ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বয়লারের বাতাসে ওড়া ছাইয়ে ক্ষতি হচ্ছে মানুষের চোখ

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ২০ মার্চ ২০১৫

বয়লারের বাতাসে ওড়া ছাইয়ে ক্ষতি হচ্ছে মানুষের চোখ

স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী ॥ ঈশ্বরদী-কুষ্টিয়া মহাসড়কের দু’পাশে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে স্তূপ করে রাখা ধান-চাতাল মিলে বয়লারের বাতাসে ওড়া ছাই চোখে পড়ে পথচারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন পথচারীর চোখে ছাই ঢুকে তাদের ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে। বাতাসে ওড়া ছাইয়ে এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব বিষয়ে নানাভাবে সতর্ক করা হলেও ধান চাতাল মালিকরা তা মানছেন না। ছলিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান, অসংখ্য ক্ষতিগ্রস্ত পথচারী, চক্ষু চিকিৎসক ও ভুক্তভোগীদের দেয়া অভিযোগ সূত্রে এসব জানা গেছে। সূত্র মতে, উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ চালের মোকাম ঈশ্বরদী-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ভেলুপাড়া থেকে নতুনহাট মোড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় সাড়ে চার শতাধিক ধান চাতাল ও মিল রয়েছে। প্রতিদিন এসব ধান চাতালের বয়লারে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় ধানের গুঁড়া। ধান সিদ্ধ করার পর বয়লার থেকে বের হয় প্রচুর ছাই। চাতাল মালিকরা এসব ছাই রাস্তার পাশে যত্রতত্র স্তূপ করে ফেলে রাখায় মহাসড়কে চলাচলকারী পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহনে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একই সঙ্গে পরিবেশেরও মারাত্মকভাবে ক্ষতি হচ্ছে। মাঝে মধ্যেই এসব ছাই বাতাসে উড়ে পথচারী ও যাত্রীদের চোখে মুখে পড়ে ত্বকের ও চোখের ক্ষতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক পথচারী ছাইয়ের কারণে চোখের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য সম্প্রতি ছলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করে চাতাল ও মিল মালিকদের সতর্ক করে দেয়া হলেও কোন চাতাল মালিকই তা মানছেন না। ধান চাতাল মালিক সমিতির সভাপতি মজিবর রহমান মোল্লা জানান, মিলের ছাইয়ে পানি দেয়ার কথা সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। ছাইয়ের ওপর পানি দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সেলিম জানান, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। মানুষের চোখে ছাই পড়ে চোখ নষ্টসহ নানা রকম সমস্যা হচ্ছে। পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। আশপাশের বাড়ি ঘরে ছাই ঢুকে পড়ছে। বিষয়টি শুনেছি। ফটিকছড়িতে ফের গণপিটুনিতে ডাকাতের মৃত্যু নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি, ১৯ মার্চ ॥ উপজেলার সমিতিরহাট ইউনিয়নের উত্তর নিচিন্তাপুর গ্রামে বুধবার রাতে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। নিহত ডাকাতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী জানায়, বুধবার গভীর রাতে সমিতিরহাট উত্তর নিচিন্তাপুর গ্রামের আসকার আলী পণ্ডিতের বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল ডাকাত দল। এলাকাবাসী মসজিদে মাইকিং করে ডাকাত দলকে চারিদিক থেকে ঘেরাও করে এক ডাকাতকে ধরতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে এ ডাকাত প্রাণ হারায়। খবর পেয়ে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে। গেল দু’সপ্তাহ আগে একই গ্রামে ডাকাতির চেষ্টাকালে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত হয়েছিল। কক্সবাজারে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে জানান, চকরিয়া পুকপুকুরিয়ার সৌদি প্রবাসী নেজাম উদ্দিনের বাড়িতে ডাকাতদল হানা দিয়ে স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। ডাকাতের প্রহারে নারী-শিশুসহ আহত হয়েছে পাঁচ জন। বুধবার রাতে ১০-১২ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল নারী-পুরুষকে পিটিয়ে এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এ তা-ব চালায়। তারা বিয়ের খরচের জন্য প্রবাস থেকে ভাইদের পাঠানো নগদ ২ লাখ টাকা, গৃহবধূদের ৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ৩টি মোবাইল সেটসহ কাপড়-চোপড় নিয়ে গেছে।
×