ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অসিদের হারাতে আশাবাদী ওয়াকার

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১৯ মার্চ ২০১৫

অসিদের হারাতে আশাবাদী ওয়াকার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বুকের পাটা না থাকলে কেউ পাকিস্তান কোচের দায়িত্ব নেন? এটি সবারই জানা। পাকিরা বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম ‘অস্থির’ আর ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ দল। ২০১১ বিশ্বকাপে ভাঙ্গাচোড়া দল নিয়ে সেমিতে উঠেছিলেন, অনেক নাটকীয়তার পর সেই ওয়াকার ইউনুসই এবার পাকিস্তানের কোচ। হুট করে প্রধান পেসার মোহাম্মদ ইরফান ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে যাওয়া সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি। ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ইরফানকে হারাতে হয়েছে। মানতেই হবে এটি আমাদের জন্য বড় ক্ষতি। কারণ ও প্রধান স্ট্রাইক বোলার ও ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয়া এক পারফর্মার। কিন্তু আগেও বলেছি ইনজুরির ওপর কারও হাত নেই। সুতরাং বস্তবতা মেনে সামনে তাকাতে হচ্ছে। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো সম্ভব। বিশ্বকাপে গতবারও আমরা তাদের হারিয়ে ছিলাম। সুতরাং নিজেদের জায়গা থেকে সেরা খেলাটা খেলতে হবে।’ বলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সাবেক তারকা আরও যোগ করেন, ‘সাঈদ আজমলের মতো প্রধান স্পিনারকে ছাড়া দল গড়তে হয়েছে। ইনজুরির জন্য উমর গুলকেও পাইনি। এরপর বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে ছিটকে গেল জুনায়েদ খান। সে সব মানিয়ে নিয়েই খেলতে হয়েছে। ইরফানকে নিয়েও খুব বেশি ভাবতে চাই না। ওয়াহাব রিয়াজ অসাধারণ বোলিং করছে। সঙ্গে রাহাত আলি, সোহেল খান আছে। সুতরাং আমরা নিজেদের দিকে তাকাতে চাই। যে যার অবস্থান থেকে সেরাটা দিতে মরিয়া। পুল-পর্বের শেষ ম্যাচগুলোতে টানা জয় পাওয়ায় দল এখন ভাল অবস্থায় রয়েছে। আমি আশাবাদী।’ ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম দুই ম্যাচেই হেরে বসে মিসবাহ-উল হকের দল। কোয়ার্টারে উঠতে জিততেই হবে এমন সমীকরণে পরের সব ম্যাচ জিতে শেষ আটে জায়গা করে নেয় তারা! ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মাঝেও দলকে কোয়র্টারে তুলে আনার রূপকার পেসররা, যেখানে অগ্রভাগে ছিলেন ইরফান। ৭ ফুট ১ ইঞ্চি উচ্চতার দ্রুতগতির এই বোলার ওভারপ্রতি মাত্র ৪.৫৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৮ উইকেট। চমৎকার বোলিং করে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের জন্য আতঙ্ক হয়ে উঠছিলেন তিনি। নিতম্বের চোটের জন্য আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপই শেষ হয়ে যায় ইরফানের। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে পাকিদের জন্য বড় ধাক্কা এটি। অধিনায়ক মিসবাহও তা স্বীকার করেন, ‘ইরফান ব্যতিক্রম পেসার। প্রতিপক্ষের জন্য সত্যিকারের আতঙ্ক। আমাদের জন্য পরিস্থিতিটা আরও কঠিন হয়ে গেল। নিষেধাজ্ঞার কারণে এমনিতে আজমল নেই। শেষ মুহূর্তে জুনায়েদকে হারাতে হয়েছে। এখন ইরফান। এটা আসলেই দুঃসংবাদ।’ এ্যাটলেটিকো শেষ আটে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, আর্সেনালের বিদায় স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জার্মান ক্লাব বেয়ার লেভারকুসেনকে পেনাল্টি শূটআউটে ৩-২ গোলে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে নিজেদের মাঠ ভিসেন্টে ক্যালডেরনে আসরের বর্তমান রানার্সআপ এ্যাটলেটিকো ১-০ গোলে হারায় লেভারকুসেনকে। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ১-১ গোলে সমতা বিরাজ করে। এর আগে প্রথম লেগের ম্যাচে লেভারকুসেন ১-০ গোলে হারিয়েছিল এ্যাটলেটিকোকে। সমতা থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এই সময়েও গোল না হলে টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হয়। যেখানে জয় পায় এ্যাটলেটিকো। আরেক ম্যাচে ফরাসী ক্লাব মোনাকোকে ২-০ গোলে হারিয়েও বিদায় নিতে হয়েছে ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালকে। কেননা প্রথম লেগের ম্যাচে নিজেদের মাঠে আর্সেনাল হেরেছিল ৩-১ গোলে। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৩ গোলে সমতা হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে বেশি গোল করার সুবাদে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট পেয়েছে মোনাকো। প্রতিপক্ষের মাঠে আর্সেনালের হয়ে দুই অর্ধে দুই গোল করেন অলিভিরে জিরুড ও এ্যারন রামসে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পঁচা মিনিট আগে আরেকটি গোল পেতে পেতে পাননি জিরুড। স্বাগতিক গোলরক্ষক ডানিয়েল সুবাসিচ সে যাত্রায় দলকে রক্ষা করেন। হেরেও ২০০৪ সালের পর প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে মোনাকে। আর টানা পঞ্চমবারের মতো শেষ আটে উঠতে ব্যর্থ হলো আর্সেনাল।
×