গ্রীক প্রধানমন্ত্রী এ্যালেক্সিস সিপরাস ইইউ নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছেন যে, জরুরী ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা দেয়া না হলে এপ্রিলের শেষ নাগাদ তার দেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেল চেয়েছেন, নতুন তহবিল পেতে হলে গ্রীসকে একটি ‘ব্যাপকভিত্তিক’ সংস্কার কর্মসূচীর খসড়া তৈরি করে সেটি ইইউ অর্থমন্ত্রীদের দিয়ে অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। তবে মানবিক সঙ্কট এড়াতে ইইউ গ্রীসকে ২শ’ কোটি ইউরো দিতে রাজি হয়েছে। খবর গার্ডিয়ান ও বিবিসি অনলাইনের।
ব্রাসেলসে শুক্রবার অনুষ্ঠিত ইইউ ঋণদাতাদের বৈঠকে সিপরাস বলেছেন, গ্রীসকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার জন্য ইইউ যদি এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করে তবে সেটি গ্রীসের জন্য অনেক দেরি হয়ে যাবে। গত মাসে গ্রিসের সঙ্গে সম্পাদিত বেলআউটবিষয়ক এক চুক্তির আওতায় দেশটিকে পরবর্তী দফায় দেয় প্রায় ৭২০ কোটি ইউরো (৫১০ কোটি ডলার), এপ্রিল মাস শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ছাড় করার কোন সম্ভাবনা নেই। তবে মানবিক সঙ্কট এড়াতে ইইউ গ্রীসকে ২শ’ কোটি ইউরো (২১৫ কোটি ডলার) দিতে রাজি হয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জ্যঁ ক্লদ জাঙ্কার বলেছেন, তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব কমাতে এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সিপরাসের নেতৃত্বাধীন নয়া সরকারের জন্য কৃচ্ছ্রনীতি কড়াকড়িভাবে বাস্তবায়নকে ওই অর্থ ছাড়ের অন্যতম শর্ত করা হয়েছে। ব্রাসেলসে শুক্রবার শেষ হওয়া দু’দিন ইইউ শীর্ষ বৈঠকের শেষ দিনে মেরকেল গ্রীসকে আরও অর্থ সাহায্য পাওয়ার জন্য ‘ব্যাপকভিত্তিক’ সংস্কার কর্মসূচীর খসড়া তৈরি করে সেটি ইইউ অর্থমন্ত্রীদের দিয়ে অনুমোদন করিয়ে নেয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সিপরাসের অর্থ সাহায্যের আবেদন জানানোর পর মেরকেল এই মন্তব্য করেন। সিপরাস যাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক বৈঠকটি করেছেন তাদের মধ্যে মেরকেল, ফরাসী প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ, ইউরোপিয়ান সেন্ট্র্রাল ব্যাংকের প্রধান মারিও দ্রাগহিসহ ইউরোজোনের শীর্ষ আর্থিক কর্মকর্তারা ছিলেন।