ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অভিযুক্ত চীনা জেনারেলের বিচারের আগেই মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ১৮ মার্চ ২০১৫

অভিযুক্ত চীনা জেনারেলের বিচারের আগেই মৃত্যু

দুর্নীতির দায়ে বিচারের সম্মুখীন চীনের সামরিক বাহিনীর এক জেনারেল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। দেশটির সামরিক বাহিনীতে প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের আওতায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছিল। ওই জেনারেল পদোন্নতি ও অন্যান্য সুবিধা দেয়ার বিনিময়ে ঘুষ নেয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সিনহুয়া সোমবার এ খবর জানিয়েছে। খবর ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্ক টাইমসের। ২০১২ সাল পর্যন্ত চীনের দুই কোটি ৩০ লাখ সদস্যবিশিষ্ট শক্তিশালী পিপল’স লিবারেশন আর্মির দুই জেনারেলের একজন ছিলেন শু কাইহো। তিনি সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান এবং ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টির এলিট ২৫ পলিটব্যুরোর সদস্যের একজন ছিলেন। তিনি ২০১৩ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। তবে গত বছর তিনি দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের সম্মুখীন হন। এরপর তার জেনারেল পদ কেড়ে নেয়া হয় এবং দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। পরে বিচারের জন্য তাকে বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। সিনহুয়া সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে বলেছে, মূত্রাশয়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শু রবিবার মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তাঁর মৃত্যুতে দেশের পক্ষ থেকে কোন সমবেদনা জানানো হয়নি। সংবাদ সংস্থাটি আরও জানায়, তদন্তে দেখা গেছে, শু তার পদের সুবিধা নিয়ে অন্যদের পদোন্নতি দিতে তিনি নিজে ও পরিবারের মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের ঘুষ গ্রহণ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর ফলে তাঁর বিরুদ্ধে করা ফৌজদারি মামলা আর চালানো হবে না। জেনারেল শু কাইহো ঘুষ নিয়েছিলেন যে, তা পরিষ্কার। তাঁর বিরুদ্ধে পাওয়া প্রমাণগুলো নির্ভরযোগ্য ও যথেষ্ট। জেনারেল শুর মৃত্যুর খবর যেদিন ঘোষণা করা হয়েছে, তার তিন বছর আগে আরেক পলিটব্যুরো সদস্য বো জিলাইকে দল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এটি ছিল আধুনিক চীনা ইতিহাসের দুর্নীতি কলঙ্কের সবচেয়ে সাড়া জাগানো ঘটনা। বোকে ২০১২ সালের ১৫ মার্চ অপসারণের একদিন আগে বেজিংয়ের গ্রেট হলের মঞ্চে জেনারেল শুর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। দেশটির শীর্ষ নেতারা মঞ্চ থেকে চলে যাওয়ার পরও সেখানে তাঁদের দেখা যায়। কমিউনিস্ট পার্টি ও শীর্ষ সদস্যরা বলেছেন, বোর ঘটনা সাবেক নিরাপত্তা প্রধান ঝৌ ইয়ংক্যাং ও দলের অপর এক শীর্ষ সদস্য লিং জিহুয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত। ২০১২ সালের শেষের দিকে শি জিন পিং ক্ষমতায় আসার পর সেনাবাহিনীতে যে ব্যাপকভিত্তিক অভিযান শুরু হয়, জেনারেল শু তার মধ্যে পড়ে যান। চলতি মাসে সামরিক বাহিনী ঘোষণা করেছে, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৪ জন জেনারেলের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে।
×