ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আইসিসি নিরপেক্ষ নয়, ওয়েবসাইট থেকে ৩৯.৪ ওভারে করা রুবেলের সেই বল গায়েব

রুবেলের বল উধাও!

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ২২ মার্চ ২০১৫

রুবেলের বল উধাও!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ-ভারত কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে আইসিসিও (আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা) যে ভারতের পক্ষ নিয়েছে, তা ম্যাচের দিনই বোঝা গেছে। মাঠে স্ক্রিনে ভারতের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়েছে, যাতে লেখা ছিল, ‘জিতেগা ভাই জিতেগা, ইন্ডিয়া জিতেগা।’ কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচে এমনটি করতে পারে না আইসিসি। এবার তো আরও একধাপ এগিয়ে গেল ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ৩৯.৪ ওভারে রোহিত শর্মাকে করা রুবেল হোসেনের ফুলটস বলটিতে আউট হয়েছিলেন এ ব্যাটসম্যান। কিন্তু আম্পায়ার ‘নো’ বল ডাকে। এ নিয়ে সমালোচনা এখনও চলছে। আইসিসি এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে সেই ‘নো’ বলটি আইসিসি ওয়েবসাইট থেকেই উধাও করে দিয়েছে। পেসার রুবেল হোসেনের করা ৪০তম ওভারের চতুর্থ (‘নো’ বল) বলটিকে ট্রাজেক্টরি ভিউ থেকে সরিয়ে ফেলেছে আইসিসি। নিয়মানুযায়ী, আইসিসির ওয়েবসাইটে গেলে আইসিসি ম্যাচ সেন্টারে যাওয়ার পর ম্যাচের প্রতিটি ওভারের প্রতি বল ট্রাজেক্টরি ভিউতে দেখা যায়। ওখানে প্রতিপক্ষ, বোলারের নাম, ওভার সিলেক্ট করেও সেই ওভারের বল দেখা যায়। তাছাড়া একটি বল কোথায় পিচ করে কোথায় গিয়েছে তাও জানা যায়। কিন্তু সবার বল থাকলেও রুবেলের সেই বিতর্কিত বলটি নেই! শুধু ব্যতিক্রম ঘটেছে টাইগার পেসার রুবেল হোসেনের করা সেই বিতর্কিত ‘নো’ বলের ক্ষেত্রে। ৪০তম ওভারের চতুর্থ বলটি ‘নো’ কল দেয় আম্পায়ার। তাই সেই ওভারে অতিরিক্ত একটি বল করানো হয়। কিন্তু বলের উচ্চতা জানার জন্য আইসিসির ওয়েবসাইটে গিয়ে ট্রাজেক্টরি ভিউ করলে দেখা যায়, সেই ‘নো’ বলটি সরিয়ে ফেলেছে আইসিসি। সেই ওভারের ১,২,৩,৫,৬,৭ নাম্বার বল দেখা যায়, কিন্তু ৪ নাম্বার (নো’ বল) বলটি দেখা যায় না। অথচ অধিনায়ক মাশরাফির করা ৪২তম ওভারের একটি বল ‘নো’ বল বলে ঘোষণা দেয় আম্পায়ার এবং সেই ওভারের ‘নো’ বলসহ সাতটি বল ঠিকই ট্রাজেক্টরি ভিউতে আছে। কিন্তু নেই রুবেলের সেই ‘নো’ বলটি। বিতর্কিত সেই বলটি ট্রাজেক্টরি ভিউ থেকে সরিয়ে ফেলেছে আইসিসি। এতেই বোঝা যায়, বিতর্কিত সেই বলটি আর কাউকে দেখাতে চায় না আইসিসি। আরচারিতে বাংলাদেশের রৌপ্যপদক স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আরচারির এশিয়া কাপ স্টেজ-২ এ (ওয়ার্ল্ড র‌্যাঙ্কিং টুর্নামেন্ট) রৌপ্যপদক লাভ করেছে বাংলাদেশ। শনিবার থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে অনুষ্ঠিত রিকার্ভ বো পুরুষ দলগত বিভাগের ফাইনালে বাংলাদেশ ৬-০ সেট পয়েন্টে রাশিয়ার কাছে হেরে রৌপ্যপদক পায়। এর আগে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ৫-৪ সেট পয়েন্টে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল। বাংলাদেশ পুরুষ দলের তিন আরচার শেখ সজীব, তামিমুল ইসলাম ও দুরুল হুদা হারান ভারতীয় আরচারদের। বাংলাদেশ জাতীয় আরচারি দলের এই সাফল্যে বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বিওএর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যগণের পক্ষ থেকে খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এখন কম্পাউন্ড ইভেন্টের খেলা চলছে। আরচারি দল রবিবার দেশে ফিরবে। বিওএর পক্ষ থেকে জাতীয় আরচারি দলকে বিমানবন্দরে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।
×