ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ

সেচবঞ্চিত দুই হাজার কৃষক

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ২১ মার্চ ২০১৫

সেচবঞ্চিত দুই হাজার কৃষক

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ বাগমারা উপজেলার উত্তর একডালা ব্রিজ থেকে দ্বীপপুর ইউনিয়নের খাঁপুর গ্রাম পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার খালের দুইপাশের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় কতিপয় মৎসজীবী নামধারী প্রভাবশালী। খালের উভয় মুখ বন্ধ করে তারা সেখানে মাছ চাষ শুরু করেছে। ফলে উন্মুক্ত এই খালের পানি ব্যবহারের সুয়োগ না পেয়ে উভয় পাশের সহস্রাধিক বিঘা জমিতে সেচ দিতে পারছে না দুই সহস্রাধিক কৃষক। কৃষকদের অভিযোগ বিষয়টি তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীকে জানালেও কোন কাজ হয়নি। গ্রামবাসী ও কৃষকদের অভিযোগে জানা গেছে, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার উত্তর একডালা ব্রিজ থেকে দ্বীপপুর ইউনিয়নের খাঁপুর পর্যন্ত প্রশস্ত খালটি প্রতিবছর বর্ষায় পানি জমে ভরে যায়। শুষ্ক মৌসুমে এই খালের পানি ব্যবহার করে উত্তর একডালা, ডাকতা, কসবা, পাহাড়পুর, দ্বীপপুর ও খাঁপুরসহ এলাকার প্রায় দশ গ্রামের দুই হাজারের বেশি কৃষক ভুট্টা, গম, আলু, মরিচ, বাদাম ও ধানসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে থাকে। তবে গত কয়েক বছর ধরে কৃষকদের এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে এলাকার কতিপয় নামধারী মৎস্যজীবী সিন্ডিকেট খালের উভয় মুখ বন্ধ করে সেখানে মাছ চাষ শুরু করে। গত বৃহস্পতিবার ওই খাল থেকে কয়েকজন কৃষক শ্যালো মেশিনে পানি তুলতে গেলে সিন্ডিকেটের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা কৃষকদের ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেয়। কসবা গ্রামের কৃষক তাইজুল ও ডাকতা গ্রামের কৃষক হাজী কাজেম উদ্দিনসহ কয়েকজন কৃষক জানান, ভবানীগঞ্জ পৌর কৃষকদলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বাবু ও কসবা গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা করিম বক্স ১০-১২ জনের একটি সিন্ডিকেট করে কয়েকবছর ধরে খালটি দখল করে সেখানে অবৈধভাবে মাছ চাষ করে আসছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন জানান, কে বা কারা ব্রিজের নিচে মাটির বাঁধ দিয়েছে তা জানা নেই। তবে ব্রিজ সংলগ্ন খালের উভয় পাশ সরকারীভাবে উন্মুক্ত রয়েছে যা জনসাধারণ ব্যবহার করতে পারবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে কৃষকদের পক্ষে অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে অভিযোগটি অস্বীকার করে ভবানীগঞ্জ পৌর কৃষক দলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বাবু জানান, খালটি প্রায় শুকিয়ে গিয়েছিল। আমরা সেখানে গভীর নলকূপ থেকে পানি নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছি। তিনি বলেন, কাচারীকোয়ালীপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদ নামের একব্যক্তি ডিসি অফিস থেকে খালটি ইজারা নিয়েছেন।
×