ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঘাতক নারীসহ আটক ২ চেতনানাশক খাইয়ে পাজেরো চালককে হত্যা

প্রকাশিত: ০৭:৩০, ২৩ মার্চ ২০১৫

ঘাতক নারীসহ আটক ২ চেতনানাশক খাইয়ে পাজেরো চালককে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পাজেরো গাড়িটি ছিনতাইয়ের সময় চালক টিপু সুলতানকে চেতনানাশক খাইয়ে হত্যা করা হয়। ঘাতকরা তারই পরিচিত এক নারী ও এক বন্ধু। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোরশেদা আক্তার প্রিয়া (৩২) ও মেহেদী হাসান (৩৬)। পুলিশ ছিনতাইকৃত ওই পাজেরো গাড়িটিও উদ্ধার করেছে। রবিবার দুপুরে এক প্রেসবিফ্রিংয়ে এ সব তথ্য জানান গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্মকমিশনার মনিরুল ইসলাম। শনিবার বিকেলে রাজধানীর শাহ আলী থানার কাজীফুড়ি ও গোদারাঘাট এলাকা থেকে ওই দুজনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। সাংবাদিকদের জানানো হয়, গাড়িটি ছিল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের। আর এর চালক ছিলেন টিপু সুলতান। ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় শেওড়াপাড়া এলাকায় মেহেদী হাসানের ভাড়া বাসায় টিপু সুলতানকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, মেহেদী হাসান কিছুদিন আগে টিপু সুলতানের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে ও তাকে তার বাসায় নিয়ে যায়। পরে আসামি প্রিয়া তাকে চেতনানাশক খাইয়ে দেন। এর পর তারা গাড়িতে ওঠেন। গাড়ি চালানোর এক পর্যায়ে চালকের ঘুম ঘুম ভাব এলে তারা তা কাটানোর কথা বলে আবার তাকে চেতনানাশক খাইয়ে দেয়। এর পর ১৭ মার্চ সকালে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশটি তুরাগ থানার দিয়াবাড়ী এলাকার রাস্তায় হাত-পা বেঁধে ফেলে দিয়ে লাশের মাথার ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয়া হয়। মনিরুল ইসলাম বলেন- আসামি মোরশেদা আক্তার প্রিয়া খুবই ভয়ঙ্কর। এর আগে সে যুবদল নেতা সেন্টুকেও একই কায়দায় হত্যা করেছিল। উল্লেখ্য, ১৭ মার্চ চালক টিপু সুলতানের লাশ অজ্ঞাত অবস্থায় উদ্ধার করে তুরাগ থানা পুলিশ। পরে তা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসা হলে চালকের স্ত্রী ইতি পারভীন লাশটি তার স্বামীর বলে শনাক্ত করেন।
×