ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিলেটে র‌্যাবের ‘সোর্স’ পরিচয়দানকারী গেদা আরও ৩ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২০ মার্চ ২০১৫

সিলেটে র‌্যাবের ‘সোর্স’ পরিচয়দানকারী গেদা আরও ৩ দিনের রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস ॥ সিলেটে চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্র আবু সাঈদ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া র‌্যাবের ‘সোর্স’ পরিচয়দানকারী আতাউর রহমান গেদার আরও তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার প্রথম দফা রিমান্ড শেষে তাকে মুখ্য মহানগর হাকিম এবি এম জহিরুল গণি চৌধুরীর আদালতে হাজির করে আবারও রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালতের বিচারক তার আরও তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে সাঈদ খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সিলেটে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। গত ১৪ মার্চ ঝর্ণারপাড়ের পুলিশ কনস্টেবল এবাদুরের বাসা থেকে রায়নগর দর্জিবন্দ ৭৩ নম্বর বাসার আবদুল মতিনের ছেলে ও হযরত শাহ মীর (রহ.) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র আবু সাঈদের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই রাতে পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর, জেলা ওলামালীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব ও র‌্যাবের সোর্স পরিচয়দানকারী আতাউর রহমান গেদাকে গ্রেফতার করা হয়। এবাদুর ও রাকিব ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। গত ১৬ মার্চ মহানগর হাকিম ১ম আদালতে গেদার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে বিচারক শাহেদুল করিম তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বৃহস্পতিবার প্রথম দফা রিমান্ড শেষে তাকে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে আবারও রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত দ্বিতীয় দফায় আরও ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ফায়াজ আহমদ জানান, গেদা খুবই চতুর ও ধূর্ত। প্রথম দফা রিমান্ডে সে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেছে। অপহরণ ও কিলিং মিশনে অংশ নেয়া অন্যদের সম্পর্কে স্পষ্ট কোন বক্তব্য দিচ্ছে না। তাই তাকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে আনা হয়েছে। হাজী শাহমীর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র আবু সাঈদের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি সিলেট মহানগর শাখা। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা সাঈদ হত্যাকারীদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আর যাতে কোন মায়ের বুক খালি না হয়। আর কোন শিক্ষার্থী যেন অপহৃত না হয় সেজন্য পুলিশসহ জড়িতদের অবিলম্বে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। তাদের ফাঁসি কার্যকর হলে কোন অপহরণকারী অপহরণ করার সাহস পাবে না। সমিতির সভাপতি জেসমিন সুলতানার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফছা আক্তারের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, মতি লাল গুপ্ত, নুরুল ইসলাম, নিকেতন দাস, সেলিনা বেগম, সালমা জাহান, কানিজ আয়েশা, হুছনা বেগম, সংকরী কর, শাহনারা বেগম, রোজিনা বেগম, অজিত পাল, আজাদ মিয়া, শামীম আহমদ, ফয়েজ উদ্দিন, শিখা চৌধুরী, রাশেদ নেওয়াজ, বিমল দাস, শ্রীবাস রায়, রজত বিশ্বাস, শক্তি মজুমদার, নিলু দাস, সুরমা বেগম, হালিমা খাতুন, সিদ্দিকা খাতুন, মনোয়ারা মজুমদার, আব্দুল মছব্বির, অজয় দে, তুলি দেবী, মৌসুমী বিশ্বাস, হুসনে আরা সুলতানা, সৈয়দা রেহানা বেগম, সাথী রানী দে, জান্নাতুন নাহার রুবী, জলি দেব, সন্ধানী রায়, হেপি দেবী, মনোয়ারা মজুমদার, শহীদুল ইসলাম, শাহীন আহমদ, গনেশ কুমার পাল দিপু, ফখরুল আলম, মুনমুন, নাজিয়া বেগম, প্রমতেশ দত্ত প্রমুখ।
×