ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত সুবহানের আপীল

প্রকাশিত: ০৭:৫০, ১৯ মার্চ ২০১৫

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত সুবহানের আপীল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াত নেতা আব্দুস সুবহান খালাস চেয়ে সুপ্রীমকোর্টে আপীল আবেদন দাখিল করেছেন। সুবহানের পক্ষে এ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নাল আবেদীন তুহিন আপীল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন জমা দেন বলে জানিয়েছেন জামায়াত নেতাদের আইনজীবী শিশির মনির। তিনি বলেন, ৮৯ পৃষ্ঠার মূল আপীলসহ ১ হাজার ১৮২ পৃষ্ঠার নথিতে সুবহানের খালাসের পক্ষে ৯২ যুক্তি তুলে ধরেছেন তারা। এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সুবহানকে মৃত্যুদ- দিয়ে রায় দেয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাবনায় সুবহানের নেতৃত্বে রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী ব্যাপক হত্যা, অপহরণ ও নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটায় বলে রায়ে উঠে আসে। প্রসিকিউশনের আনা নয় অভিযোগের মধ্যে ছয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এই রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল। একাত্তরের কর্মকা-ের জন্য সুবহানকে একজন ‘অতি কুখ্যাত’ ব্যক্তি হিসাবে উল্লেখ করে রায়ে আদালত বলে, মৃত্যুদ-ই তার অপরাধের ‘যোগ্য শাস্তি’। অপরাধের তুলনায় বয়স বিবেচনায় তার সাজা কমিয়ে দিলে তা কোনভাবেই অর্থবহ হবে না। জামায়াতের বর্তমান নায়েবে আমির মাওলানা আবদুস সুবহান পাকিস্তান আমলে ছিলেন পাবনা জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের আনা ১ নম্বর অভিযোগে ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে বের করে ২০ জনকে হত্যা। ৪ নম্বর অভিযোগে সাহাপুর গ্রামে ছয়জনকে হত্যা এবং ৬ নম্বর অভিযোগে সুজানগর থানার ১৫ গ্রামে কয়েক শ’ মানুষকে হত্যার দায়ে সুবহানকে দেয়া হয় মৃত্যুদ-। ২ নম্বর অভিযোগে পাকশী ইউনিয়নের যুক্তিতলা গ্রামে পাঁচজনকে হত্যা এবং ৭ নম্বর অভিযোগে সদর থানার ভাঁড়ারা ও দেবোত্তর গ্রামে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দেয়া হয় আমৃত্যু কারাদ-। এছাড়া ৩ নম্বর অভিযোগে ঈশ্বরদীর অরণখোলা গ্রামে কয়েকজনকে অপহরণ ও আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় সুবহানকে পাঁচ বছরের কারাদ- দেয়া হয়। প্রসিকিউশন ৫, ৮ ও ৯ নম্বর অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এসব অভিযোগ থেকে সুবহানকে খালাস দিয়েছে আদালত।
×