ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যুবদল নেতার বাড়িতে বোমার কারখানা ॥ ককটেলে কনস্টেবল জখম

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ১৯ মার্চ ২০১৫

যুবদল নেতার বাড়িতে বোমার কারখানা ॥ ককটেলে কনস্টেবল জখম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকায় লালবাগের যুবদল নেতা মীর নেওয়াজের বাড়ি থেকে ৭৩ তাজা বোমা ও বোমা তৈরির বিপুল রাসায়নিক ও সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। বোমা তৈরির এ কারখানার খবর গোপন সূত্রে জানতে পেরে মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই বাড়িতে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। হরতাল-অবরোধের নামে আতঙ্ক সৃষ্টি ও নাশকতা চালাতে এই কারখানা গড়ে তোলে স্থানীয় যুবদল নেতা। তাকে না পেয়ে এসব সরঞ্জাম উদ্ধারকালে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চোরাগোপ্তা হামলার অংশ হিসেবে বুধবার নীলক্ষেতে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন ধরিয়ে দিলে মিরপুর জার্মান টেকনিক্যালের নবম শ্রেণীর ছাত্র মেহেদী হাসান রানা দগ্ধ হয়। নটর ডেম কলেজের সামনে অবরোধকারীদের ছোড়া ককটেলে এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন। বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে যাত্রীবাহী বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় অবরোধ-হরতাল সমর্থকরা। গাড়িটি মিরপুর থেকে আজিমপুর যাচ্ছিল। আগুনে মিরপুর জার্মান টেকনিক্যালের নবম শ্রেণীর ছাত্র মেহেদী হাসান রানা দগ্ধ হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রানা প্রাথমিকভাবে আশঙ্কামুক্ত। ক্লাস শেষে রানা লালবাগের ঢাকেশ্বরীর ২৪/২ নম্বর বাড়িতে ফিরছিল। অন্যদিকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নটর ডেম কলেজের সামনে অবরোধকারীদের ছোড়া ককটেলে এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন। এছাড়া সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৮ বোমা। পুলিশ ও র‌্যাব-১০ যৌথভাবে অভিযানটি চালায়। লালবাগের জে এন সাহা সড়কে যুবদল নেতা নেওয়াজের সাততলা বাড়ির তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে বোমা, বোমা তৈরির দুই কেজি রাসায়নিক ও স্পিøন্টারসহ নানা সরঞ্জাম উদ্ধার হয়। তবে যুবদল নেতাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় বাদশা (৪৪) ও আলম ওরফে আনিছ (৩০) নামে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। উদ্ধারকৃত বোমাগুলো বিএনপির ডাকা অবরোধ-হরতালে নাশকতা চালানো ছাড়াও সন্ত্রাসী কর্মকা-ে মজুদ করা হয়েছিল। অন্যদিকে মঙ্গলবার রাত দুটোর দিকে র‌্যাব-৩ এর একটি দল সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের তিন নেতার মাজারের একটি ঝোপের ভেতর থেকে ১৮ হাতবোমা উদ্ধার করেছে। অবরোধ-হরতালে নাশকতা চালাতে এগুলো সেখানে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে র‌্যাবের ধারণা। এছাড়া মঙ্গলবার রাতে ধানম-ি থেকে চার রাউন্ড তাজা বুলেট ও দুটি পিস্তলসহ আফনান মাহমুদ ও একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আতাউর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, তাদের অস্ত্র আইনে মঙ্গলবার দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
×