স্টাফ রিপোর্টার ॥ বুধবার রাতে শিল্পকলা একাডেমিতে নাট্যকর্মীদের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন শুক্রবার প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে নাট্য ও সংস্কৃতিকর্মীরা। একই সঙ্গে শিল্পকলা একাডেমির আশপাশের ভ্রাম্যমাণ দোকান তুলে দিয়ে সেখানে বহিরাগতদের প্রবেশ করতে না দেয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির সামনে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট (আইটিআই) বাংলাদেশ কেন্দ্র এবং পথনাটক পরিষদ যৌথভাবে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। আইটিআই বাংলাদেশ কেন্দ্রের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেনÑ নাট্যজন ও আইটিআই বিশ্ব কেন্দ্রের সম্মানিত সভাপতি রামেন্দু মজুমদার, নাট্যজন মামুনূর রশীদ, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের চেয়ারম্যান ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরা, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সেক্রেটারি জেনারেল আখতারুজ্জামান।
রামেন্দু মজুমদার বলেন, শিল্পকলা একাডেমিতে নিরাপত্তার ঘাটতি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই আমরা একাডেমির কাছে নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে দাবি জানিয়ে আসছি। শিল্পকলা একাডেমির নিরাপত্তার জন্য বাইরে অবস্থানরত অবৈধ দোকানপাট তুলে দিতে হবে।
নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, যারা নাট্যকর্মীদের ওপর হামলা করেছে, তারা অসাংস্কৃতিক মানুষ। এ ধরনের মানুষদের শিল্পকলায় প্রবেশে বাধা দিতে হবে। সেই সঙ্গে ঐ রাতে প্রতিরোধের জন্য সকল নাট্যকর্মীকে ধন্যবাদ জানাই। সে রাতের মতো আমাদের সব সময় ঐক্যবদ্ধ থেকে সব অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
মামুনূর রশীদ বলেন, শিল্পকলার নিরাপত্তায় গুটিকয়েক আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকেন। তাদের কাজ শুধু গাড়ির তদারকি করা, সে কাজটাও তারা ঠিকমতো করতে পারে না। তারা শিল্পকলার নিরাপত্তা কিভাবে দেব? শিল্পকলার নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজন হয়, তাদেরকে নিয়ে আসার জন্য একাডেমি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।
লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘নিরাপত্তা ঘাটতির বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা সংস্কৃতাঙ্গণের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করব। যদি তারা মত দেন তাহলে ১৫দিনের মধ্যে টিকেট কাউন্টার মূল ভবনের বাইরে নিয়ে আসা হবে। যাতে টিকেট ছাড়া কেউ একাডেমিতে প্রবেশ করতে না পারে।’
অন্য বক্তারা বলেন, শিল্পকলা একাডেমি সংস্কৃতিকর্মীদের তীর্থভূমি। সেখানেই যদি তারা নিরাপদ না থাকেন, তাহলে দেশের অন্য জায়গায় কিভাবে নিরাপদ থাকবেন। ঘটনার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও শিল্পকলা একাডেমি এখনও মামলা করেনি। দোষীদের অবিলম্বে মামলার দাবি জানান বক্তারা।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা থেকে বের হয়ে মৎস ভবন ঘুরে আবারও একই জায়গায় এসে শেষ হয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: