ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যুদ্ধাপরাধী বিচার

বাগেরহাট ও চাঁপাইয়ের দুই মামলায় আজ থেকে জবানবন্দী

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২২ মার্চ ২০১৫

বাগেরহাট ও চাঁপাইয়ের দুই মামলায় আজ থেকে জবানবন্দী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাগেরহাটের কসাই সিরাজুল হক সিরাজ মাস্টার, আব্দুল লতিফ, আকরাম হোসেন খাঁন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের দুই রাজাকার মাহিদুর রহমান, মোঃ আফসার হোসেন চুটুর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সাক্ষীদের জবানবন্দী শেষ হয়েছে। আজ রবিবার থেকেই এই দুই মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা জবানবন্দী প্রদান করবেন। একই সঙ্গে আরেকটি মামলায় কিশোরগঞ্জের রাজাকার কমান্ডার হাসান আলীর বিরুদ্ধে ২২তম সাক্ষীর জবানবন্দীর জন্যও আজ দিন নির্ধারণ করা আছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ও ২ এ এই তিনটি মামলা রয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ও ২ এ আরও ছয়টি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ ও চূড়ান্ত প্রতিবেদনসহ শুনানির জন্য বিভিন্ন দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর তিন রাজাকার সালামতউল্লাহ খান, মৌলভী জাকারিয়া সিকদার ও মোহাম্মদ রশিদ মিয়ার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ১৯ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার রাজাকার কমান্ডার গাজী আব্দুল মান্নান, মোঃ হাফিজ উদ্দিন ও মোঃ আজাহারুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন নাসির উদ্দিন আহম্মেদ ও আইনজীবী শামসুদ্দিন আহম্মেদের মামলার পরবর্তী দিন রয়েছে ৩০ মার্চ। হবিগঞ্জের দুই সহোদর রাজাকার কমান্ডার মহিবুর রহমান ওরফে বড় মিয়া ও মজিবুর রহমান ওরফে আঙ্গুর মিয়ার বিরুদ্ধে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেয়ার জন্য প্রসিকিউশন পক্ষকে ১৬ এপ্রিল দিন দেয়া হয়েছে। জামালপুর জেলার বদর বাহিনীর কমান্ডারসহ ৮ জন রাজাকার আলবদর কমান্ডার আশরাফ হোসেন, অধ্যাপক শরীফ আহাম্মেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আব্দুল বারী, হারুন, মোঃ আবুল হাশেম, এ্যাডভোকেট মোঃ শামসুল হক ও এসএম ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে ৩০ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। কিশোরগঞ্জের রাজাকার কমান্ডার হাসান আলীর বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ২১ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দী প্রদান করেছেন। পরবর্তী সাক্ষীর জন্য ২২ মার্চ রবিবার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। পটুয়াখালীর রাজাকার কমান্ডার ফোরকান মল্লিকের বিরুদ্ধে ১১ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দী প্রদান করেছেন। ১২তম সাক্ষীর জবানবন্দীর জন্য ২৩ মার্চ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত নেত্রকোনার মুসলিম লীগ নেতা আতাউর রহমান ননি ও নেজামে ইসলামের ওবায়দুল হক তাহেরের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, বাড়িঘরে আগুন ও লুটপাটসহ ৬ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্য প্রদানের জন্য ৫ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বাগেরহাটের কসাই সিরাজুল হক সিরাজ মাস্টার, আব্দুল লতিফ ও আকরাম হোসেন খাঁনের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩০ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দী প্রদান করেছেন। ১৮ মার্চ সর্বশেষ ৩০তম সাক্ষী মোঃ মনিরুল ইসলাম জবানবন্দী প্রদান করেন। পরে তাকে আসামি পক্ষের আইনজীবী জেরা করেন। ওইদিনই চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ হেলাল উদ্দিনের জবানবন্দীর জন্য রবিবার দিন নির্ধারণ করেন।
×