ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভারতকে হারাতে চাই ॥ হ্যাজলউড

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২২ মার্চ ২০১৫

ভারতকে হারাতে চাই ॥ হ্যাজলউড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার মাঠে নামবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই ফেবারিট মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। অন্যদিকে স্বাগতিক হিসেবে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়াও অনেকটা এগিয়ে। তবে পেসার জোশ হ্যাজলউড মনে করেন ভারতের বিপক্ষে সম্প্রতি পারফর্মেন্সই অস্ট্রেলিয়াকে মানসিকভাবে এগিয়ে রাখবে। তার মতে বিশ্বকাপের ঠিক আগে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ এবং ত্রিদেশীয় সিরিজ দুটিতেই দুর্দান্ত খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। আর সেখানে একটিতেও জয়ের দেখা পায়নি মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। আর সেমিফাইনালের আগে এই পরিসংখ্যান থেকেই অনুপ্রেরণা নিচ্ছেন হ্যাজলউড। এ বিষয়ে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ২৪ বছর বয়সী হ্যাজলউড বলেন, ‘এই গ্রীষ্মেই তাদের বিপক্ষে উভয় ফরম্যাটেই আমরা কিছু ম্যাচ খেলেছি। টেস্ট এবং ত্রিদেশীয় সিরিজে জয় পাওয়ায় সেমিফাইনালে আমরা কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকব।’ বিশ্বকাপের একাদশতম আসরে দুর্দান্ত খেলছে ভারত। ‘বি’ গ্রুপের দল হিসেবে গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচেই জয়ের দেখা পায় তারা। কোয়ার্টার ফাইনালেও বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ পর্বে একটি ম্যাচে হেরে যায়। আর একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে মাইকেল ক্লার্কের দল। বৃহস্পতিবার কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে আরও একটি রেকর্ড গড়ল অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সাত সেমিফাইনালে নাম লেখানোর কীর্তি গড়ল ক্লার্ক-ওয়াটসনরা। চলতি বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সপ্তমবারের মতো সেমিতে উঠে তারা। তাদের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয়বার সেমিফাইনালে ওঠার রেকর্ড রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের। ১৯৭৫ সালের প্রথম বিশ্বকাপেই সেমিফাইনালে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সেবার রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। পরের দুই বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয় তারা। কিন্তু ১৯৮৭ সালের আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে অসিরা। এরপর ১৯৯২ সালে আবারও প্রথম রাউন্ড থেকে মিশন শেষ হয় তাদের। ১৯৯৬ সালে সেমিফাইনালে উঠে শেষ পর্যন্ত রানার্সআপ হয় তারা। তবে ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ সালে টানা তিনবার শিরোপা জয়ের অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়ে অস্ট্রেলিয়া। গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ে চারবারের শিরোপাজয়ীরা। তবে এবারের আসরে ঠিকই সেমিফাইনালে নাম লিখিয়েছে মাইকেল ক্লার্কের অস্ট্রেলিয়া। শুধু তাই নয় ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠতেও আত্মবিশ্বাসী অসি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। সে জন্য পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়টা তাদের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস যোগাবে বলে মনে করছেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পরই ক্লার্ক বলেন, ‘এই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দল যে ধীরে ধীরে উন্নতি করছে তার বড় প্রমাণ আমাদের এই জয়। আর প্রতিটি জয়ই মোমেন্টাম এনে দেয়।’ এরপরই অসি অধিনায়কের সামনে আসে সিডনির সেমিফাইনাল প্রসঙ্গ। তবে সরাররি চ্যালেঞ্জের কথাই জানিয়ে দিলেন তিনি। তার মতে ভারতের চ্যালেঞ্জ নিতে তারা মুখিয়ে রয়েছেন। তবে পাকিস্তানের চেয়ে ভারত যে অনেক শক্তিশালী সেটা স্বীকার করেছেন ক্লার্ক। তাছাড়া ভারত অস্ট্রেলিয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই অবস্থান করছে। যে কারণে সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে নিজেদের দারুণভাবে মানিয়েও নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এ বিষয়ে মাইকেল ক্লার্কের অভিমত হলো, ‘ভারত ও পাকিস্তানের শক্তি এবং দুর্বলতা আলাদা। ভারত এখানে অনেকদিন ধরেই অবস্থান করছে। পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়েও নিয়েছে নিজেদের। তাই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগেই আমাদের দুর্বলতার জায়গাগুলো মেরামত করে নিতে হবে।’
×