ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অনলাইনে অবমাননা বন্ধ করুন ॥ মনিকা লিউনস্কি

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ২২ মার্চ ২০১৫

অনলাইনে অবমাননা বন্ধ করুন ॥ মনিকা লিউনস্কি

অনলাইনে মানুষকে অপমান করা ও ভয় দেখানো বন্ধ করার সময় এসেছে। এজন্য প্রয়োজন আরও সহানুভূতিশীল ইন্টারনেটের। হোয়াইট হাউসের এক সময়কার ইন্টার্ন মনিকা লিউনস্কি সম্প্রতি আয়োজিত টেড সম্মেলনে এই আহ্বান জানান। খবর বিবিসির। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে ১৯৯৮ সালে প্রণয়ে জড়িয়ে বিশ্বব্যাপী সংবাদপত্রের শিরোনাম হন লিউনস্কি। নিজেকে প্রথম দিকের সাইবার বুলির শিকারদের একজন দাবি করে ৪০ বছর বয়সী লিউনস্কি বলেন, ২২ বছর বয়সে আমি আমার বসের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়ি এবং ২৪ বছর বয়সে এসে তার ভয়াবহ পরিণতি উপলব্ধি করি। ইন্টারনেট তার ব্যক্তিগত এই অপমানকে আরও বাজে পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, ওই ঘটনাটি যখন প্রকাশিত হয়, তখন তা অনলাইনের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে এবং তিনি তার সম্মান, মর্যাদা হারান। সে সময় তাকে বিভিন্ন অপমানসূচক কথা শুনতে হয়েছিল। ১৭ বছর আগে এর কোন নির্দিষ্ট কোন নাম না থাকলেও এখন তা ‘সাইবার বুলিং’ নামেই পরিচিত। সাইবার বুলিং সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন এমন একজন ব্যক্তির ঘটনাও তুলে ধরেন তিনি বক্তব্যে। বক্তব্য শেষ হলে উপস্থিত দর্শকরা লিউনস্কিকে দাঁড়িয়ে সম্মান জানান। পালানোর আগে ৭০ জনকে গলা কেটে হত্যা বোকো হারামের নাইজিরিয়ার দামাসাক শহর ছেড়ে পালানোর আগে অন্ততপক্ষে ৭০ জনকে হত্যা করে একটি সেতুর নিচে ফেলে রেখে গেছে বোকো হারাম জঙ্গীরা। নিহতদের অনেকেরই গলা কাটা অবস্থায় দেখেছেন একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক। এদের মধ্যে অন্ততপক্ষে একজনের শিরñেদ করা ছিল। খবর ওয়েবসাইটের। গত শনিবার শহরটি বোকো হারামের দখলমুক্ত করে নাইজার ও শাদের সেনাবাহিনী। ২০১৪ সালের নবেম্বরে শহরটি দখল করে নিয়েছিল জঙ্গী সংগঠনটি। শহরটি থেকে বের হওয়ার একটি প্রধান সড়কের কংক্রিট সেতুর নিচে লাশগুলো ফেলে রাখা হয়েছিল। জায়গাটি বোকো হারামের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার স্থান ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরুভূমির মতো শুষ্ক বাতাসের কারণে লাশগুলো আংশিকভাবে মমি হয়ে গিয়েছিল। নাইজিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র কায়েম করতে চায় বোকো হারাম। এ লক্ষ্যে ছয় বছর ধরে চলা বিদ্রোহী লড়াইয়ে কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করেছে তারা। এই গোষ্ঠীকে নির্মূল করতে নাইজিরিয়া, নাইজার, শাদ ও ক্যামেরুনের সেনাবাহিনী মিলে আফ্রিকান ইউনিয়নের তত্ত্বাবধানে যৌথ অভিযানে নেমেছে। ওই অভিযানের অংশ হিসেবেই দামাসাক মুক্ত করে নাইজার ও শাদের যৌথবাহিনী। শাদের সেনারা জানিয়েছেন, তারা বৃহস্পতিবার এ লাশগুলো খুঁজে পেয়েছেন। তারা অন্ততপক্ষে ১০০টি লাশ আছে দাবি করলেও ওই সাংবাদিক ৭০টি লাশ পেয়েছেন।
×