ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ব্যর্থতা স্বীকার হোল্ডারের

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ২২ মার্চ ২০১৫

ব্যর্থতা স্বীকার হোল্ডারের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই ছিটকে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শনিবার নিউজিল্যান্ডের কাছে ১৪৩ রানে হেরে স্বপ্ন যাত্রা থেমে গেলে তাদের। তবে ম্যাচ শেষে নিজেদেরই দোষারূপ করলেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। এ বিষয়ে ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের আরও ভাল পারফর্মেন্স উপহার দেয়ার প্রয়োজন ছিল। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের ডেথ ওভারে বোলারদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি। যে কারণে হারের মধ্য দিয়েই আমাদের তার মূল্য দিতে হলো।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই চমক উপহার দিলেন নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল। দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে ডাবল সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। তার আগে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে অসামান্য এই কীর্তি গড়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল। জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ২১৫ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলেছিলেন গেইল। এবার সেই গেইলকেও ছাড়িয়ে গেলেন গাপটিল। শেষ পর্যন্ত ২৩৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন কিউই ব্যাটসম্যান গাপটিল। অথচ মাত্র ৪ রানেই থেমে যেত তার ইনিংস। কিন্তু মারলন স্যামুয়েলসের ক্যাচ ফেলে দেয়ার মূল্যটা বেশ ভালভাবেই দিতে হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এ বিষয়ে ২৩ বছর বয়সী জেসন হোল্ডার বলেন, ‘অবশ্যই এটা তার (গাপটিল) দারুণ এক ইনিংস। মূলত সেই আমাদের হাত থেকে ম্যাচটাকে কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু আমরা শুরুতেই তাকে আউট করতে পারতাম। আর সেটা নিতে পারলইে হয়ত ম্যাচ জয়ের সুযোগ দুই দলের কাছেই ফিফটি-ফিফটি হতো।’ ‘বি’ গ্রুপের দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ গ্রুপ পর্বে সমান তিনটি করে ম্যাচে জয় ও হারের স্বাদ পেয়েছে। অনেকাংশে সৌভাগ্যেরই জুড়েই বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে তারা। কেননা গ্রুপ পর্বে সমান তিন ম্যাচে জয় ও পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছিল আয়ারল্যান্ডও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রান রেটে এগিয়ে থাকার কারণেই বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাই ভাল-মন্দ দুই সময়ই উপভোগ করেছে তারা। কিন্তু জেসন হোল্ডার মনে করেন এই মুহূর্তে যে অবস্থায় আছে তাদের বোলিং পারফর্মেন্স; ক্রিকেটে ভাল করতে হলে তা আরও ভাল করতে হবে, ‘এবারের আসরে আমাদের কিছু ভাল এবং খারাপ মুহূর্ত ছিল। তবে আমি মনে করি এখান থেকে আমাদের বোলারদের অনেক কিছুই শিখার আছে। এর চেয়েও আরও বেশি ধারাবাহিক পারফর্মেন্স উপহার দিতে হবে তাদের। তাতেই কেবল দেশের ক্রিকেট উন্নতির ছোঁয়া পাবে।’ বর্তমান দলটিতে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মধ্যে ড্যারেন সামি এবং সুলেমান বেন অন্যতম। কিন্তু তাদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সহযোগিতা পাননি বলে দাবি করেছেন তরুণ অধিনায়ক হোল্ডার। বিশ্বকাপের আগে ডোয়াইন ব্রাভোর স্থলাভিষিক্ত হন হোল্ডার। কিন্তু বিশ্বকাপের পারফর্মেন্সের কারণে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে তাকে। তবে হোল্ডার মনে করেন এসব কিছু থেকেই শিক্ষা নিয়েছেন তিনি। যা পরবর্তীতে কাজে লাগাতে পারবেন হোল্ডার। এ বিষয়ে তার অভিমত হলো, ‘ডানে-বামে এমনকি মাঝে সবত্রই সমালোচনা বিরাজমান ছিল। কিন্তু আমি যেভাবে দাঁড়িয়েছি তাতে গর্বিত। আমি কখনও এক পাও আমার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়নি। যখন অধিনায়কত্বের দায়িত্বটা আমার কাঁধে এসেছিল তখন ভেবেছিলাম এটা অনেক কঠিন কাজ। কিন্তু তারপরও বিশ্বকাপে আমাদের কিছু ভাল সময় গেছে এবং এখান থেকেই আমি শিখেছি যে কিভাবে আমাদের খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। সেইসঙ্গে তাদের কাছ থেকে কিভাবে সেরাটা বের করে নিয়ে আসা যায়।’
×