ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চার বছর এ ধরনের আলোচনা বন্ধ ছিল

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ২০ মার্চ ২০১৫

চার বছর এ ধরনের আলোচনা বন্ধ ছিল

চীন ও জাপান বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠকে মিলিত হয়েছে। আঞ্চলিক বিরোধকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনার কারণে গত চার বছর উভয় দেশের মধ্যে এ ধরনের আলোচনা বন্ধ ছিল। সর্বশেষ ২০১১ সালে উভয় দেশের মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। খবর এএফপির। কর্মকর্তা ও সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, টোকিওর পররাষ্ট্র দফতরে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে উভয় দেশের বিরোধই মূল বিষয়। বৈঠকে জাপানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিংসুকে সুগিয়ামা এবং চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিউ জিয়ানচাওসহ দু’দেশের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন। পূর্ব চীন সাগরের যে দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা নিয়ে চীন ও জাপান উভয় দেশে বিরোধ চলছে তা টোকিওতে সেনকাকু ও বেইজিংয়ে দাইয়ুস নামে পরিচিত। জাপান ২০১২ সালে দ্বীপপুঞ্জের কিছু অংশের জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে চীনকে তীব্রভাবে ক্ষুব্ধ করে তোলে। এরপর থেকে চীন জাপানের সঙ্গে যে কোন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক এড়িয়ে চলছিল। কিন্তু নবেম্বরে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক ফোরামের বৈঠকের ফাঁকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং হাত মেলালে দু’দেশের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে। জাপানের প্রধান কেবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদে সুগা সাংবাদিকদের বলেন, দু’দেশের নিরাপত্তা বিষয়ে পারস্পরিক বিশ্বাসের উন্নয়ন ঘটানোই এ বৈঠকের লক্ষ্য। চীনের সরকারী বার্তা সংস্থা সিনহুয়া লিউর মন্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, চীন আশা করছে ‘ইতিহাসের আলোকে ভবিষ্যত নির্মাণ’ এ চেতনাকে সামনে রেখে টোকিওর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটানো। কিউবায় চালু হচ্ছে পাবলিক ওয়াইফাই কিউবায় প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে পাবলিক ওয়াইফাই। কিউবার টেলিকম কোম্পানি ইটেকসা রাজধানী হাভানার কিউবান এক প্রকাশ্য স্থানে সাংস্কৃতিক কর্মীদের জন্য এ সুবিধা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। খবর বিবিসি অনলাইন। কিউবার রাষ্ট্রীয় টেলিকম সংস্থা এটেকসা কেকোকে তাদের কালচারাল সেন্টারে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক চালু করার অনুমতি দিয়েছে। কিউবা সরকারের সঙ্গে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটির ঘনিষ্ঠতা থাকায় অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে এজন্য প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতি মাসে গুণতে হবে ৯শ’ মার্কিন ডলার। কমিউনিস্ট শাসিত কিউবায় ইন্টারনেট বেশ ব্যয়বহুল। ক্যাফেতে এক ঘণ্টা ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য ব্যয় করতে হয় সাড়ে চার মার্কিন ডলার, যা একজন কিউবানের সাপ্তাহিক গড় আয়ের সমান। দেশটির জনসাধারণের মাত্র ৫ থেকে ২৫ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করতে পারে। সাধারণ জনগণকে ইন্টারনেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতেই রাউল ক্যাস্ট্রোর সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে।
×