়ইনি, বরং সাধারণ মানুষকে শত্রুজ্ঞান করে তাদের পুড়িয়ে মারার মাধ্যমে বেগম জিয়া তাঁর কথিত আন্দোলনে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে চাইছেন। চূড়ান্ত বিজয় বলতে ওপরে উল্লিখিত বিভিন্ন আন্দোলনে একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়কে আমরা লক্ষ্য করে থাকি। কিন্তু বেগম জিয়া তাঁর সর্বশেষ সম্মেলনেও একটি তালিকা দিয়েছেন, তিনি কী কী চান তাঁর এই আন্দোলনে চূড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমে। তবে এ কথা বুঝতে কারোরই অসুবিধে হওয়ার কথা নয় যে, বেগম জিয়া আসলে চান শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং সেটাই তাঁর চূড়ান্ত বিজয়। কিন্তু রাজনৈতিক আন্দোলনে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের পর তার ফলাফলের ভিত্তিতে জনগণের ভবিষ্যত কেমন হবে তাও চূড়ান্ত বিজয়কে নির্দিষ্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই ঠিক করা হয়ে থাকে। যেমন পাকিস্তান আন্দোলনের শুরুতেই বলা হয়েছিল যে, ভারতবর্ষের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশে একাধিক রাষ্ট্র গঠিত হবে, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সেটাই হবে ভারতের মুসলমানদের চূড়ান্ত বিজয়। যেহেতু পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী পাকিস্তান আন্দোলনের সফলতার পরেই তাদের পূর্বে নির্দিষ্ট করা শর্ত থেকে সরে এসেছিলেন, সেহেতু বাঙালী মানসে পাকিস্তান আন্দোলনের চূড়ান্ত বিজয়কে বিস্বাদ মনে হয়েছিল। তারা নতুন করে আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে শুরু করেছিল। বেগম জিয়া এখনও পর্যন্ত এ কথা কাউকেই বোঝাতে সক্ষম হননি যে, শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে তারপর কী হবে? দেশ কি সরকারবিহীন থাকবে? কার হাতে দেশ ন্যস্ত হবে? তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ মানবে না। সেক্ষেত্রে নির্বাচন ব্যবস্থার কী হবে? তাঁর দল চাইলেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে এমনটা তো পৃথিবীর কোন দেশেই ঘটে না। এরকম বহু প্রশ্ন সামনে রেখেই বেগম জিয়া আবারও সংবাদ সম্মেলনের নামে দলীয় আয়োজন করে একতরফা ঘোষণা দিয়েছেন যে, চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। কিন্তু এতেও অনেকেই নাকি বেগম জিয়াকে নমনীয় হতে দেখছেন। আশাবাদী হওয়া ভাল, কিন্তু এতটা? মজার ব্যাপার হলো, বেগম জিয়ার চূড়ান্ত বিজয় বলতে আজকাল অনেকেই আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বুঝতে শুরু করেছে। তাহলো, বেগম জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক জিয়ার শাস্তি মওকুফ। আইন যেভাবে এগোচ্ছে তাতে তাঁদের দু’জনেরই শাস্তি নিশ্চিত বলা যায় বলে অভিজ্ঞ আইনজীবীগণ মতামত দিয়েছেন। এখন তাই বেগম জিয়ার সমস্ত আন্দোলন আসলে নিজেকে আইনের উর্ধে নেয়ার লক্ষ্যে এবং একমাত্র এতেই তাঁর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হবে- এমনটাই বলছেন অভিজ্ঞরা। একজন ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আইনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কার্যক্রম, তাকে কোনভাবেই ‘আন্দোলন’ বলা যাবে কি? এর জন্য পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা এবং হরতাল দিয়ে সাধারণ মানুষকে মানবেতর কষ্টের মধ্যে ফেলা যে রাজনৈতিক দল বা নেতার কাজ নয়, সে কথাও আজকাল প্রকাশ্যেই উচ্চারিত হচ্ছে। ২২ মার্চ, ২০১৫ [email protected]
×