ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সেচনালা নিয়ে বিরোধ

পার্বতীপুরে ইরি ক্ষেত পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ১৭ মার্চ ২০১৫

পার্বতীপুরে ইরি ক্ষেত পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পার্বতীপুর ১৬ মার্চ ॥ রামপুর ইউনিয়নের খামার জগন্নাৎপুর ম-লপাড়ায় দুর্বৃত্তরা আগাছা নাশক ওষুধ স্প্রে করে প্রায় ৬ বিঘা ইরি ধান ক্ষেত পুড়িয়ে দিয়েছে শনিবার গভীর রাতে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ম-লপাড়া গ্রামের মোঃ লুৎফর রহমানের ছেলে মোঃ জোবেদুল (৪০), জিয়াউল (৩৫) ও ওবায়দুল (৩২) এই ৩ জনের নামে রবিবার রাতে পার্বতীপুর মডেল থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ধান গাছের পাতা ঝলসে গিয়ে বাদামী রং ধারণ করেছে। মোঃ মহুবার রহমানের ৪ বিঘা ও সাদেকুলের প্রায় ২ বিঘা ইরি ধান ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা এখন দিশেহারা। জমিতে পানি দেয়ার ড্রেন নিয়ে বিরোধের জের ধরে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা শত্রুতামূলক এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তারা জানান। গ্রামবাসী জানিয়েছেন, ওই তিন ভাইয়ের মধ্যে ওবায়দুল দুর্দান্ত প্রকৃতির। জনরোষে তাড়া খেয়ে সে গ্রাম ছেড়েছে। সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নেজামুল ইসলাম ঘটনাস্থল প্রত্যক্ষ করে বলেছেন, ক্ষেতে আগাছা নাশক ওষুধ স্প্রে করা হয়েছে। আক্রান্ত ধান ক্ষেত বাঁচাতে পরিষ্কার পানি স্প্রে করার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদ্বয়কে পরামর্শ দিয়েছেন। কলাপাড়ায় খাস জমি বন্দোবস্তে অনিয়মের অভিযোগ নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১৬ মার্চ ॥ কাউয়ারচর ও গঙ্গামতির সরকারী খাস জমি একসনা বন্দোবস্তের নামে চলছে অরাজকতা। পাঁচ শতাধিক দরিদ্র ছিন্নমূল পরিবারের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে টাকা-কড়ি। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের প্রত্যক্ষ যোগসাজশে মহিপুর ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তা আদায় করা টাকা ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। এ চক্রের কাছে প্রান্তিক কৃষক ও জেলে পরিবারগুলো জিম্মি। সাগরঘেঁষা সংযুক্ত চর কাউয়ারচর ও গঙ্গামতি। চর দুটির বেলাভূমের হাজার একর খাস জমি ফি বছর একসনা বন্দোবস্ত নেয় প্রান্তিক এ জনগোষ্ঠী। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা মানুষগুলো জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে ঝুপড়ি তুলে বসবাস করছে। ঝুপড়ি সংলগ্ন চরের বেলাভূমে তরমুজসহ রবিশস্য ও ধানের আবাদ করে। আবার সাগরে মাছ ধরেই জীবিকা চালায়। চরের এ জমিতে খুঁটি পুঁতে একেকটি পরিবার তাদের বন্দোবস্ত নেয়া জমি আবাদ করে আসছে। এর সঙ্গে রয়েছে স্থানীয় দালালসহ ভূমিদস্যু কয়েকটি চক্র। মহিপুর ভূমি অফিসের আওতাধীন এ চরের খাস জমি ফি বছর একসনা বন্দোবস্ত দেয়। যেখানে ভূমি অফিসের তহশিলদার এক একরের জন্য নিচ্ছে এক হাজার এবং দেড় একরের জন্য নিচ্ছে দুই হাজার টাকা। অথচ রসিদ দেয়া হয়েছে একরে পাঁচ শ’ টাকা হারে। বাড়তি টাকা দালালসহ তহশিলদার হাতিয়ে নেয়। এভাবে মহীপুর ভূমি অফিস এ বছর গত দুই মাসে মাত্র ১৩৪ পরিবারকে ১২০ একর জমি আবাদের জন্য একসনা বন্দোবস্ত দিয়েছে।
×