ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটির ঘুরে দাঁড়ানো জয়

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২৩ মার্চ ২০১৫

চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটির ঘুরে দাঁড়ানো জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টানা দুই ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ম্যাচে আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা ৩-০ গোলে হারায় অতিথি ওয়েস্টব্রুমউইচকে। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ম্যানসিটির হয়ে গোল করেন উইলফ্রেড বোনি, ফার্নান্ডো ও ডেভিড সিলভা। জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে আর্সেনাল। ফরাসী তারকা অলিভিয়ের জিরুডের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে এবার গানার্সরা ২-১ গোলে পরাজিত করে স্বাগতিক নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে। জিরুড একাই করেন দুই গোল। পরশুর অন্য ম্যাচে সোয়ানসি সিটি ১-০ গোলে এ্যাস্টন ভিলাকে, সাউদাম্পটন ২-০ গোলে বার্নলিকে, ক্রিস্টাল প্যালেস ২-১ গোলে স্টোকসিটিকে, টটেনহ্যাম হটস্পার ৪-৩ গোলে লিচেস্টার সিটিকে ও ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেড ১-০ গোলে পরাজিত করে সান্ডারল্যান্ডকে। ঘুরে দাঁড়ানো জয়ে ৩০ ম্যাচ শেষে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে আছে ম্যানসিটি। রবিবার রাতের ম্যাচের আগে ২৮ ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে চেলসি। ৩০ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনালের অবস্থান তিনে। ইপিএলের আগের ম্যাচে বার্নলির কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল সিটি। এরপর গত বুধবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে বার্সিলোনার কাছে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগেও হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ে সিটি। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ ছয় ম্যাচে সিটির এটা দ্বিতীয় জয়। অন্য চারটিতে হার মানে ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির দল। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রেফারির ভুলে শুরুতেই দশজনের ওয়েস্টব্রুমকে পায় স্বাগতিক সিটি। যে কারণে জয় পেতে কোন সমস্যাই হয়নি আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরদের। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে সিটির স্ট্রাইকার উইলফ্রেড বোনিকে ফাউল করে সরাসরি লালকার্ড দেখেন ব্রুমউইচ ডিফেন্ডার গ্যারেথ ম্যাকঅলি। রেফারির সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি বলে সমালোচনার ঝড়ে উঠেছে। ম্যাকঅলির ফাউলটি সরাসরি লালকার্ড দেখানোর মতো ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। একজন কম নেয়া খেলায় সারক্ষণ স্বাগতিকদের আক্রমণ সামলাতেই ব্যর্থ থাকতে হয় অতিথিদের। অব্যাহত আক্রমণের মধ্যে ম্যাচের ২৭ মিনিটে প্রথম গোল পায় ম্যানসিটি। ডি বক্সের মধ্যে জটলা থেকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান পায়ের শটে গোলটি করেন আইভরিকোস্ট ফুটবলার উইলফ্রেড বোনি। সোয়ানসি সিটি থেকে গত জানুয়ারিতে ইতিহাদের দলটিতে যোগ দেয়া বোনির ম্যানচেস্টার সিটির জার্সিতে এটাই প্রথম গোল। ৩০ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু জেসুস নাভাসের শট অসাধারণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন ওয়েস্টব্রুমউইচ গোলরক্ষক। ৪০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে পেলেগ্রিনির দল। ডি বক্সের মধ্য থেকে ডান পায়ের শটে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফার্নান্ডো। এটি ইপিএলে ম্যানচেস্টার সিটির ১০০০ গোল। বিরতির পর ৫৯ মিনিটে সার্জিও এ্যাগুয়েরোর একটি শট পোস্টে লাগলে হতাশ হতে হয় সিটি সমর্থকদের। ৭২ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুবর্ন সুয়োগ হাতছাড়া করে ওয়েস্টব্রুমউইচ। স্ট্রাইকার সাইডু বেরহিনোর হেড পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ৭৭ মিনিটে ডেভিড সিলভার গোলে ৩-০ গোলে জয় পায় সিটি। মন্টেনেগ্রোর ফরোয়ার্ড স্টেভান ইয়োভেটিচের নিচু শটে আলতভাবে পা ছুঁইয়ে বল জালে জড়ান স্প্যানিশ তারকা। পরিচ্ছন্ন ম্যাচে নিউক্যাসলকে হারিয়ে ইপিএলে টানা ষষ্ঠ জয় পেয়েছে আর্সেনাল। টানা পাঁচ ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাসের পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ থেকে ছিটকে পড়ার হতাশা নিয়েও খেলতে নেমেছিল আর্সেন ওয়েঙ্গারের দল। নিউক্যাসেলের মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে আর্সেনাল। ফল পেতেও দেরি হয়নি। ২৪ মিনিটে জিরুডের গোলে এগিয়ে যায় গানার্সরা। ড্যানি ওয়েলব্যাকের জোরালো হেডে আলত টোকা দিয়ে বল জালে জড়ান ফরাসী তারকা। চার মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জিরুডই। সান্টি ক্যাজারলার ক্রসে সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে হেডে গোলটি করেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই স্ট্রাইকার। আর্সেনালের হয়ে নয় ম্যাচে এটি নবম গোল জিরুডের। বিরতির পর ৪৮ মিনিটে ফরাসী মিডফিল্ডার মুসা সিসোকোর গোলে ব্যবধান ২-১ করে নিউক্যাসল। এরপর ধারণা করা হয়েছিল ম্যাচটি জমজমাট হতে চলেছে। কিন্তু সেই সুযোগ পায়নি স্বাগতিকরা। দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্সেনাল।
×