ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু ও ইতিহাস

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২৪ মার্চ ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

‘ইতিহাস’ শব্দটি নিয়ে গুণীজনরা গর্ব করেন। বিপরীত ধারার ব্যক্তিরা ব্যঙ্গ করেন। খিলখিল করে দাঁত বের করে হাসে। অজ্ঞ, অনভিজ্ঞ, অসভ্য ও অহঙ্কারীরা নানা অর্থে নামকরণ করে। এরা ইতিহাসকে বিকৃত করে। কোথায় থাকে জানে না। দেখতে কেমন মর্মার্থ বোঝে না। ইতিহাসের নাম আছে, ওজন আছে, অবস্থান আছে। অফিস, ভবন সবই আছে। সভ্য জগতে এর অবস্থান। গুণীজনদের নিকট এর ওজন ও পরিমাপ। শিক্ষা জগতে এর বসবাস। বাংলা একাডেমি হচ্ছে বাসস্থান। সারা বিশ্বে বিচরণ। যারা শব্দটিকে বিকৃত করে তারা স্বঘোষিত ইতিহাসবিদ। সত্যকে প্রকাশ, আদর্শকে বিতরণ, মানবতাকে সম্মান প্রদর্শন, গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য যেসব মনীষী নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন সেসব ব্যক্তিকে নিয়েই ইতিহাস। ব্যক্তির ইতিহাস পরিণত হয় বিশ্ব ইতিহাসে। মানবসেবায় আত্মনিয়োগ, পরাধীনতা হতে নির্যাতিত জনগণকে মুক্ত করে স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দেয়া। কর্ম ও মেধাকে জনগণের কল্যাণে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তির ইতিহাস পরিণত হয় বিশ্ব ইতিহাসে। বঙ্গবন্ধু জাতিকে স্বাধীন বাংলাদেশ নামক পৃথক রাষ্ট্র উপহার দিয়ে জাতির পিতার সম্মানে আসীন হয়ে বিশ্ব ইতিহাসের প্রথম সারিতে স্থান লাভ করেছেন। মহানায়ক নিজ কর্ম ও গুণাবলীর মাধ্যমে বিশ্ব নেতার মর্যাদা লাভ করে বিশ্ব ইতিহাসে স্থান পেয়েছেন। তিনি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি স্বাধীনতার ঘোষক, এবং স্বাধীনতার মহানায়ক। ইতিহাসের নাম বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা। যুদ্ধাপরাধীদের নাম ও কুকর্মের কাহিনী লিপিবদ্ধ থাকবে কালো ইতিহাসে। স্বাধীনতার বানোয়াট দাবিদার মেজর জিয়ার স্ত্রী ও পুত্র এবং তাদের দোসর ও সমর্থনকারীদের নাম লিপিবদ্ধ থাকবে সেই কালো ইতিহাসের কালো পাতায়। প্রয়াত মেজর জিয়া জীবদ্দশায় কখনও অনুরূপ ডাহা মিথ্যা ও কাল্পনিক দাবি করেন নাই। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণাপত্রের একজন খ্যাতিমান পাঠক। তিনি বঙ্গবন্ধুর সম্মানে সম্মানিত । জাতির পিতার ইতিহাস পড়ুন। বিশ্বইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে দেখুন, জানুন এবং বিনম্রচিত্তে শ্রদ্ধা করুন। এম আলী মুন্সীগঞ্জ। এর নাম কি সড়ক! ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জোনাল অফিস-৫ এর অধীন পুরনো ঢাকার ফরিদাবাদ ও গে-ারিয়ার হরিচরণ রায় রোড, কে বি রোড, করিমউল্লাহবাগ, আরসিন গেট ও মিলব্যরাকের রাস্তাটির করুণ অবস্থা সত্যিই মর্মান্তিক। মূলত : লোহারপুল হতে পোস্তাগোলা পর্যন্ত রাস্তাটি খানা-খন্দকে ভরপুর। এতে অহরহ দুর্ঘাটনা ঘটছে। বিশেষ করে ফরিদাবাদ স্কুল, মাদ্রাসা ও গে-ারিয়া থানার সামনের কে বি রোডের অবস্থা খুবই শোচনীয়। জরুরীভিত্তিতে গে-ারিয়ার লোহারপুল হতে পোস্তগোলা পর্যন্ত রাস্তাটি জনস্বার্থে ও মানবিক কারণে সংস্কার করার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বাজেটে বরাদ্দা রাখা সংগত। মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী গেণ্ডারিয়া, ঢাকা।
×