ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ফাইনালে ওঠার লড়াই শুরু কাল

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২৩ মার্চ ২০১৫

ফাইনালে ওঠার লড়াই শুরু কাল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শুরুতে থাকা ১৪ দল থেকে এখন সেরা চারে নেমে এসেছে প্রতিযোগী দলের সংখ্যা। সেমিফাইনালে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। মঙ্গলবারই শুরু হচ্ছে ফাইনালে ওঠার লড়াই। প্রথম সেমিতে মুখোমুখি হবে এর আগে কোন বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে ব্যর্থ দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড। এ বারই প্রথম এ দুটি দলের কোন একটি দল ফাইনালে ওঠার সুযোগ করে নিতে যাচ্ছে। অকল্যান্ডের এডেন পার্কে আয়োজক কিউইদের সঙ্গে প্রোটিয়া শিবিরের এ লড়াই বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় শুরু হবে। কার স্বপ্ন সত্য হবে? এর আগে সর্বাধিক ৬ বার বিশ্বকাপের সেমি খেলেও ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে নিউজিল্যান্ড। আর দক্ষিণ আফ্রিকা আগে খেলেছে ৩ বার সেমি। প্রতিবার তারাও ব্যর্থতার দুঃখ নিয়ে ফিরে গেছে। এবার সুযোগ দু’দলের জন্যই। তবে নিউজিল্যান্ডের জন্য একটু অন্যরকম অতীত ফিরে আসছে। ২৩ বছর আগে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের সেমি থেকে বিদায় নিয়েছিল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দল পাকিস্তানের কাছে হেরে। ওই ম্যাচটি অকল্যান্ডের এই এডেন পার্কেই হয়েছিল। গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত খেলা নিউজিল্যান্ডের সে বিদায়টা ছিল খুবই যন্ত্রণার। এবার সেই অতীত দুঃখটা ঘোচানোর লড়াই নিউজিল্যান্ডের। তবে সেমিফাইনালে অবতীর্ণ হওয়ার আগে মাত্র দু’দিন সময় পেয়েছে তারা প্রস্তুত হওয়ার জন্য। যদিও দলের কোচ মাইক হেসন দারুণ আত্মবিশ্বাসী এ সময়ের মধ্যেই জয়ের জন্য প্রস্তুত হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে। দক্ষিণ আফ্রিকার নামের সঙ্গে সেঁটে আছে ‘চোকার্স’ তকমা। ১৯৯২ বিশ্বকাপে প্রথম অংশগ্রহণেই সেমিতে উঠেছিল প্রোটিয়া শিবির। এরপর ১৯৯৯ ও ২০০৭ বিশ্বকাপেও হট ফেবারিট তকমা থাকার পরও সেমি থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। এবার সে সব ভুলে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই তাদের কিউইদের বিরুদ্ধে। তবে যে কোন বিশ্বকাপের ইতিহাসে (ওয়ানডে ও টি২০) নকআউট পর্বে প্রথম জয়ের দেখাটা এবার পেয়ে গেছে গত দুই আসরের রানার্সআপ শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে। কোয়ার্টার ফাইনালে একপেশে ম্যাচে ৯ উইকেটে তাদের বিধ্বস্ত করেছে প্রোটিয়ারা। এবার সেমিতে জিতলেই প্রথমবার ফাইনাল খেলার স্বাদটাও পেয়ে যাবে দল। এ বিষয়ে মিলার বলেন, ‘এটা এমনকিছু যা আমাদের জন্য অজানা। এখন আমাদের সময়গুলো বেশ উত্তেজনায় কাটছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যেই আমরা হয়ত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে যেতে পারি। কিন্তু প্রতিটা সময়ই সুযোগ একবার। আমরা যতটা উন্মুখ তারচেয়ে সময়টা যেন একটু বেশিই ধীরগতিতে আসছে।’ তবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে আনা বেশ কঠিন হবে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য। কারণ টানা ৭ ম্যাচ জিতে এতদূর এসেছে তারা। আর বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে ১৩৪ রানের বড় পরাজয় দেখেছে প্রোটিয়ারা নিউজিল্যান্ডের কাছে। ওয়েলিংটনে হওয়া সে ম্যাচে ৩৩১ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ১৯৭ রানেই গুটিয়ে দিয়েছিল এখন পর্যন্ত অপরাজিত নিউজিল্যান্ড।
×