ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

‘গর্ব অনুভব করছি’

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২১ মার্চ ২০১৫

‘গর্ব অনুভব  করছি’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ বিশ্বকাপই কী মাশরাফি বিন মর্তুজার শেষ বিশ্বকাপ? হতে পারে। অলৌকিক কিছু না ঘটলে তা হওয়ারও কথা। কিন্তু মাশরাফি এসব নিয়ে একেবারেই ভাবছেন না। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ শেষে বিদায় নিয়েছে মাশরাফিরা। শুধু ম্যাচটি নিয়ে, বিশ্বকাপ নিয়ে এবং সামান্য ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে জানিয়েছেন মাশরাফি। এবার বিশ্বকাপে দল যা করেছে, সবকিছু মিলিয়েই গর্ব অনুভব করছেন মাশরাফি। গর্ব কী শুধু মাশরাফি, দেশের মানুষও বাংলাদেশ দলের পারফর্মেন্সে গর্ব অনুভবই করছেন। মাশরাফির কথাগুলোর সারসংক্ষেপ এখানে তুলে ধরা হলো- প্রশ্ন ॥ ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময় রোহিত শর্মার আউট নিয়ে কোন সংশয় আছে কি না? আজকে আইসিসি থেকে আপনাদের ভিন্নভাবে ট্রিট করা হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে কী বলবেন? মাশরাফি ॥ এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর আমার এখানে দেয়া ঠিক হবে না, যা হয়েছে তা আপনারা মাঠে দেখেছেন। এখানে আলাদা করে কোন কিছু বলার নেই। খেলার দিক থেকে বলতে পারি, আমাদের আসলে ওই সময় একটি উইকেট খুব প্রয়োজন ছিল। উইকেটটা পেয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ওই বলটা ‘নো বল’ কল হয়। প্রশ্ন ॥ সবমিলিয়ে আমাদের বিশ্বকাপ জার্নিটা কেমন হলো? মাশরাফি ॥ বাংলাদেশের মানুষ আমাদের কাছে অনেক প্রত্যাশা করেছিল। বিশেষ করে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে তাদের প্রত্যাশাটা বেশি ছিল। জিততে পারলে খুব ভাল লাগত। আমরাও এটা চেয়েছিলাম। বোলিংয়ের কথা বললে বলব, খারাপ ছিল না। হয় তো ২০ রান বেশি দিয়েছি আমরা। ব্যাটিং হয় তো আমরা আরও ভাল করতে পারতাম। খুব ভাল উইকেট ছিল। দুর্ভাগ্যবশত পারিনি। ম্যাচটা আমাদের জন্য হতাশাজনক ছিল। যদি পুরো টুর্নামেন্টের কথা বলি তাহলে বলব, এখানে আমরা যা করেছি তাতে শুধু আমি নই, সব ছেলেরাই গর্ববোধ করতে পারে। এখানে আমরা যা শিখেছি কিংবা পেয়েছি, সামনে আমাদের অনেক বড় বড় দলের সঙ্গে খেলা আছে, সেখানে এর ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখতে চাই। এখানের আত্মবিশ্বাসটা হোম সিরিজে কাজে লাগবে। বিশ্বকাপটা আমি মনে করি, আমাদের জন্য ভালই গিয়েছে। প্রশ্ন ॥ অধিনায়কত্ব কতটা উপভোগ করলেন? এটা কী আপনার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে না কি উপভোগ্য ছিল? মাশরাফি ॥ অধিনায়কত্ব অবশ্যই এনজয় করেছি। দলের সবাই সবাইকে সাহায্য করেছে। আমাকে সাহায্য করেছে। আমি গর্ব অনুভব করছি। আমরা যখন এখানে খেলতে এসেছি, তখন কেউ প্রত্যাশা করেনি আমরা এতদূর আসব। আমাদের এই উইকেটে খেলার তেমন অভিজ্ঞতাও নেই। তার পরও প্রত্যেকটা ছেলে যেভাবে মানিয়ে নিয়েছে কন্ডিশনের সঙ্গে, যেভাবে অনুশীলন করেছে, কাছ থেকে দেখে সত্যিই গর্ব অনুভব করছি। প্রশ্ন ॥ নিজের ভবিষ্যত নিয়ে আপনি কিছু ভেবেছেন। অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাবেন কি না? বর্তমান ফিটনেসের অবস্থা? মাশরাফি ॥ অবশ্যই চিন্তা করি। যেহেতু টেস্ট ম্যাচ খেলছি না। স্বল্প ভার্সন ক্রিকেট চালিয়ে যাব। আমাদের তো পর পর অনেক অধিনায়কত্ব চেঞ্জ হয়েছে। সাকিব-মুশফিক এর আগে অধিনায়কত্ব করেছে। আসলে অধিনায়কত্ব আমাদের দলে কখনই কোন ইস্যু ছিল না। এখনও নেই। যেই করুক; আমরা এখনও ওই ধরনের দল হয়নি যে আমাদের এসব নিয়ে ভাবতে হবে। আমাদের কাজটা খেলা। যত দ্রুত সম্ভব দলকে ইমপ্রুভ করা। আরও ম্যাচ জেতা। এটাই আমাদের চিন্তা। আমরা আসলে বাইরের বাড়তি ভাবনাগুলো নিয়ে এত ভাবি না। প্রশ্ন ॥ রুবেল এবং তাসকিন, এই ২ জনকে টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে কেমন দেখছেন? মাশরাফি ॥ তাসকিন এবং রুবেল বাংলাদেশের জন্য গ্রেট প্রসপেক্ট। আশা করি, তারা ফিট থাকবে এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। ফর্ম আছে, আর ফর্ম তো সব সময় এক রকম থাকে না। আশা করি, তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী হবে। আমাদের দেশের জন্য তারা ২ জন গুরুত্বপূর্ণ। ১৪০-১৪৫ কিমি. গতিতে তারা বল করতে পারে। বিশেষ করে, টেস্ট ম্যাচের জন্য এবং ভিন্ন প্রতিপক্ষের জন্য এটা ভাল অস্ত্র হবে। প্রশ্ন ॥ ভারত কী বিশ্বকাপ জিততে পারে? মাশরাফি ॥ অবশ্যই জিততে পারে। যেভাবে খেলছে ভারত তাতে করে ভাল সুযোগই আছে; তাদের বোলাররা খুব ভাল বোলিং করছে, ব্যাটসম্যানরা ঠিক সময়ে রান পাচ্ছে।
×