ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ম্যাচটা অঘোষিত ফাইনাল ॥ অসি অধিনায়ক ক্লার্ক

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ২০ মার্চ ২০১৫

ম্যাচটা অঘোষিত ফাইনাল ॥ অসি অধিনায়ক ক্লার্ক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কোয়ার্টার ফাইনালের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আজ মাঠে নামছে অস্ট্রেলিয়া। এ্যাডিলেড ওভালে তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী পাকিস্তান। তবে তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটাকেই এবারের বিশ্বকাপের ফাইনাল হিসেবে মানছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। তার মতে, মিসবাহ-উল-হকদের দলটা এবার ভয়ঙ্কর। যে কারণে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটা হবে বেশ চ্যালেঞ্জিং। যদিওবা পরিসংখ্যান বলে ভিন্ন কথা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সর্বশেষ ১০ ওয়ানডে ম্যাচের নয়টিতেই হেরেছে পাকিস্তান। কিন্তু এসব পরিসংখ্যানকে মানতে চান না অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। এ্যাডিলেড ওভালে বৃহস্পতিবার অনুশীলন পর্বের শেষেই মাইকেল ক্লার্ক বলেন, ‘আমি মনে করি পাকিস্তানকে দীর্ঘ সময় ধরে নিচু মানের দল হিসেবে গণনা করা হয়েছে। বিশেষ করে ছোট ভার্সনের ক্রিকেটে। কিন্তু তাদের দলে কয়েকজন প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে। তাদের বোলিং আক্রমণও দারুণ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তাদের দলে তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার চমৎকার সংমিশ্রণ। এটা আমাদের জন্য অবশ্যই কঠিন চ্যালেঞ্জ। আমি বিশ্বাস করি তাদের পরাজিত করতে হলে আমাদের সেরাটাই দিতে হবে। মূলত এই ম্যাচটাকে আমরা বিশ্বকাপের ফাইনাল হিসেবেই দেখছি। তাদের কাছে হারলেই দর্শক হয়ে বাকি ম্যাচগুলো উপভোগ করতে হবে, তাই কিভাবে ম্যাচে সাফল্য লাভ করা যায় তার দিকেই এখন আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ চারবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। এবারও তাদের গায়ে ফেবারিটের তকমা। কেননা নিজেদের মাটিতেই হচ্ছে বিশ্বকাপের একাদশতম আসর। ইংলিশদের বিপক্ষে জিতেই বিশ্বকাপের অভিযান শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয় এবং পরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১৫১ রানে অলআউট হওয়ার পরে এক উইকেটে পরাজিত হয়। এরপর তারা টানা তিন ম্যাচে জিতে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ হিসেবেই নকআউট পর্বের টিকেট নিশ্চিত করে অসিরা। তবে ক্লার্কের মতে গ্রুপ পর্বের ফলাফলের এখন আর কোন মূল্য নেই। কেননা এখানে হারলে সেই ফলাফল আসলে মূল্যহীন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কাল (শুক্রবার) নতুন একটি দিন। ব্যাট হাতে আমাদের শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। বল হাতেও তাই। আগে যা ঘটেছে তা এখানে কেউ দেখবে না। আগের ম্যাচের পারফর্মেন্সও এখানে কাজে দেবে না। শুধু ওই দিনটির উপর জোর দিতে হবে এবং এর জন্য প্রস্তুতিও সেভাবেই নিতে হবে। ব্যাটিং, বোলিংয়ের সঙ্গে ফিল্ডিংয়েও নিজেদের শতভাগ উজাড় করে দিতে হবে। সবুজ পিচে সাজানো এ্যাডিলেড ওভাল। তাই ক্লার্ক মনে করছেন এই পিচ উভয় দলের ফাস্ট বোলারদের জন্যই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। মাঠটিকে চমৎকার আখ্যা দিয়ে অসি অধিনায়ক বলেন, ‘এই উইকেটের পেছনে গ্রাউন্ডসম্যানদের অনেক অবদান আছে। আর তাই ম্যাচে ফাস্ট বোলাররাই বেশি সুবিধা পাবে।’ অস্ট্রেলিয়া দলে তিন বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক, মিচেল জনসন এবং জেমস ফকনারের খেলা প্রায় নিশ্চিত। তবে এদের সঙ্গে প্যাট কামিন্স অথবা জোস হ্যাজেলউডকেও দেখা যেতে পারে। অন্যদিকে পাকিস্তান দলে রয়েছেন ওয়াহাব রিয়াজ, রাহাত আলী এবং সোহেল খানের মতো বিশ্বকাপে নিজেদের প্রমাণ করা পেসাররা। বিশ্বকাপে একে অপরের মোকাবেলায় শেষ আট ম্যাচে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া চারটি করে ম্যাচ জিতেছে। সর্বশেষ চার বছর আগে কলম্বোতে পাকিস্তান চার উইকেটে জয়ী হয়েছিল। বিশ্বকাপে হার দিয়ে শুরু করে মিসবাহ-উল হকের দল। প্রথম দুই ম্যাচে হারা পাকিস্তান শেষ চার ম্যাচের সবতেই দারুণ জয়ে শেষ আটের টিকেট নিশ্চিত করে। তবে মিসবাহর মতে, কোয়ার্টার ফাইনালে যারা ভাল খেলবে তারাই জিতবে। এখানে অতীত পরিসংখ্যান আসলে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। মিসবাহ বলেন, ‘নকআউট পর্বের ম্যাচে আসলে যে দল ভাল খেলবে তাদেরই ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা বেশি। তবে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া কঠিন প্রতিপক্ষ তাতে কোন সন্দেহ নেই। সে কারণেই সবাই তাদের ফেবারিট মানছে।’
×